Bov | শুধু রাতে ঋতুস্রাব হয়, ঋতুস্রাবের সময়ে ও পূর্বে ডাইরিয়া। |
Bov | ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ব্যাবহার করলে আঙ্গুলে গভীর দাগ পড়ে। |
Bov | বগলের ঘামে পেঁয়াজের মত দুর্গন্ধ। |
Bov | হাত, পা ও গাঁটে অত্যন্ত দুর্বলতা, হাত হতে জিনিস পত্র সহজেই পড়ে যায়। |
Bov | লাল প্রস্রাবের সহিত পেটের শূল বেদনা, খাবার খেলে উপশম। |
Bov | ত্রিকাস্থির (coccyx) ডগায় ভয়ানক চুলকানি, চুলকাতে চুলকাতে ঘা হয়ে যায়। |
যারা শুকনো বা ভেজা ভেজা দাদের অসুখে ভোগে তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী।
যে সব অবিবাহিতা স্ত্রীলোকদের বুক ধড়ফড় করে ।
যে শিশু তোতলা তাদের পক্ষে উপযোগী (ষ্ট্র্যামো)।
যে ক্ষেত্রে নাক ও শরীরের সমস্ত শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী হতে অত্যন্ত চটচটে দড়ির মত ও টানলে লম্বা হয় এমন স্রাব বার হয় সে ক্ষেত্রে (কেলি-বা)। ভোতা যন্ত্র, কাচি, ছুরি ব্যবহার করলে যে অংশ কাজে লাগে এমন জায়গায় গভীর দাগ পড়ে যায় যাদের তাদের উপযোগী। কোমরে আটোসাটোভাবে কাপড় পরতে পারে না (ক্যাল্কে-কা, ল্যাকে, সালফ)।
বগলের ঘামে পেঁয়াজের গন্ধ ছাড়ে যাদের ।
দাঁত তুলে ফেললে তা থেকে রক্ত পড়ে (হেমামে); ক্ষত হতে রক্ত পড়ে, নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। সন্ধিগুলোতে অত্যন্ত দুর্বলতা ও হাতে পায়ে ক্লান্তিভাব ।
অপটু হাত থেকে জিনিষপত্র পড়ে যায় (এপিস), হাতে কোন জোর পায় না সেজন্য জিনিষপত্র পড়ে যায়।
ঋতুস্রাব – শুধু রাতে হয়, দিনে হয় না (ম্যাগ-কা) [কেবল দিনে হয়, শুলে বন্ধ থাকে- ক্যাকটাস, কষ্টি, লিলি-টি]; ঋতুস্রাবের আগে ও ঐ সময় উদরাময় (এমন-কা); ঋতুর মাঝে কয়েকদিন বাদে বাদে রক্তস্রাব হয় (বোরাক্স); প্রতি দু-সপ্তাহ বাদে বাদে কালচে ও চাপবাধা রক্তস্রাব সাথে নীচের দিকে ঠেলামারা ব্যথা (সিপিয়া)।
ককসিক্স-এর একদম শেষে ভীষণ চুলকায়, চুলকাতে চুলকাতে ঐস্থান হেজে যায় ও সেখানে ঘা হয় ।
সম্বন্ধ – অনিয়মিত ঋতুস্রাব লক্ষণে—এমন-কা, বেল, ক্যাঙ্কে-কা, ম্যাগসা, সিপিয়া তুলনীয় । আলকাতরা লেগে তার কুফলে ও কোন গ্যাস হতে শ্বাসকষ্ট হলে বোভিষ্টা সেই দোষ নষ্ট করে। পুরানো আমবাতে রাস- টক্স নির্দিষ্ট হয়েও প্রয়োগে কাজ না হলে বোভিষ্টা উপযোগী ।
শক্তি-৩০, ২০০।
(Urticaria বা আমবাত—রক্তবাহী শিরায় প্রতিক্রিয়াবশতঃ চামড়ায় এক ধরনের ফ্যাকাসে লালচে চাকাচাকা উদ্ভেদ দেখা দেয় যাতে অত্যন্ত জ্বালা ও চুলকানি থাকে)
লক্ষণ – হঠাৎ ঐভাব দেখা দেয় ও চুলকাতে থাকে ।
কারণ – বাইরের উত্তেজক কোন কিছুর সংস্পর্শে যেমন খাদ্যে, পোকামাকড়ের কামড়ে, সিরামঘটিত দুর্বলতায়, পোলেন এর সংস্পর্শে, ওষুধে ও স্নায়বিক কারণে দেখা যায়। আঃ একোয়াজেনিক—সাধারণ জল হতে। আঃ কোন্ড ঠান্ডা লেগে বা শীত কালে। আঃ ফ্যাক্টিসিয়া–চামড়ায় অল্প উত্তেজক দ্রব্যের সংস্পর্শে। আঃ হেমোরেজিকা— কোন ক্ষতে রক্ত দূষিত হয়ে। আঃ মেরিটিমা- লবণমিশ্রিত জলে স্নান করে যথা সমুদ্রে। আঃ মেডিকামেনটোসা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ খেয়ে। আঃ সোলারিস- সূর্যতাপে ।
চামড়ার উপর এই ঔষধের সুস্পষ্ট প্ৰবাব আছে, উৎপন্ন করে একজিমার মত উদ্ভেদ, এছাড়াও রক্ত সংবহনতন্ত্রের উপর কাজ আছে, যার ফলে রক্তস্রাব প্রবণতার সৃষ্টি হয়, সুস্পষ্ট ক্লান্তি ও অবসাদ এই ঔষধে দেখা যায়। যেসব শিশুরা ভোতলা, তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে, অবিবাহিতা বৃদ্ধা তৎসহ হৃদকম্প, ও “খোস পাঁচড়া” যুক্ত রোগী সকল। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানের স্নায়ুর প্রদাহে যখন আড়ষ্টতা ও সুড়সুড় ভাব দেখা যায়। কাঠকয়লার ধোঁয়া লাগার ফলে শ্বাস বন্ধ হবার মত অবস্থা।
মন – শরীরের কোন অংশ বড়ো হচ্ছে এইরূপ অনুভূতি(আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম)। অপ্রতিভ বা জবুথবু ভাব, সকল বস্তুই হাত থেকে পড়ে যায়। অনুভূতি প্রবণ।
মাথা – মনে হয় যেন মাথাটি ক্রমশইঃ বড়ো হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে মাথার পিছনের অংশ মাথার যন্ত্রণা, যন্ত্রণায় মাথাটি ফুলে উঠে, খুব সকালে, মুক্ত বাতাসে ও শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি। নাকের স্রাব দড়ির মত ও চটটে। মস্তিষ্কে মৃদু, থেঁৎলিয়ে যাবার মত বেদনা। তোতলামি। (ষ্ট্র্যামোনিয়াম, মার্কিউরিয়াম)। মাথার চামড়া চুলকায়, গরমে বৃদ্ধি,অনুভুতি প্রবণ, যতক্ষণ ছ্ল না উঠে, ততক্ষণ চুলকায়।
মুখমণ্ডল – নাসারন্ধ্র ও মুখের কোনগুলির চারপাশে মরামাশ ও মামড়ি। ঠোঁটগুলি ফাঁটা। নাক ও মাড়ি থেকে রক্তস্রাব। গাল ও ঠোঁট দুটি স্ফীতি বলে মনে হয়। ব্রণ, গ্রীষ্মকালে বৃদ্ধি পায়, প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কুফল।
পাকস্থলী – পাকস্থলীতে বরফের দলা থাকার মত অনুভূতি। কোমড়ে কষে থাকা জামাকাপড় অসহ্য।
স্ত্রীরোগ – ধাতুস্রাবের আগে ও ধাতুস্রাবের সময় উদরাময়। মাসিক ধাতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে ও পরিমানে প্রচুর হয়, রাতে বৃদ্ধি, কামোত্তেজনার মত অনুভূতি। প্রদরস্রাব ঝাঁঝাল, গাঢ়, চটচটে, সবুজবর্ণের, ধাতুস্রাবের পরে দেখা দেয়। কোমরের চারিপাশে কষা জামা-কাপড় অসহ্য। (ল্যাকেসিস)। দুটি ধাতুস্রাব কালের মধ্যবর্তী সময়ে অল্প পরিমানে স্রাব। ধাতুস্রাব চলাকালীন অবস্থায় বস্তিকোটরে টাটানি ব্যথা। দীর্ঘস্থায়ী ও অনিয়মিত সময়ে ধাতুস্রাব, যৌনিপথে অর্বুদ।
উদর – উদরশুল, তৎসহ লাল প্রস্রাব, আহারে উপশম, দ্বিভাজ হয়ে থাকতে বাধ্য হয়। নাভীর চারিপাশে বেদনা। পেরিনিয়াম বা মূলাধার থেকে সূঁচ ফোটার মত বেদনা শুরু হয়ে সরলান্ত্র ও যৌনাঙ্গ পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
বৃদ্ধ ব্যক্তিদের পুরাতন উদরাময়, রাত্রে ও খুব সকালে বৃদ্ধি।
অঙ্গ-প্রতঙ্গ – সকল সন্ধিস্থানের দুর্বলতা, হাতের সাহায্য কাজ করার সময় হাতের আড়ষ্টতা, হাত হতে জিনিসপত্র পরে য়ায়। হাত ও পায়ের ক্লান্তি। বগলে ঘাম, ঘামে পেঁয়াজের গন্ধ। ত্রিকাস্থির অগ্রভাগে অসহ্য চুলকানি। হাতের পিছনের অংশে রসযুক্ত একজিমা। পায়ের পাতায় ও পায়ে চুলকানি। ভেঙ্গে যাবার পরে সন্থিস্থানের শোথ।
চামড়া – ভোঁতা অস্ত্র যখন চামড়ার উপরন গভীর ছাপ রাখে। উত্তেজিত হলেই আমবাত, তৎসহ বাতজনিত খোঁড়া ভাব, হৃদকম্প ও উদরাময়। (ডালকামড়া)। গরম লাগলে চুলকানি। একজিমা, রসযুক্ত, মোটা মামড়ি তৈরী হয়। সারা শরীর ফুস্কুরিতে ঢেকে যায়, স্কনার্ভ, বিসর্পের মত উদ্ভেদ। মলদ্বারে চুলকানি। সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় আমবাত, স্নানে বৃদ্ধি, পেল্যাগ্র্যা।
সম্বন্ধ – আলকাতরার কুফল বোভিষ্টা নষ্ট করে। গ্যাস থেকে শ্বাসরোধক অবস্থা। পুরাতন আমবাতে রাসটক্সের পরে ব্যবহার হয়।
তুলনীয় – ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, রাসটক্স, সিপিয়া, সিকিউটা।
শক্তি – ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শক্তি।