শর্করা হজমের প্রক্রিয়া (Digestion of Carbohydrate):
মুখ গহ্বর (Mouth cavity):
লালার মধ্যস্থিত টায়ালিন এনজাইম, শর্করা জাতীয় খাবারকে ভেঙ্গে মালটোজ নামক শর্করায় পরিণত করে।
পাকস্থলী :
এখান থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ হয়। এখানে শর্করা পরিপাক হয় না।
ডিওডেনাম:
অগ্নাশয়থেকে অগ্নাশয় নালী দিয়ে পাচক রস এখানে এসে খাবারের সাথে মিশ্রিত হয়। এই রসে অগ্নাশয়ের এমাইলেজ এনজাইম থাকে যা, মালটেজ ও অন্যান্য শর্করাকে ভেঙ্গে আরো ক্ষুদ্র শর্করা যেমন-মালটোজ, সুক্রোজ, ল্যাকটোজ তৈরি করে।
ক্ষুদ্রান্ত্র (Intestine):
ডিওডেনামের ও ক্ষুদ্রান্ত্রে অন্য অংশ যেমন জেজুনাম ও আইলিয়ামের ক্ষুদ্র গ্রন্থি থেকে মালটেজ, ল্যাকটেজ, সুক্রোজ, এনজাইম নিঃসৃত হয়। অন্ত্র সহজেই গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও গ্যাল্যাকটোজকে শোষণ করে রক্তে পাঠায় যা থেকে পরবর্তীতে শক্তি উৎপাদন হয়।
আমিষ হজমের প্রক্রিয়া (Digestion of Protein):
আমিষের হজম পাকস্থলী ও অন্ত্রে হয়।
পাকস্থলী :
আমিষ জাতীয় খাবারের সাথে পেপসিন নামক এনজাইম মিশ্রিত হয়ে একে ভেঙ্গে পেপটোন নামক সহজ (Simple) প্রোটিন তৈরি করে।
ডিওডেনাম :
অগ্নাশয় থেকে আগত রসে, ট্রিপসিন নামের এনজাইম থাকে, যা আমিষকে ও পেপটোনকে ভেঙ্গে ক্ষুদ্র পলিপেপটাইড তৈরি করে।
আমিষ > পলিপেপটাইড > এমাইনো এসিড
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
ক্ষুদ্রান্ত্র :
ক্ষুদ্রান্ত্রের রসে ইরেপসিন নামক এনজাইম থাকে যা পলিপেপটাইডকে ভেঙ্গে এনাইমো এসিড তৈরি করে (Amino Acid)। এ এনাইমো এসিড রক্তে শোষিত হয় এবং বিভিন্ন স্থানে যেয়ে মাংসপেশী, প্লাজমা প্রোটিন ইত্যাদি তৈরি করে ও দেহের বৃদ্ধি করে।
চর্বি হজমের প্রক্রিয়া (Digestion of fat):
পাকস্থলীতে খুব সামান্য চর্বি হজম হতে পারে। ডিওডেনামে পিত্তরস ও অগ্নাশয় রসের লাইপজ নামক এনজাইম স্নেহ জাতীয় খাদ্য ভেঙ্গে গ্লিসারল ও ফ্যাটি এসিড তৈরি করে যা অন্ত্রে শোষিত হয়।
অন্ত্রে শোষিত এমাইনো এসিড (Amino Acid), গ্লুকোজ (Glucose), ফ্যাটি এসিড (Fatty Acid) রক্তের মাধ্যমে লিভার ও অন্যান্য অঙ্গে যেয়ে শক্তি উৎপন্ন করে ও শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে।
অন্ত্রে অপ্রয়োজনীয় খাদ্যাংশ যা, শোষিত হয় নাই, সেগুলি বৃহদান্ত্রে যায় এবং মল (Faeces) হিসাবে জমা থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী মানুষ দৈনিক ১-৩ বার মল ত্যাগ করে। পিত্তরসে বিলিরুবিন থাকে যা থেকে ষ্টারকো বিলিনোজেন নামের হলুদ পদার্থ তৈরি হয়। এর জন্য পায়খানার রং হলুদ হয়।
পিত্ত (Bile) :
পিত্তরস লিভার যা যকৃত কোষে তৈরি হয়, যকৃতের ক্ষুদ্র পিত্তনালী দিয়ে হেপাটিক নালী (Hepatic Duct) হয়ে পিত্ত থলীতে (Gall Bladder) আসে। এখানে পিত্ত আরো ঘন হয় ও জমা থাকে। যখন স্নেহ ডিওডেনামে আসে, তখন থলি সংকুচিত হয়, এবং পিত্ত এখান থেকে সিসটিক (Cysstic) নালী দিয়ে কমন বাইল ডাক্ট (Common bile duct) বা পিত্ত নালী দিয়ে ডিওডেনামে আসে।
পিত্তের উপাদান :
পানি, বাইল সল্ট, বাইল পিগমেন্ট যেমন-বিলিরুবিন, কোলেস্টেরল। কোন কারণে পিত্তনালী বন্ধ হলে (যেন পাথর, টিউমার) পিত্ত ডিওডেনামে যেতে পারে না। রক্তে তখন অতিরিক্ত বিলিরুবিন হয় এবং ত্বক, কনজাংটিভা, প্রস্রাব হলুদ হয়। এ অবস্থাকে আমরা জন্ডিস (Jaundice)। পিত্ত মূলত স্নেহ জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে।
[PGPP id=1214]
I realize this if off topic but I’m thinking about starting
my own blog and was curious what all is needed to obtain setup?
I’m assuming using a blog like yours would cost a pretty penny?
I’m not so web savvy so I’m not 100% sure. Any recommendations or advice would be greatly appreciated.
Appreciate it
I do not know whether it’s just me or if perhaps everybody else experiencing difficulties with your internet site.
It appears like several of the written text with your posts are running from the screen. Can another individual please comment and inform me should this be happening for them as well?
This can be a problem with my web browser because I’ve had this happen previously.
Thanks