একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে সফল হতে হলে অর্গাননের প্রথম ৪ টি এফোরিজমকে আবশ্যিক সূচনা জ্ঞান মনে করতে হবে এবং একে ধারণ করে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
১) চিকিৎসকের মহৎ এবং একমাত্র উদ্দেশ্যঃ
রোগীকে পুনরায় স্বাস্থ্যে আনয়ন করা, নীরোগ করাই চিকিৎসকের মহৎ এবং একমাত্র উদ্দেশ্য।
অর্থাৎ রোগী অসুস্থ্ হওয়ার পূর্বে যেমন সুস্থ্ ছিল, চিকিৎসা করে তেমন সুস্থ্য করাই একজন চিকিৎসকের মহৎ এবং একমাত্র উদ্দেশ্য। (১ নং এফোরিজম অবলম্বনে)
২) আরোগ্যের সর্বোচ্চ্য আদর্শঃ
রোগকে অল্প সময়ে, নিরোদ্রবে ও স্থায়ী ভাবে স্বাস্থের পুনঃপ্রবর্তন করাই আরোগ্যের সর্বোচ্চ্য আদর্শ। (২ নং এফোরিজম অবলম্বনে)
যে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, একজন ক্রনিক রোগীকে একসাথে একাধিক ঔষধ প্রয়োগ করেন, প্যাটেন্ট বা হার্বাল ঔষধ দেন, তিনি রোগীকে কিছু সময়ের জন্য আরাম দিতে পারবেন কিন্তু আদর্শ আরোগ্য করতে পারবেননা। তিনি ধোঁকাবাজ, অপহোমিওপ্যাথ, সংকর ও হাতুড়ে। (২৭২ থেকে ২৭৪ নং এফোরিজম অবলম্বনে)
৩) প্রকৃত আরোগ্য কৌশলজ্ঞ চিকিৎসকঃ
প্রকৃত আরোগ্য কৌশলজ্ঞ চিকিৎসক, হতে হলে নিচে দেয়া ৪ টি বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। (৩ নং এফোরিজম অবলম্বনে)
- রোগীর কোন কোন লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে তার জ্ঞান থাকতে হবে।
অর্থাৎ রোগী অনেক অনেক লক্ষণের কথা বলবে কিন্তু তার মধ্যে অসাধারণ, আনকমন ও অস্বাভাবিক লক্ষণ খুঁজে বের করা এবং মায়াজম ও কারণ অনুসন্ধান করার জ্ঞান থাকতে হবে।
- প্রত্যেক ঔষধের কোন কোন লক্ষণ সমূহ, রোগ আরোগ্য করতে পারে তার জ্ঞান থাকতে হবে।
অর্থাৎ মাথা ব্যথার জন্য ৫৭৬ টি ঔষধ, কিন্তু মাথা ব্যথার সহিত কোন লক্ষণ থাকলে নিশ্চিত রুপে একটিই ঔষধ Sulphur (উদাহরণ সরূপ Sulphur) দিতে হবে তার পরিষ্কার জ্ঞান থাকতে হবে।
- ক) রোগের জন্য ঔষধকে সর্বাপেক্ষা উপযোগী করে প্রয়োগ করার জ্ঞান। খ) ঔষধের উপযুক্ত প্রস্তুত প্রণালীর জ্ঞান। গ) ঔষধ প্রয়োগের উপযুক্ত মাত্রা জ্ঞান। ঘ) প্রথম প্রয়োগ ও পুনঃপ্রয়োগের উপযুক্ত সময় জ্ঞান থাকতে হবে।
- আরোগ্যের বাধা সমূহ এমন ভাবে দূর করার জ্ঞান থাকতে হবে যে, পুনঃপ্রবর্তিত স্বাস্থ্য স্থায়ী হয়।
৪) স্বাস্থ্যের রক্ষকঃ
যে সকল বিষয় স্বাস্থ্য ভঙ্গ করে রোগ উৎপাদন করে, তার জ্ঞান এবং সুস্থ্য ব্যক্তির নিকট হতে স্বাস্থ্য ভঙ্গ কারী বিষয় সমূহ দূর করার জ্ঞান ও কৌশল যে ডাক্তারের জানা আছে তিনিই স্বাস্থ্যের রক্ষক। (৪ নং এফোরিজম অবলম্বনে)
একজন বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে মিম্ন বর্ণিত ধাপ সমূহ বিশ্লেষণ করে ক্রনিক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়।
- ১. রোগীর সঠিক রোগ নির্ণয় করা হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের প্রথম কাজ। রোগের নামকে একটি সাধারণ লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। পরীক্ষায় রোগ ধড়া পড়ুক বা না পড়ুক চিকিৎসা শুরু করার পুর্বে, পরবর্তি বিষয় সমূহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- ২. রোগীর-
- রোগ লক্ষণ (রোগ কষ্ট সমূহ)
- মানুষিক লক্ষণ
- সার্বদৈহিক লক্ষণ
- খাদ্যে ইচ্ছা অনিচ্ছা সম্পর্কিত লক্ষণ
- প্রস্রাব-পায়খানা সম্পর্কিত লক্ষণ
- ঘর্ম সম্পর্কিত লক্ষণ
- আবহাওয়া সম্পর্কিত লক্ষণ
- কাতরতা সম্পর্কিত লক্ষণ
- নিদ্রা ও স্বপ্নদেখা সম্পর্কিত লক্ষণ
- জননেন্দ্রিয় সম্পর্কিত লক্ষণ, ইত্যাদি সহ সম্ভাব্য সকল লক্ষণ পূর্ণাঙ্গ রূপে গ্রহণ করতে হবে এবং গ্রহন করা লক্ষণ গুলো থেকে সর্বাধিক লক্ষণ সারাতে পারে এমন ঔষধের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
- ৩. রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
- ৪. রোগীর অতীত রোগ ও বংশগত রোগ বিবেচনায় নিতে হবে।
- ৫. রোগীর মায়াজমেটিক স্টেট সমূহ নির্ধারণ করতে হবে, এবং বর্তমানে কোন মায়াজম প্রাধান্য তা বিবেচনায় নিতে হবে।
- ৬. অসাধারণ, আনকমন ও অস্বাভাবিক লক্ষণ ও তার ঔষধ খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
- ৭. রোগীর মনোলক্ষণ, মায়াজম ও ধাতুগত বৈশিষ্টের সহিত সম্ভাব্য ঔষধের লক্ষণ সমূহের মিল খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
- ৮. উপরে উল্লিখিত সকল বিষয় মনোযোগ সহ বিশ্লেষণ করে, একটি মাত্র ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।
- ৯. এরপর ঔষধ প্রয়োগ বিধি মত রোগীকে ঔষধ দিতে হবে। দ্বিতীয় নির্বাচন সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত ৯ টি ধাপ পূর্ন করার যুগ্যতা সম্পন্য ডাক্তারই আদর্শ হোমিওপ্যাথি ডাক্তার।
একটু বিবেচনা করুনঃ
১) যখন কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, একক ঔষধ নির্বাচন করতে পারেনা, তখন বুঝতে হবে সে ঔষধ নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। এটা তার অজ্ঞতা।
২) যখন কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, প্যাটেন্ট ঔষধ প্রয়োগ করবে, তখন বুঝতে হবে, সে আর হোমিওপ্যাথি ডাক্তার নেই, সে হার্বালের হেকিম হয়েছে। তার হোমিওপ্যাথি সার্টিফিকেট থাকার কারনে হ্যানিম্যানের ভাষায় তাকে সংকর বলা হবে। (সংকর = দুই জাতের মিলনে আলাদা এক জাত)।
[dzs_videogallery id=”hdhomeo” db=”main”]
Please give me your address and mobile no
http://www.hdhomeo.com/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9/
এই বিষয়টা ভালো ভাবে জানতে চাই
আমার তারা তারি বিজ বেরিয়ে জাই কি করবো
হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের সফল ও স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব
আমার তিনটা অবস্হা,50,51,65 ইহা থেকে মুক্তি পেতে চাই,তা কি ভাবে পাব, ,জানানের জন্য অনুরোধ রইলো ৷
এবং এক ডাক্তার উহার জন্য তিনটা ঔষধ দিয়াছিলেন৷
ঔষধ তিন টার নাম দেওয়া হল৷
1/ PK-70
2/ Titanium met-3x
3/Agnutcast-10z
এবং স্ত্রী মিলনের পূর্বে Avina sativa খেতে দিয়েছেন ৷কোন পরিবর্তন নেই৷
আপনাকে ডাক্তার পরিবর্তন করতে হবে
আমি যখন সেক্স কিছুখন পর লিংগ নিস্তেজ হয়ে জায় এবং সেক্স করার পর আমার হাল্কা জর আশে ১ ২ ঘণ্টা পর আবার সেক্স করতে গেলে আমার বিয্য বের হয় না লিংগ নিস্তেজ হয়ে জায় আমি কি করব সার আমাকে সমাধান দেন দয়া করে !
এ বিষয়ে সফল চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতেই সম্ভব। আপনাকে আমাদের চেম্বারে আসতে হবে।