একজন বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে মিম্ন বর্ণিত ৯ টি ধাপ বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা দিতে হয়।
১. রোগীর সঠিক রোগ নির্ণয় করা হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের প্রথম কাজ। রোগের নামকে একটি সাধারণ লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। পরীক্ষায় রোগ ধড়া পড়ুক বা না পড়ুক চিকিৎসা শুরু করার পুর্বে, পরবর্তি বিষয় সমূহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
২. রোগীর-
- রোগ লক্ষণ (রোগ কষ্ট সমূহ)
- মানুষিক লক্ষণ
- সার্বদৈহিক লক্ষণ
- খাদ্যে ইচ্ছা অনিচ্ছা সম্পর্কিত লক্ষণ
- প্রস্রাব-পায়খানা সম্পর্কিত লক্ষণ
- ঘর্ম সম্পর্কিত লক্ষণ
- আবহাওয়া সম্পর্কিত লক্ষণ
- কাতরতা সম্পর্কিত লক্ষণ
- নিদ্রা ও স্বপ্নদেখা সম্পর্কিত লক্ষণ
- জননেন্দ্রিয় সম্পর্কিত লক্ষণ, ইত্যাদি সহ সম্ভাব্য সকল লক্ষণ পূর্ণাঙ্গ রূপে গ্রহণ করতে হবে এবং গ্রহন করা লক্ষণ গুলো থেকে সর্বাধিক লক্ষণ সারাতে পারে এমন ঔষধের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
৩. রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
৪. রোগীর অতীত রোগ ও বংশগত রোগ বিবেচনায় নিতে হবে।
৫. রোগীর মায়াজমেটিক স্টেট সমূহ নির্ধারণ করতে হবে, এবং বর্তমানে কোন মায়াজম প্রাধান্য তা বিবেচনায় নিতে হবে।
৬. অসাধারণ, আনকমন ও অস্বাভাবিক লক্ষণ ও তার ঔষধ খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
৭. রোগীর মনোলক্ষণ, মায়াজম ও ধাতুগত বৈশিষ্টের সহিত সম্ভাব্য ঔষধের লক্ষণ সমূহের মিল খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
৮. উপরে উল্লিখিত সকল বিষয় মনোযোগ সহ বিশ্লেষণ করে, একটি মাত্র ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।
৯. এরপর ঔষধ প্রয়োগ বিধি মত রোগীকে ঔষধ দিতে হবে। দ্বিতীয় নির্বাচন সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।