হৃৎপিণ্ডের ক্রনিক অসুস্থতা, বাত রোগের পরে হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতা ও অত্যন্ত দুর্বলতা। |
হঠাৎ দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূতি, আবেগ জনিত অসুস্ততা। |
বুকে চাপ অনুভূতি, সূচ ফোটানোর মত ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। |
হৃদপিন্ডের প্রসারণ (ডাইলেটেশান)। |
দ্রুত ও অনিয়মিত নাড়ী। |
এই ঔষধটি মাথাঘোরা, দুর্বল নাড়ী, বাতাস গ্রহণ করার অদম্য স্পৃহা ও রক্তের চাপ কম করা, প্রভৃতি উৎপন্ন করে থাকে। হৃদপেশীর উপর কাজ করে এবং এটি একটি হৃদপিন্ড সম্পর্কিত বল কারক ঔষধ। এন্ডোকার্ডিয়ামের উপর এই ঔষধটির কোন প্রভাব নেই।
মায়োকাডাইটিস। হৃদপিন্ডের অনিয়মিত কাজ। ধমনীর উপসর্গে আক্রান্ত রোগীদের অনিদ্রা, রক্তাল্পতা, শোথ, চামড়ায় শীতবোধ। ধমনীর উচ্চটান ভার। রুক্ষ, খিটখিটে মেজাজের রোগী, যারা হৃদপিন্ডের উপসর্গে কষ্ট পায়, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি নিদ্রাকারক ঔষধ বিশেষ।
হৃদপিন্ডের পুরাতন রোগ, তৎসহ প্রচন্ড দুর্বলতা, হৃদপিন্ডের কাজ অত্যন্ত দুর্বল। প্রকৃতির ও অনিয়মিত। সর্বাঙ্গীন শোথ। অত্যন্ত স্নায়বিক, তৎসহ মাথার পিছনের অংশে ও ঘাড়ে বেদনা। টাইফয়েড রোগে পতনাবস্থা। অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠান্ডা, ফ্যাকাশে বর্ণনাড়ী ও শ্বাস প্রশ্বাস অনিয়মিত। বুকের বামদিকে কণ্ঠাস্থির নীচে যন্ত্রনাদায়ক চাপের অনুভূতি। অজীর্ণ ও স্নায়বিক দুর্বলতা, তৎসহ, হৃদপিন্ডের অচলাবস্থা। বাতরোগের পরে যখন হৃদপিন্ডের ক্ষত শুরু হয় তখন প্রযোজ্য। আর্টিরিয়ো স্কেলেরোসিস এরূপ বলা হয়ে থাকে যে, এই ঔষধটি ধমনীর ভিতর থাকা শুষ্ক,শক্ত মামড়ি অথবা ক্যালসিয়াম ঘটিত সঞ্চিত শক্ত পদার্থ গলিয়ে বার করে দেয়।
মাথা – আশঙ্কাযুক্ত হতাশ। অত্যন্ত স্নায়বিক প্রকৃতির এবং খিটখিটে তৎসহ মাথার পিছনের অংশেও ঘাড়ে বেদনা। মানসিক অবসাদ, কনজাইটিভার প্রদাহ, ও নাসিকা থেকে স্রাব।
প্রস্রাব — ডায়েবিটিস, বিশেষত শিশুদের।
হৃদপিন্ড – হৃদপিন্ডের রোগের জন্য শোথ। মেদ সঞ্চয় জনিত কারণে হৃদপিন্ডের অধঃ পতন অবস্থা। ধমনীঘটিত রোগ সমূহ। সামান্য পরিশ্রমে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট, যদিও এই সঙ্গে নাড়ীর গতি সেভাবে বৃদ্ধি পায় না। হৃদপিন্ডের স্থানে ও বামকাস্থির নীচে বেদনা। হৃদপেশী শিথিল ও ক্ষয়প্রাপ্ত বলে মন হয়। কাশি।হৃদপিন্ডের বিবৃদ্ধি; প্রথম হৃদস্পন্দনের শব্দ দুর্বল। নাড়ীর গতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত, অনিয়মিত, দুর্বল, থেমে-থেমে স্পন্দন। হৃদৃপ্রকোষ্ট থেকে উদ্ভুত অপরিস্ফুট ধবনি বা মারসারস হৃদশূল। চামড়ায় শীত বোধ হাত পায়ের আঙ্গুল নীলচে বর্ণ সকল উপসর্গ পরিশ্রমে বা উত্তেজনায় বৃদ্ধি পায়। সংক্রামক রোগে এই ঔষধটি হৃদপিন্ডের কাজকে স্বাভাবিক রাখে।
চামড়া – প্রচুর ঘাম। চামড়ায় উদ্ভেদসমূহ ।
ঘুম – ধমনীর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অনিদ্রা।
কমা-বাড়া-বৃদ্ধি – গরম ঘরে।
উপশম – বিশুদ্ধ বাতাসে, চুপচাপ ও বিশ্রামে।
সম্বন্ধ – ট্রোফান্থিস; ডিজিট্যালিন, আইবেরিস, ন্যাজা, ক্যাকট্রাস।
শক্তি – তরল কাথ বা অরিষ্ট, এক থেকে পনের ফোটা মাত্রায়। অবশ্য ভাল ফল পাবার জন্য কিছু সময় ধরে ব্যবহার করা প্রয়োজন।