Calad | শরীরের যে কোন একটি স্থান, যেমন পা শীতল হয়ে যায়। |
Calad | সর্বদা শুয়ে থাকতে ইচ্ছা কিন্তু বাম পাশে শুলে রোগের বৃদ্ধি। |
Calad | রোগী ঘুমাতে ভয় পায়, সামান্য শব্দে ঘুম থেকে চমকে উঠে। |
Calad | শুষ্কতা অনুভূতি, খাবার শুষ্ক মনে হয় সেজন্য তা খেতে পানি পান করতে হয়, মনে হয় যেন শুষ্ক খাদ্যে পকাশয় পূর্ণ আছে। |
Calad | জিহ্বার গোড়ার দিকের ঠিক মাঝখানে লাল ডোড়া, ডগার দিকে ক্রমশ চওড়া দেখায়। |
Calad | ঘামে মিষ্টি গন্ধ, সেজন্য মাছি আসে। |
হৈচৈ, শব্দ একদম সহ্য করতে পারে না, সামান্য শব্দে ঘুম হতে চমকে জেগে ওঠে (আসারা, নাক্স-ভ, ট্যারেন্টুলা)।
বারে বারে ঢেকুর ওঠে কিন্তু বায়ু অল্প বার হয়, পাকস্থলী যেন শুকনো খাদ্যদ্রব্যে ভর্তি হয়ে আছে মনে হয়।
ধ্বজভঙ্গ- সাথে মানসিক অবসন্নতা— লিঙ্গ শিথিল কিন্তু সঙ্গমের ইচ্ছা ও মানসিক উত্তেজনা থাকে। (লাইকো; সেলিনি)।
শত চেষ্টাতেও লিঙ্গ সবল হয় না; সঙ্গম এর সময় উত্তেজনা আসে না বা বীর্য স্থলন হয় না (ক্যাল্ক; সেলিনি)। যোনি পথে চুলকানি—তা থেকে কৃত্রিম মৈথুনের ইচ্ছা হয় (অরিগেনাম, জিঙ্কাম-মেট); গর্ভাবস্থায় যোনিপথে শ্লেষ্মাস্রাব সহ এরূপ চুলকানি ।
সন্ধ্যায় জ্বর হলে জ্বর থাকাকালীন ঘুমিয়ে পড়ে ও জ্বর ছেড়ে গেলে জেগে ওঠে ।
গায়ের ঘামে মিষ্টি গন্ধ তা থেকে গায়ে মাছি বসে ।
মশা ও পোকামাকড়ের কামড়ে জ্বালা ও চুলকালে এ ওষুধে সারে। নড়াচড়ায় অনিচ্ছা, নড়াচড়ায় ভয় হয় (ব্রায়ো)।
তামাক খাওয়ার ইচ্ছা বা নেশা এ ওষুধ নষ্ট করে ।
শক্তি – ৬, ২০০।
ধ্বজভঙ্গ (Impotency)— সঙ্গম কার্যে পুরুষের অক্ষমতা, কি কারণে এই অক্ষমতা দৈহিক গঠনের দোষ বা মানসিক কোন কারণে তা নকটারনাল পেনাইল টিউমেসেন্স (NPT) টেষ্ট করে জানা যায়। ধ্বজভঙ্গ অনেক প্রকার যথা-
(A) ই. এ্যানাটোমিক— পুরুষাঙ্গে গঠনগত বিকৃতি থেকে,
(B) ই. এ্যাটোনিক- নার্ভ উত্তেজনা ক্ষমতা হারায়,
(C) ই. ফাংশনাল— শরীরে যান্ত্রিক বা গঠন গত কোন বিকৃতি নয় কিন্তু মানসিক কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি। কোন নির্দিষ্ট সঙ্গীনির ক্ষেত্রে হলেও অপরের ক্ষেত্রে নাও হতে পারে,
(D) ই, নিউরোজনিক- মস্তিষ্কে কেন্দ্রীয় স্নায়কেন্দ্রে ক্ষত থেকে যেমন দেহের নিম্নাঙ্গে ও দুপায়ে প্যারালিসিস (Paraplegia) হয়, ডায়াবেটিসে নার্ভে অসুখে (Diabetic Neuropathy),
(E) ই. ফার্মাকোলজিক—কোন ওষুধের দীর্ঘদিন ব্যবহার জনিত প্রতিক্রিয়ায়,
(F) ই. সাইকিক- মানসিক অশান্তিতে।
(G) ই. ভাসকুলোজেনিক- লিঙ্গে করপোরা ক্যাভারনোসায় আর্টারির রক্ত চলাচল কম হয়, ধ্বজভঙ্গ রোগকে প্রজননে অক্ষমতা বা বন্ধ্যাত্ব রোগের সাথে এক করে দেখা উচিত নয়। ধ্বজভঙ্গে সাধারণতঃ কামেচ্ছা থাকে না ।
যৌনাঙ্গের উপর এই ঔষধের সুস্পষ্ট কাজ আছে এবং এই সকল স্থানের চুলকানির উপরও। শরীরের একটি অংশের শীতলতা এবং শুয়ে পড়ার প্রবনতাযুক্ত, তৎসহ বামদিক চেপে শুলে বৃদ্ধি। সামান্য শব্দে ঘুমের ভিতর জেগে উঠে। গতি থেকে ভয়ের উদ্রেক। তামাক সেবনের অদম্য স্পৃহার পরিবর্তন সাধন করে এই ঔষধ। তামাক সেবনের জন্য হৃদপিণ্ডের উপসর্গসমূহ। হাঁপানীর উপসর্গসমূহ।
মাথা – ধূমপায়ীদের মাথার যন্ত্রণা ও মানসিক উপসর্গ। দ্রুত সব কিছু ভুলে যায়, ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্বন্ধে কিছুই জানেনা। বিভ্রান্তিকর মাথার যন্ত্রণা তৎসহকাধের যন্ত্রণা, চোখে ও কপালে চাপবোধ, শব্দে অত্যন্ত অনুভূতি প্রবণ, কানের ভিতর পানি।
পাকস্থলী – পাকস্থলীর ছিদ্রাংশে দংশনের মত বেদনা, যা গভীর শ্বাস নিতে, ও ঢেকুর তুলতে বাধা দেয়। ঢেকুর তোলা। মনে হয় পাকস্থলী শুষ্ক খাবারে পরিপূর্ণ, পাখা ঝাপটানোর মত অনুভূতি। কটু গন্ধযুক্ত বমি, তৃষ্ণাহীন এবং কেবল মাত্র উষ্ণ পানীয় সহ্য করতে পারে। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার মত শ্বাস-প্রশ্বাস।
পুরুষের রোগ – চুলকানি। গ্ল্যান্সপেনিস অত্যন্ত লাল। লিঙ্গ বড়ো বলে মনে হয়, ফোলা, শিথিল, শীতল ও ঘামযুক্ত, অণ্ডকোষের চামড়া পুরু। অর্ধ-নিদ্রিত অবস্থায় লিঙ্গোদ্রেক, সম্পূর্ণ জেগে উঠার পর লিঙ্গোদ্রেক নষ্ট হয়ে যায়। ধ্বজভঙ্গ যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষাঙ্গের শিথিলতা। সঙ্গমকালে শুক্রক্ষরণের অভাব ও শারীরিক আনন্দানুভূতির অভাব।
স্ত্রীরোগ – গর্ভাবস্থায় যোনিকপাটে (এম্বাক্রিয়ো) ও যোনিপথে চুলকানি (হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ১:২ ভাগে, স্থানিক ভাব)। কামোদ্রেক। রাত্রে জরায়ুতে খিল ধরার মত বেদনা।
চামড়া – মিষ্ট ঘাম – মাছিদের আকৃষ্ট করে। কীট-পতঙ্গের কামড়ের স্থানে তীব্র জ্বালা ও চুলকানি। পর্যায়ক্রমে উদ্ভেদযুক্ত চুলকানি ও হাঁপানী। জ্বালাকর অনুভূতি এবং ঈরিসিপেলাসের মত প্রদাহ।
শ্বাস-প্রশ্বাস — মনে হয় যেন কণ্ঠনলী সঙ্কুচিত হয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত। সর্দিযুক্ত হাঁপানী, শ্লেষ্মা খুব সহজেই উঠে আসে না। রোগী ঘুমাতে যেতে ভয় পায়।
কমা-বাড়া — উপশম, ঘামের পর, দুপুর বেলা ঘুমের পর।
বৃদ্ধি – নড়াচড়ায়।
সম্বন্ধ – প্রতিবন্ধক – অরাম ট্রিফাইলাম।
পরিপূরক – নাইট্রিক অ্যাসিড।
তুলনীয় – ক্যাপসিকাম, ফসফরা, কষ্টিকাম, সেলেনিয়াম, লাইকোপোডিয়াম, ইক্ষু গন্ধা, (যৌন দুর্বলতা, শুক্রক্ষরণ, প্রস্টেটগ্রন্থির বিবৃদ্ধি)।
শক্তি – ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শক্তি।