স্নায়বিক, অস্থির, বিচলিত এবং হাত ও আঙ্গুল সর্বদা ব্যস্ত থাকে। |
স্মৃতিশক্তি লোপ, মস্তিষ্ক অসাড় অনুভূতি, কি বলবে তা মনে করতে পারেনা, শব্দ বলতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ কথা বলতে পারেনা। |
নৈতিক বিষয়ে অবনতি ঘটেছে এরুপ ধারনা। |
অত্যধিক যৌন চাহিদা, ঋতুস্রাবের সময় বৃদ্ধি, প্রসব পরবর্তি সময়ে কামউম্মাদনা। |
উপযোগিতা — যাদের লম্বা চওড়া চেহারা ও মোটা হতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে, বড়দের অপেক্ষা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ভাবে এই ওষুধে ভাল ফল দেয় ।
গলার ভেতর, স্বরযন্ত্র, মূত্রনালী ও সমস্ত দেহ অনুভূতি শূন্য হয়ে যায়। চলতে গেলে পা টলমল মরে পা ঠিক ভাবে পড়ে না, মনে হয় পা দুটি এপাশে ওপাশে টলতে থাকে ।
স্নায়বিক, অস্থির, স্থিরভাবে বসতে পারে না, এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় বা কিছু না কিছু করতে থাকে, হাত ও হাতের আঙুল সর্বদা নাড়াতে থাকে, হাত দুটো যেন অস্থির (পা দুটো অস্থির = জিঙ্ক); আঙুল গুলো নাচতে থাকে ।
মাঝে মাঝেই কাঁদতে থাকে, থামানো যায় না, গভীর বিষন্নতা ঐ সাথে ভ্রান্ত ধারণা। স্মৃতি শক্তি লোপ, কিভাবে কি কথা বলবে ভুলে যায়, অন্য মনস্ক, কিছু বলতে গেলে কথাটির খেই ধরিয়ে দিতে হয় (এনাকার্ডি)। হতোদ্যম, মন দুর্বল, উদ্বিগ্ন—মাথা খারাপ হয়ে যাবে বলে মনে হয়।
পেশীগুলো সামঞ্জস্যহীন (জেলস); স্নায়বিক দুর্বলতা ও দেহের সঞ্চালন ক্রিয়ার পক্ষাঘাত ও অবশতা।
বৈষয়িক দুশ্চিন্তা ও শোক হতে বা বিষয় সম্পত্তি নষ্ট বা সুনাম নষ্ট হয়ে, ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়ে অস্থিরতা ও নিদ্রাহীনতা (হায়স) হলে ব্যবহার্য।
শিশুদের রাতে ভয় (কেলি-ফস), ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করা, চিৎকার করে ওঠা, গোঙাতে থাকা, কেঁদে ওঠা ইত্যাদি হয়। ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিত জন সান্ত্বনা দিলেও কমে না ঘুমের মধ্যে হাটতে থাকে (সাইলি) এসব লক্ষণে প্রযোজ্য ।
মৃগী – বংশগত, সিফিলিস জাত; টিউবারকুলার দোষ হতে উৎপন্ন। মৃগীর আক্রমণ সাধারণতঃ ঋতুস্রাবের দু-একদিন আগে হয়। অমাবস্যায় আক্রমণ হয়; মৃগী আক্রমণের পরে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। শিশুদের কলেরা রোগ—তা থেকে মস্তিষ্কে প্রদাহ হলে হাইডোসেফালিস (মাথায় জল জমা) এর প্রথম অবস্থায় মস্তিষ্কে রস জমার (Serouse ffusion)।
আগে প্রয়োগ করলে ঐ অবস্থা আসে না । প্রতিদিন ভোর 5 টায় বাচ্চাদের পেটে শূলব্যথা (বিকেল ৪টায়-কলো, লাইকো) ।
গর্ভাবস্থায় স্নায়বিক কাশি, কাশি শুকনো, কঠিন প্রায় সব সময়ই কাশি হতে থাকে—তা থেকে গর্ভ নষ্ট হবার আশঙ্কা হয় (কোনি)।
তোৎলামি, ধীরে ধীরে অনেক কষ্টে, কথা বলে (বোভিষ্টা, ষ্ট্র্যামো) ।
মুখে ব্রণ হয়—সাধারণ ব্রণ (Acne Simplex); শক্ত হয়ে থাকে; লালচে বা নীলচে রঙ হয়ে যায়। পুঁজযুক্ত ঐরূপ ব্রণ মুখে, বুকে, কাঁধে হতে থাকে, কুৎসিত চিহ্ন হয় (দেখতে খারাপ লাগে) (কার্ব-এনি) কু-অভ্যাসে অভ্যস্ত যুবকদের ঐরূপ ব্রণ হলে ব্যবহার্য ।
সম্বন্ধ — সীষক দোষে বিষাক্ততার অন্যতম প্রধান বিষন্ন-এ ওষুধ। ব্রণ হলে ইউজেনিয়া জ্যাম্বোস এরপর এ ওষুধ প্রয়োগ করলে প্রায়ই সারিয়ে তোলে।
শক্তি—৬, ৩০, ২০০।
(Acne-ব্ৰণ—চামড়ার নীচে Sebaceous Gland ও চুলের গোড়ায় এক প্রকার প্রদাহ হয়ে ছোট ফোঁড়া বা মাথায় কাল শ্বাসযুক্ত উদ্ভেদ। (Comedones) যা টিপলে সাদা ভাতের মত বেরিয়ে আসে ও তাতে ব্যথা থাকে। ঐ থেকে ছোট টিউমার বা ক্ষতের দাগ হতে পারে। সাধারণতঃ মুখ, গলা ও ঘাড়ে হতে দেখা যায়। সাধারণতঃ যৌবনোদ্গম সময়ে হতে দেখা যায়, বংশগত কারণে বা পরিবারে ব্রণ হবার প্রবণতা থাকলেও Androgen oestrogen হরমোন এর Balance-এ কার্যকলাপ জনিত বাধা হয়ে ব্রণ হয়ে থাকে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই Androgen হরমোন বেশী পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে Pilo Sebaceous (পাইলোসিবাসিয়াস) গ্লান্ডের আয়তন ও নিঃসরণ বেড়ে যায় বিশেষ কোন খাদ্যে এলার্জি, Endocrine হরমোনের। কার্যকলাপে কোন বিশৃঙ্খলা, অসুখে Adreno corticosteroid (এড্রিনো–কর্টিকোষ্টেরয়েড) প্রয়োগ থেকে; মানসিক কারণে, ভিটামিনের অভাবে, কোন রাসায়নিক সংস্পর্শে এই ব্রণ হতে পারে, ঋতুস্রাবের ঠিক আগে মেয়েদের এই আক্রমণ বেশী হতে দেখা যায় ।
সাবধানতা – রোগীকে ভাল করে হাত পা মুখ গা ধুতে হবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন চামড়া ছড়ে না যায়। মুখে ও আক্রান্ত অঙ্গে হাতের ছোয়া না দেওয়াই ভাল। প্রসাধন দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে বা একেবারে বন্ধ করতে হবে ও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ঐ আক্রান্ত অঙ্গে যেন কোন রকম উত্তেজনা না আসে। ভিটামিন ‘A’-র যখন যখন প্রয়োগ হবে তখন যেন আক্রান্ত অঙ্গে বেশী রোদের তাপ না লাগে। মানসিক উত্তেজনা যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
[Acne vulgaris = এ্যাকনে ভ্যালগেরিস-সাধারণ ব্রণ]
সকল পটাশ লবনের মত, এটিও হৃদপিন্ডকে দুর্বল করে ও গায়ের তাপ কমিয়ে দেয়। এই ঔষধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে, ব্রোমিনের বিষক্রিয়া শরীরে প্রকাশ পায়। সাধারণভাবে মানসিক শক্তির লোপ, স্মৃতি শক্তির লোপ, বিষন্নতা, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর স্পর্শলোপ, বিশেষ করে চোখ, গলা ও চামড়ার; ব্রণ; কামেচ্ছা কমে যায়, পক্ষাঘাত গ্রস্ত। সোরিয়্যাসিস রোগের প্রধান ঔষধ। পুরাতন গেঁটে বাতে অস্থিগুটির উদ্ভব। সন্ন্যাস রোগের ন্যায় লক্ষনের উক্ত, এই লক্ষন মূত্রবিকার বা ইউরিমিয়া অথবা অন্যান্য রোগ লক্ষণ সহ প্রকাশ পেতে পারে; নিদ্রালুতা, নাসিকা ধবনি, তড়কা, বাকরোধ, প্রস্রাবে অ্যালবিউমিনের উপস্থিতি। মৃগী (তৎসহ লবনবিহীন খাদ্য)।
মন — গভীর, বিষন্নতাসহ মানসিক বিভ্রান্তি; নৈতিক চরিত্রের অসম্পূর্ণতা সম্বন্ধীয় অনুভূতি; ধর্মীয় বিষাদগ্রস্ততা; তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে এই জাতীয় মানসিক বিভ্রান্তি। রোগী মনে করে তাকেই কেবল মাত্র বাছাই করে নিয়ে ঈশ্বরের প্রকোপের পাত্র করা হয়েছে। স্মৃতিশক্তির স্বল্পতা। অবশ্যই কিছু কাজ তাকে করতেই হবে— সর্বদা ঘুরে বেড়ায়; অস্থির হয়ে পড়ে (ট্যারেন্টুলা)। বিষ খাইয়ে দেবে এই জাতীয় ভয় (হায়োসায়েমাস)। স্মৃতিবিলোপসহ বাকরোধ; রোগী কে যে শব্দ বলা হয় সেই শব্দ সে বলতে পারে, কিন্তু অন্যভাবে সে বলতে পারে না। রাত্রিতে ভয়। ভীতিজনক বিভ্রান্তি। প্রবল প্রলাপ।
মাথা – আত্মহত্যা করার প্রবনতা সহ কাঁপুনি। মুখমন্ডল রক্তিমাভ। মাথার ভিতর অসাড়তার অনুভূতি। মস্তিষ্কের ভিতর শূন্যবোধ। সর্দি, তৎসহ গলা পর্যন্ত প্রসারিত হবার প্রবণতা যুক্ত।
গলা — আলজিহ্বা ও গলকোষের রক্তাধিক্য। গলকোষ, গলবিল ও কণ্ঠনালীর অসাড়তা। ঢোক গিলতে কষ্ট, বিশেষকরে তরল বস্তু গিলতে। (হায়োসায়েমাস)।
পাকস্থলী – বমি, তৎসহ প্রচুর পিপাসা, প্রতিবার আহারের পরে। একটানা হিক্কা (সালফিউরিক অ্যাসিড)।
উদর – মনে হয় যেন অস্ত্রগুলি পড়ে যাবে। শিশুদের কলেরা, তৎসহ রোগশক্তির প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্কের উত্তেজনা তৈরী করে, পেশীসমূহের ঝাঁকুনি ও নর্তন। সবুজ, জলের মত মল তৎসহ প্রচুর পিপাসা, বমি। চক্ষু কোটারগত। দুর্বলতা। পেটের ভিতরে শীতলতা বোধ। উদরাময় তৎসহ প্রচুর রক্তপাত। সবুজ, জলের মত মল। তলপেট ভিতর দিকে টেনে ধরে।
প্রস্রাব সম্পর্কিত যন্ত্রসমূহ — প্রস্রাব নলীর অনুভূতি শক্তির লোপ। প্রস্রাব প্রচুর, তৎসহ পিপাসা। ডায়েবিটিস (ফসফোরিক অ্যাসিড)।
পুরুষের রোগ – দুর্বলতা ও ধবজভঙ্গ। অতিরিক্ত সঙ্গমের কুফল, বিশেষতঃ স্মৃতিশক্তির লোপ, অঙ্গসঞ্চালনে সঙ্গতির অভাব, অসাড়তা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সুড়সুড়ি। আংশিক নিদ্রাকালে কামোত্তেজনা।
স্ত্রীরোগ – চুলকানি। ডিম্বাশয়ের স্নায়ুশূল তৎসহ প্রচন্ড স্নায়বিক অস্বস্তি। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কামোত্তেজনার স্পৃহা। ডিম্বাশয়ের অবুদ।।
শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রসমূহ — আক্ষেপিক ঘুংড়িকাশি। গর্ভাবস্থার প্রতিক্রিয়ার ফলে কাশি। রাত্রে শুষ্ক, দুর্বলকর, খুকখুকে কাশি।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – হাতগুলির অস্থিরতা; হাতের আঙ্গুলগুলির অস্থিরতা সহ স্পন্দন। পেশীসমূহের ঝাঁকুনি ও স্পন্দন।
চামড়া — মুখমন্ডলে ব্রণ, পুঁজযুক্ত উদ্ভেদ সমূহ। চুলকানি; বুকে, কাধে ও মুখমন্ডলে বেশি হয়। চামড়ার স্পর্শজ্ঞান লোপ। সোরিয়্যাসিস।
ঘুম — ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা। প্রচন্ড ঝিমুনিভাব। উত্তেজনা, শোক, ও অত্যধিক কামোত্তেজনার জন্য নিদ্রাহীণতা। রাত্রিতে ভয়। ঘুমের মধ্যে দাঁত কড়মড় করা। ভীতিজনক স্বপ্নসমূহ। ঘুমন্ত অবস্থায় ভ্রমন।
কমা-বাড়া – উপশম, শারীরিক অথবা মানসিক কাজ করার সময়।
শক্তি – এই লবনের কয়েক গ্রেন দানা থেকে ৩x বিচূর্ণ পর্যন্ত। এই লবণটি সহজেই নষ্ট হয়ে যায় এই কথাটি মনে রাখা দরকার। খাবার সঙ্গে লবন বাদ দিলে, এই ঔষধ বেশি কার্যকরী হয় বলে বলা হয়।
অপর নাম – ব্রোমাইড অফ পটাসিয়াম (Bromide of Potassium)
৯ ভাগ পরিশ্রুত জল ও এক ভাগ পটাসিয়াম ব্রোমেট দুরীভূত করে প্রথমে এর জলীয় অথবা দুগ্ধশর্করা সহকারে বিচূর্ণ প্রস্তুত করা হয়। একে কেলি ব্রোমাইডমও বলে।
এই ঔষধ সম্বন্ধে হোমিওপ্যাথির দিক থেকে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। এই ঔষধের নিদ্রাকরগুণ ও মৃগী রোগের (epilepsy) আক্রমণের প্রতি প্রভাববশতঃ অ্যালোপ্যাথেরা মৃগী রোগে ও অনিদ্রায় একে ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত যেমন হয় সেইমত এই ঔষধটিকেও অ্যালোপ্যাথেরা অধিক মাত্রায় ব্যবহার করতেন কিন্তু পরে দেখা গেল যে অধিকমাত্রায় ইহা বিপজ্জনক; তবু বাঞ্ছিত ফল পাওয়ার জন্য একে বেশী মাত্রাতেই দিতে হয়। বেশি মাত্রায় দিয়ে তারা দেখতে পান যে ইহা ওপিয়ামের মত মস্তিষ্কে রক্ত বৃদ্ধি করে আছন্নবৎ নিদ্রা উৎপন্ন করে না, উপরন্তু মস্তিষ্কে রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে কতকটা স্বাভাবিক নিদ্রার ন্যায় নিদ্রা উৎপন্ন করে। তার এই দেখে অ্যালোপ্যাথরা পেয়েছি পেয়েছি” বলে চীৎকার করেছে। কিন্তু হায়! এতে অত্যধিক এবং দীর্ঘকাল স্থায়ী রক্তাল্পতার জন্য মস্তিষ্কের টিসু সমূহের অপুষ্টি ঘটে; ফলে অবসাদ, বিষাদ বায়ুরোগ, উন্মাদ ও মস্তিষ্কের কোমলতার নিদর্শন প্রকাশ পায়। একথা এই ঔষধের প্রধান সমর্থনকারী ডাঃ হ্যামণ্ডও স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে অন্যান্য ঔষধ অপেক্ষা আরো বেশী সংখ্যক রোগীকে উন্মাদাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু এইজন্য কি আমরা একে নিরাপদে ব্যবহার করতে পারি? হাঁ, অন্যান্য ঔষধের মত কেলি ব্রোমেটাম দ্বারা যে সব লক্ষণ উৎপন্ন হয় সেইসব লক্ষণের অনুরূপ লক্ষণযুক্ত রোগে একে ব্যবহার করা হয়। তবে আমি এই ঔষধটিকে হোমিওপ্যাথি মতে ব্যবহারের উপযুক্ত লক্ষণসমূহ দেখবার মত ভালভাবে বুঝিনি। তবুও একটি লক্ষণ আছে যাকে আমি প্রকৃত নির্দেশক লক্ষণের ন্যায় মূল্যবান বলে মনে করি, যথা “হাতের অস্থিরতা” (fidgety hands)। রোগী অবিরত হাতদুটি নিয়ে কিছু করে কাজ করে বা খেলা করে; অথবা শয্যা বস্ত্রের উপর আঙ্গুলগুলি নাড়াচাড়া করে এবং তাতে তার কতকটা অনিদ্রার উপশম হয়। সে তার ঘড়ির চেন বা হাতের ছড়ির মাথা নিয়ে খেলা করে অর্থাৎ রোগীকে তার স্নায়বিকতার আধিক্য দূর করার জন্য কিছু না কিছু করতেই হয়।
পার্থক্য-
“পদদ্বয়ের অস্থিরতা” জিঙ্কামের লক্ষণ। সৰ্ব্বাঙ্গীন অস্থিরতা বা অস্বচ্ছতা, রোগী চুপ করে বসে থাকতে পারে না; অবিরত অবস্থান পরিবর্তন করে ফসফরাসের লক্ষণ; রাসটাক্সের নড়াচড়ায় বেদনার উপশম হয় বলে রোগী সবসময় নড়াচড়া করে; ফসফরাসের রোগী কিন্তু একান্ত ভাবে স্বায়বীয় বলেই এরূপ করে।
* হোমিওপ্যাথি মতে কেলি ব্রোমেটামের ব্যবহার আরো ভালভাবে জানা উচিত।