কোনরুপ পরিশ্রম করতে অনিহা, অত্যন্ত পরিশ্রম করলে যেরুপ দুর্বলতা হয় সেরুপ দুর্বলতা। |
হাঁটার সময় বমি ভাব ও সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে। |
সর্বদা বমিভাবের সহিত বাতজ্বর, ডায়াবেটিস, গাঁটে গাঁটে ফুলা ও ব্যথা, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। |
সকালের দিকে বমি বমিভাব, ডায়েবিটিস এবং বাতরোগ, এই ঔষধের উপযুক্ত কার্যক্ষেত্র। স্তন্য গ্রন্থির উপসর্গসমূহ। বাহ্যিকভাবে, স্বরতন্ত্রীর টি.বি.জাতীয় ক্ষতে প্রযোজ্য।
পাকস্থলী — জিহ্বা শুষ্ক, খখসে। পিপাসা; রাক্ষুসে ক্ষুধা। মুখের ঘা, প্রচুর লালাস্রাব ও মুখ দিয়ে জল উঠে। বমিবমিভাব; সকলের দিকে বমিবমিভাব, বিশেষ করে ফ্যাকাশে, রক্তাল্পতা যুক্ত স্ত্রীলোকেদের ক্ষেত্রে। উত্তপ্ত, ক্ষয়কর ঢেকুর। বমিবমিভাব; আহারে উপশম। পাকস্থলী থেকে গলা পর্যন্ত জ্বালাকর, উত্তপ্ত গ্যাস বেরিয়ে থাকে, এর ফলে প্রচুর চটচটে শ্লেষ্মা স্রাব হয়ে থাকে, ধূমপানে বৃদ্ধি।
গলা — পূর্ণতার অনুভূতি অথবা বায়ুপূর্ণ বলের ন্যায় একটি পিন্ড থাকার মত অনুভূতি। অবিরাম ঢোক গিলতে থাকে। গলার নিম্নাংশে সঙ্কোচনের অনুভূতি।
বুক – দুটি স্তনগ্রন্থিতে বেদনা, তৎসহ বগলের গ্রন্থির বিবৃদ্ধি এবং বেদনা হাত পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ — সন্ধিস্থানে ও কাঁধে, কজিতে ও হাঁটুদ্বয়ে বাতজ বেদনা, তৎসহ প্রচন্ড দুর্বলতা। হাঁটার সময় সমগ্র শরীরে কম্পন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে শীতবোধ।
প্রস্রাব – বারে বারে, প্রচুর পরিমানে মূত্রত্যাগ। প্রস্রাবে শর্করার উপস্থিতি।
শক্তি – ৩য় থেকে ৩০ শক্তি। একটি ছোট গ্লাসের একগ্লাস জলে ছয় থেকে দশ ফোঁটা মাত্রায় পাকস্থলী ও অন্ত্রের তরুন প্রদাহে প্রযোজ্য।
অপর নাম — অ্যাসিডাম ল্যাটিকাম (Acidum Lacticum
টক দুধ থেকে এই অ্যাসিড তৈরী হয়। ইহা অতিশয় বিদাহী। অ্যালকোহল সহকারে বিশুদ্ধ ল্যাকটিক অ্যাসিডের ক্রম প্রস্তুত হয়।
ইহা ডায়াবিটিস মেলিটাস বা মধুমেহ বা বহুমূত্রের এক অত্যুকৃষ্ট ঔষধ। অতিশয়, ক্ষুধা, পিপাসা ও অধিক পরিমাণে শর্করাযুক্ত প্রচুর পরিমাণে মূত্র লক্ষণের সঙ্গে সন্ধিতে বাতবেদনার ক্ষেত্রে ইহা বিশেষভাবে কার্যকরী ঔষধ। সাধারণতঃ ইহা নিম্নক্রমেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা ইহা উচ্চক্রমেও যথেষ্ট উপকার করে এবং সেক্ষেত্রে একে বারবার ব্যবহার করতে হয় না।