ত্বক আমাদের শরীরের সর্ববৃহৎ অংগ। আমাদের সমস্ত শরীর ত্বক দ্বারা আবৃত থাকে। ত্বকের দুইটি স্তর। ক) ইপিডার্মিস খ) ডার্মিস
ক) ইপিডার্মিস (Epidermis) :
ত্বকের উপরিভাগের পাতলা অংশ। ইহা ৫ স্তর বিশিষ্ট কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে রক্তনালী বা স্নায়ু থাকে না। তবে ঘাম গ্রন্থি (Sweat Gland), তৈল গ্রন্থি (Sebacieous Gland), ইত্যাদির মুখ (Opening) এখানে এসে শেষ হয়। চুল বা লোমের উপরিভাগ এখান দিয়ে বের হয়। এটি স্তরিভূত আবরণী কলা দ্বারা আবৃত থাকে। এর ফলে বাহিরের ঘর্ষন থেকে অভ্যন্তরের অংশ সমূহ রক্ষা পায়।
খ) ডার্মিস (Dermis):
ত্বকের ভিতরের পুরু অংশের নাম। এখানে এসে স্নায়ু শেষ হয়। রক্তনালী, ঘামগ্রন্থি, তৈলগ্রন্থি বা সেবাসিয়াস গ্রন্থি, চুলের গোড়া ইত্যাদি এখানে অবস্থিত। এখানে কিছু ঐচ্ছিক মাংসপেশী থাকে যা চুলের উপরিভাগকে প্রয়োজন অনুসারে খাড়া (যেমন ভয় পেলে চুল বা লোম দাড়িয়ে যায়) করতে পারে।
ত্বকের কাজ :
- ১) প্রতিরক্ষা : সমস্ত শরীরকে আবৃত করে রাখে বলে বাহিরের আঘাত থেকে ভিতরের অঙ্গ রক্ষা পায়। বাহিরের রোগ জীবানুসমূহ এই চামড়ার জন্যই ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা।
- ২) চামড়াতে ঘামগ্রন্থি আছে। এর মাধ্যমে শরীরের তাপের ভরসাম্য বজায় রাখতে পারে। এছাড়া শরীরের অনেক বর্জ্য পদার্থ ও ঘামের সাথে বের হয়ে যায়।
- ৩) স্পর্শ অংগ : স্নায়ু সমূহ এখানে এসে শেষ হয়। বাহিরের পরিবেশের পরিবর্তন অথবা শরীরের স্পর্শ বা অন্য অনুভুতি সমূহ এখান থেকে মস্তিস্কে যায়।
- ৪) তৈল গ্রান্থি থেকে নিসৃত সেবাম ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং রোগজীবানু ধ্বংসে সহায়তা করে।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
[PGPP id=1214]