শ্বাস ক্রিয়া (Mechanism of Breating)
ক) শ্বাস নেওয়া (Inspiration): এটি সক্রিয়ভাবে মাংসপেশির সংকোচনের ফলে অনুষ্ঠিত হয়। মাংসপেশীসমূহঃ ১। ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা পর্দা (Diaphragm) ২। ইন্টারকোষ্টাল মাংসপেশী (Intercostal Muscle) ইত্যাদি।
যখন ডায়াফ্রাম সংকুচিত হয় তখন থোরাক্সের মধ্যস্থিত উলম্ব দৈর্ঘ্য (Longitudinal Diameter) বৃদ্ধি পায় এবং বহিঃ ইন্টারকোষ্টাল মাংসপেশী সংকোচনের ফলে সামনে পিছে (Anterior-posterior) এবং আড়াআড়ি (Transverse) দৈর্ঘ্য (Diemeter) বৃদ্ধি পায়। মাংসপেশী সংকোচনে রিব সমূহ সামনে ও বাইরের দিকে সরে পড়ে। এতে থোরাক্স এর অভ্যন্তরের আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের তুলনায় বায়ুচাপ কমে যায়। ফলে নাক দিয়ে ট্রাকিয়া হয়ে বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে। যদি কোন ভাবে ডায়াফ্রামের কাজ করার ক্ষমতা লোপ পায় তবে, সেই ব্যাক্তি শ্বাস নিতে পারবে না এবং মৃত্যু বরণ করবে।
খ) শ্বাস ছেড়ে দেয়া বা প্রশ্বাস (Expiration): এটি সক্রিয়ভাবে হয় না বরং এমনিতেই হয়ে যায়। মূলত ফুসফুসের ইলাস্টিসিটির (Elasticity) বা স্থিতিস্থাপকতার জন্য ফুসফুস ২টির আয়তন (Volume) কমে যায় (Recoil) এবং বাতাস বের হয়ে আসে।
নাকের কাজ:
- ১. নাকে ধুলা ও জীবাণু আটকে যায় এবং এগুলো পরিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে,
- ২. ঘ্রাণ গ্রহণে সহায়তা করে,
- ৩. ফুসফুসে প্রবেশের পথে বাতাসকে ভেজা ও ঠাণ্ডা রাখে।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
[PGPP id=1214]