তীক্ষ্ণ, কেঁটে ফেলার মত, ছুরি দিয়ে খোঁচানোর মত, তীর বেঁধার মত, সূচ ফোটানোর মত, কষে ধরার মত ব্যথা, হঠাৎ করে ব্যথার স্থান পরিবর্তন করে। |
বিদ্যুৎবেগে বেদনা উপস্থিত হয় আবার হঠাৎ চলে যায়। |
গরম ও চাপে উপশম। |
রোগী ক্লান্ত, শান্ত ও অলস, সোজা হয়ে বসে থাকতে কষ্ট। |
ক্যাথেটার গ্রহণের পর মূত্র ধারণে অক্ষমতা। |
উপযোগিতা – চেহারা পাতলা, শুকিয়ে গেছে অত্যন্ত স্নায়বিক (Nervous), গায়ের রঙ কাল বিশেষতঃ তাদের রোগে উপযোগী । দেহের ডানদিকের রোগ । মাথা, কান, মুখ, বুক, ডিম্বাশয়, সায়াটিক নার্ভ সব ডান দিকে আক্রান্ত হয় (বেল, ব্রায়ো, চেলিডো, কেলি-কা, লাইকো, পডো) ।
ব্যথা যন্ত্রণা — তীব্র কেটে ফেলা মত, ছুরি দিয়ে বেঁধার মত, ছুঁচ ফোটানো মত, বিদ্যুৎ চমকের মত একবার আসে আবার পরক্ষণেই চলে যায় (বেল); সবিরাম আক্ষেপজনক, সহ্য করা যায় না-যন্ত্রণায় পাগলের মত করে । ব্যথা দ্রুতগতিতে স্থান পরিবর্তন করে (ল্যাক-ক্যা, পালস) সেইসাথে টেনে ধরার মত আড়ষ্টভাব (ক্যাকটাস, আয়োডি, সালফ) পাকস্থলী, তলপেট ও পেলভিসের স্নায়ুসংক্রান্ত রোগে খিচে ধরার মত বেদনা (কলোফা, কলোসি) এসব লক্ষণেও ওষুধ ব্যবহায্য ।
ঠান্ডা বাতাসে অত্যন্ত ভীতি, দেহ খোলা রাখতে ভয়, আক্রান্ত অঙ্গে ছোঁয়া লাগার ভয় ঠান্ডা জলে স্নানের ও ধৌত করার ভয়, নড়াচড়ায় ভয়, দুর্বল, ক্লান্ত, অবসন্ন উঠে বসতে পারে না । ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে থেকে বা কাদামাটিতে কাজ করার ফলে রোগ হলে (ক্যালকে-কা) ব্যবহার্য ।
দাঁত ওঠার বয়সের শিশুদের রোগ দাত উঠার সময় আক্ষেপ হয় জ্বর থাকে না এ লক্ষণে প্রযোজ্য । (ঐ সময় জ্বর থাকে, মাথা ও চামড়া গরম বেল) ।
মাথাযন্ত্রণা — মাথার পেছনদিকে শুরু হয়ে সারা মাথায় ছড়িয়ে পড়ে স্যই, সাইলি, স্কুলের মেয়েদের মাথা যন্ত্রণায় মুখ লাল আগুনের হলকার মত অনুভূত হয় । মানসিক আবেগ, পরিশ্রম বা বেশী পড়াশোনা করে মাথাযন্ত্রণা হয় সকাল 10টা হতে 11টা থেকে বিকেল 4/5টা পর্যন্ত বেড়ে যায়-চাপ দিলে ও বাইরের উত্তাপে উপশম হয় ।
স্নায়ুশূল – মুখের, চোখের গর্তের ওপর বা নীচের দিকে, ডানদিকের, ব্যথা কেটে ফেলামত—যা ছোঁয়া লাগালে, ঠান্ডা বাতাসে, চাপ লাগলে বেড়ে যায়। বাহ্যিক উত্তাপে কমে—এসব লক্ষণে ম্যাগ ফস প্রযোজ্য । দাঁতে ব্যথা — রাতে হয় । দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে কিছু খেলে, পান করলে বিশেষতঃ ঠান্ডা কিছু পান করলে । ব্যথা বেড়ে যায়, উত্তাপে কমে । (ঠান্ডায় কমে, ব্রায়ো, কফিয়া, ফেরাম—ফ) ।
পাকস্থলীতে খিঁচে ধরা বা আক্ষেপমত বেদনা, সাথে কোন শক্ত বাঁধনে দেহ আটা আছে এই অনুভূতি, জিব পরিষ্কার।
পেটে শূলবেদনা – বায়ু জমে হয়, রোগী দুভাজ হাত বাধ্য হয়—উত্তাপে, ঘষলে বা জোরে পেট চেপে ধরলে (কলোসি, প্লাম্বাম) উপশম হয় । গরু বা ঘোড়ার ঐরূপ হলে কলোসিন্থ দিয়ে না সারলে এ ওষুধে উপশম হয় ।
ঋতুস্রাব – নির্দিষ্ট সময়ের আগে, ঘন, আঠালো, স্রাবের আগে ব্যথা বাড়ে স্রাব শুরু হলে ব্যথা কমে (ল্যাকে, জিঙ্কাম)।
ব্যথা বিঁধে যাওয়া মত, বিদ্যুৎ চমকের মত, তীব্র বেঁধামত ডানদিকে বাড়ে, উত্তাপে ও শরীর দুভাজ করলে কমে । ব্যথা হতে যোনিপথের পেশীতে আক্ষেপ হয়।
অসাড়ে প্রস্রাব – রাতে, স্নায়বিক উত্তেজনায়—প্রস্রাব ফ্যাকাসে বর্ণ পরিমাণে অনেকটা ও ক্যাথিটার প্রয়োগের পর অসাড়ে প্রস্রাব হয় ।
হাত-পায়ে খিচে ধরা—গর্ভাবস্থায়, লেখকদের বা পিয়ানো বা বেহালা বাদকদের ঐরূপ হলে ব্যবহার্য ।
সম্বন্ধ — বেল, কলোফা, কলোসি, লাইকো, ল্যাক-ক্যা, প্যালস্ এ ওষুধের সাথে তুলনীয়। ক্যামো এর উদ্ভিজ্জ সমগুণ ।
গরম জলের সাথে ব্যবহারে সময় সময় ভাল ফল দেয় ।
বৃদ্ধি — ঠান্ডা বাতাসে, জোরে ঠান্ডা বাতাস লেগে বা ঠান্ডা ঝোড়ো বাতাস লেগে, ঠান্ডা জলে স্নান বা ধৌত করে, নড়াচড়ায়, স্পর্শে ।
উপশম — দেহ দুভাজ করলে, উত্তাপে, গরমে, চাপে (বেদনা জ্বালাযুক্ত উত্তাপে উপশম—আর্স) ।
শক্তি — ৩x, ৬x, ৩০, ২০০ ।
এটি আক্ষেপ বিনাশকারী একটি মহৌষধ বিশেষ। পেশীসমূহের খিলধরা তৎসহ প্রসারণশীল বেদনা। স্নায়ুশূল, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম হয়। ঔষধটি বিশেষ করে ক্লান্ত, নিস্তেজ ও শ্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। মানসিক পরিশ্রমে ইচ্ছার অভাব। গলগন্ড।
মন- সর্বদা যন্ত্রণাসম্পর্কে বিলাপ করে। পরিষ্কার করে চিন্তা করতে অক্ষম। অজীর্ণ হেতু অনিদ্রা।
মাথা – নড়াচড়া করলে মাথা ঘোরে, চোখ বন্ধ করলে সামনের দিকে পড়ে যায়, মুক্ত বাতাসে হাঁটা-চলা করলে উপশম। মানসিক পরিশ্রমের পরে বেদনা, তৎসহ শীত শীতভাব; সর্বদা উত্তাপে উপশম। (সাইলেসিয়া) মাথার ভিতরে পদার্থ সমূহ তরল বলে মনে হয়, মনে হয় যেন মস্তিষ্কের অংশ সমূহ স্থান পরিবর্তন করছে, যেন মাথার উপরে টুপি আছে এই জাতীয় অনুভূতি।
চোখ – চক্ষু কোটরের উপরের অংশে বেদনা, ডানদিকে বৃদ্ধি; বাহ্যিকভাবে উত্তাপ প্রয়োগে উপশম। অশ্রুস্রাবের পরিমাণের বৃদ্ধি। চোখের পাতা সমূহের নর্তন। অনৈচ্ছিকভাবে চোখের তারার নড়াচড়া, ট্যারাদৃষ্টি, চোখের পাতা ঝুলে পড়া। চোখ উত্তপ্ত, ক্লান্ত, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখের সামনে রঙিন আলোক দেখে।
কান – তীব্র স্নায়ুশূল, ডান দিকের কানের পিছনের অংশে বেশি হয়; ঠান্ডা বাতাসে গেলে ও ঠান্ডা জলে মুখমন্ডল এবং ঘাড় ধুলে বৃদ্ধি পায়।
মুখগহ্বর – দাঁতের বেদনা, উত্তাপে ও গরমে তরলপদার্থে উপশম। দাঁতের ক্ষয়, তৎসহ মুখমন্ডল, গলা ও ঘাড়ের গ্রন্থি সমূহের স্ফীতি এবং জিহ্বার স্ফীতি। দন্তোদগম শিশুদের উপসর্গ সমূহ। জ্বরের লক্ষণ ছাড়াই আক্ষেপ।
গলা – ক্ষততা ও আড়ষ্টতা, বিশেষভাবে ডানদিকে; গলার অংশগুলি স্ফীত বলে মনে হয়, তৎসহ শীতবোধ, এবং সর্বত্র কনকণানি।
পাকস্থলী – হিক্কা, তৎসহ দিন-রাত ওয়াকটানা। খুব ঠান্ডা জল পানের তৃষ্ণা।
উদর – অন্ত্রশূল, চাপে উপশম। পেট ফাঁপা হেতু শূল বেদনা। বেদনার জন্য রোগী দ্বিভাঁজ হতে বাধ্য হয়। ঘষে দিলে উত্তাপ প্রয়োগে, চাপে উপশম, তৎসহ বায়ুপূর্ণ ঢেকুর উঠে। কিন্তু ঢেকুর কোন উপশম হয় না। উদর স্ফীত, পূর্ণতার অনুভূতি; পেটের কষে থাকা জামা-কাপড় ঢিলা করতে বাধ্য হয়, ঘুরে বেড়ায় ও অবিরাম বাতকর্ম করতে থাকে। পেটে ফাঁপা ও অর্জীর্ণ হেতু বাতরোগ গ্রস্ত ব্যক্তিদের কোষ্ঠ কাঠিণ্য।
স্ত্রীরোগ – ধাতুস্রাব সম্পর্কিত শূল বেদনা। কষ্টকর রজঃ তৎসহ স্রাবের ফালি- ফালি বস্তুর উপস্থিতি। ধাতু স্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে, কালোবর্ণের, দড়ির মত। স্ত্রী যৌনাঙ্গের বাইরের অংশের স্ফীত। ডিম্বাশয়ের স্নায়ুশূল। যোনিপথের আক্ষেপ। শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রসমূহ- হাঁপানীহেতু বুকের ভিতরে ভারীবোধ ও শ্বাস কষ্ট। শুষ্ক, সুড়সুড় কর কাশি। আক্ষেপিক কাশি, তৎসহ শোবার সময়ে কষ্ট হয়। হুপিং কাশি (কোরালিয়াম)। স্বরভঙ্গ, কন্ঠনলীতে টাটানি ব্যথা ও আংশটি দেখতে কাঁচা ছাল ওঠা অংশের ন্যায়। পঞ্জরাস্থির মধ্যবর্তী অংশে স্নায়ুশূল।
হৃদপিন্ড-হৃদশূল । স্নায়বিক আক্ষেপিক হৃদকম্প। হৃদপিন্ডের চারিপাশে সঙ্কোচনের ন্যায় বেদনা।
জ্বর – রাত্রে আহারের পরে ও সন্ধ্যায় শীতবোধ। শীতভাব পিঠেব ভিতর দিয়ে একবার উপর দিক ও একবার নীচের দিকে উঠানামা করে, তৎসহ কম্পন, এর পরে শ্বাসরোধের ন্যায় অবস্থা দেখা দেয়।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – হাতগুলি অনৈচ্ছিকভাবে কাঁপতে থাকে। সকম্প পক্ষাঘাত। পায়ের ডিমের খিলধরা। সায়েটিকা ; পাগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। টেনে ধরার ন্যায় বেদনা। স্পন্দন, নর্তন, লেখক ও বাদ্যযন্ত্রের বাদকের খিলধরা। ধনুষ্টঙ্কার হেতু আক্ষেপ। বাহুগুলি ও হাতগুলির দুর্বলতা, যাতের আঙ্গুল গুলির অগ্রভাগের আড়ষ্টতা। সাবির্ক পেশী সমূহের দুর্বলতা।
কমা–বাড়া-বৃদ্ধি, ডানদিকে, ঠান্ডায়, স্পর্শে, রাত্রে।
উপশম — উত্তাপে, দ্বিভাঁজ হলে, চাপে ও ঘর্ষণে।
সম্বন্ধ-তুলনীয় – ক্যালিফস ; কলোসিন্থ ; সিলিকা ; জিঙ্কাস; ডায়োস্কোরিয়া।
দোষঘ্ন – বেলেডোনা ; জেলস; ল্যাকেসিস।
শক্তি – ১ম থেকে ১২ শক্তি। কোন-কোন সময় উচ্চতর শক্তি উপযুক্ত বলে মনে হয়। উষ্ণ জলের সঙ্গে দিলে ভালো কাজ করে।
ম্যাগ্নেশিয়া ফস ইহার আক্ষেপজনক অবস্থা ও স্নায়ুশূলের জন্য সর্বাপেক্ষা বেশী পরিচিত। যন্ত্রণা অত্যন্ত ভীষণ হয় এবং যে-কোন স্নায়ুকে আক্রমণ করিতে পারে। যন্ত্রণাটি কোন একটি স্নায়ুতে স্থান পরিগ্রহ করে এবং ক্রমশঃই খারাপ হইতে থাকে এবং সময়ে সময়ে থাকিয়া থাকিয়া উপস্থিত হয় কিন্তু এতই তীব্র হইয়া উঠে যে, রোগী পাগলের ন্যায় হইয়া পড়ে। যন্ত্রণা উত্তাপে ও চাপনে উপশমিত হয়। রোগী গরম স্থানে অনেকটা ভাল বোধ করে এবং তাহার স্নায়ুশূলও কিছুটা ভাল থাকে। তাহার কষ্টের সীমা থাকে না এবং যখন সে শীতল হয় বা শীতল স্থানে থাকে, তখনই তাহার যন্ত্রণা উপস্থিত হয়। অনেকক্ষণ যাবৎ শীতল বাতাসে উন্মুক্ত থাকিলে মুখমন্ডলের স্নায়ুশূল উপস্থিত হয়।
সর্বত্রই যন্ত্রণা উপস্থিত হইতে পারে। অন্ত্রাদিতে যন্ত্রণা, অন্ত্রশূল, পাকস্থলীতে ও অন্ত্রে খালধরা; হ্রাস-বৃদ্ধিলক্ষণ পূর্বোক্তরূপ। মেরুমজ্জাতে এই একই প্রকার যন্ত্রণা-উত্তাপে উপশম। সময়ে সময়ে, যে স্নায়ুটিতে যথেষ্ট যন্ত্রণা থাকে, তাহা চাপে অত্যনুভূতি বিশিষ্ট হইয়া পড়ে, ক্ষতবৎ বেদনাযুক্ত হইয়া পড়ে। মেরুদন্ডরঙ্কু ক্ষততাযুক্ত হয়। অঙ্গাদির আড়ষ্টতার সহিত আক্ষেপ। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি বা শিশুদিগের আক্ষেপ, পরে স্পর্শে, বায়ুপ্রবাহে, শব্দে, উত্তেজনায়, সবকিছুতেই অত্যন্ত অনুভূতিযুক্ত হইয়া পড়ে। দন্তোদমকালে শিশুদের যেরূপ আক্ষেপ হয়, তদ্রুপ আক্ষেপ। শূলবেদনা, তিন মাসের শূলবেদনা, খালধরা পিত্তশূল। কিন্তু ইহার বিশেষ লক্ষণ দুর্বল করিবার শক্তি, স্নায়ু ও পেশীর উপদাহ উৎপাদন করিবার শক্তি। দীর্ঘকাল যাবৎ পরিশ্রম করার পর খালধরা। দীর্ঘকাল যাবৎ পরিশ্রম করার জন্য কোন স্নায়ুর আড়ষ্টতা; অসাড়তা, অকুশলতা ও বোধশক্তিহীনতা। সুতরাং লেখার কার্যে দীর্ঘকাল হাত ও আঙ্গুলের ব্যবহারের জন্য ইহার প্রয়োজন হয় এবং উহাই লেখকদের আঙ্গুলের আড়ষ্টতার একটি উদাহরণ। ইহা লিখিবার কার্য্যে, বাদ্যযন্ত্র বাজানর ফলে, পিয়ানো বাজানর ফলে আঙ্গুলের খালধরার পক্ষে বিশেষভাবে উপযোগী হইয়া থাকে। পিয়ানো বাদকেরা অনেক বৎসর যাবৎ প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা করিয়া পরিশ্রম করার পর হঠাৎ হস্তাঙ্গুলির আড়ষ্টতার জন্য অক্ষম হইয়া পড়েন। আঙ্গুলগুলি অসাড় হইয়া যায়। বীণা বাজানর সময় খালধরা উপস্থিত হইতে পারে, তখন আঙ্গুলগুলি আর তাহাদের কাৰ্য্য করে না। অন্যান্য অঙ্গগুলি দীর্ঘকাল পরিশ্রমের পর একই ভাবে আক্রান্ত হয়। সময়ে সময়ে মজুরদের হাতেও খাল ধরে এবং উহা প্রায় অকর্মণ্য হইয়া পড়ে। যখনই সে কোন বিশেষ কাৰ্য্য করিতে যায়, তখনই তাহার হাতে খাল ধরে এবং সে হয় আঙ্গুল দিয়া আক্রান্ত যন্ত্রটি জোরে চাপিয়া ধরে অথবা ছড়াইয়া দেয়। সূত্রধরদের দীর্ঘকাল বিশেষ কোন যন্ত্র লইয়া কাজ করার পর খাল ধরে। সকল প্রকার অতিশ্রমের ফলে এইরূপ খালধরা এই ঔষধটি একটি বিশেষ লক্ষণ।
আমাশয় ও সাঙ্ঘাতিক কলেরায় ভীষণ খালধরা, উহাতে রোগী বিকট চিৎকার করিয়া উঠে। কলেরায় যেরূপ হয়, তদ্রূপ দেহের সর্বত্র পেশীগুলির অস্বাভাবিক সঙ্কোচন। ইহা সুসলারের নিকট তান্ডব নৰ্ত্তন রোগের প্রধান ঔষধ ছিল, কিন্তু আমরা কেবলমাত্র ইহার পরীক্ষাফল অনুসারেই প্রয়োগ করিয়া থাকি। সুসলার সকল প্রকার স্নায়বিক অবস্থাতেই ইহা প্রয়োগ করিতেন, কিন্তু ইহার পরীক্ষা হইতে দেখা যায় যে, ইহার সার্থকতা কেবলমাত্র উত্তাপে ও চাপে উপশমিত হয়—এরূপ স্নায়ুশূলে, খালধরায় এবং পেশী সঙ্কোচনে। স্নায়ু বরাবর তীরবৎ বেদনা, কিন্তু উহা আবেশে আবেশে আগত ছিন্নকর বেদনার ন্যায় তত সাধারণ নহে; বেদনা যেন স্নায়ুটি প্রদাহিত হইয়া উঠিয়াছে এবং বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছে। কম্পনশীল পক্ষাঘাতের ন্যায় কম্পন এবং অনুরূপ উপসর্গসমূহ। উত্তাপে ও চাপনে উপশম; ঠান্ডায়, ঠান্ডাজলে স্নানে, শীতল বাতাসে, শীতল আবহাওয়ায়, বস্ত্রাদির অভাবে বৃদ্ধি। সর্বাঙ্গের যন্ত্রণা, কিন্তু খুব সম্ভবতঃ বিশেষ কোন অঙ্গের সীমাবদ্ধ যন্ত্রণা ।
মানসিক লক্ষণগুলি বিশেষভাবে পরিস্ফুট হয় নাই। রোগীক্ষেত্রে হঠাৎ উদরাময় বন্ধ হইয়া গিয়া মস্তিষ্ক-লক্ষণ দেখা দিলে ইহা ব্যবহৃত হইয়াছে। মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয়, কিন্তু উহা একটি রোগীদেহে প্রাপ্ত লক্ষণ। স্নায়ুশূল ও বাতজনিত শিরঃপীড়া, উত্তাপে উপশমিত হয়। স্ক্রু বসানর ন্যায় যন্ত্রণা। তীব্র শিরঃপীড়ার আক্রমণ, কঠিন চাপে, উত্তাপে ও অন্ধকারে উপশম। আমি পুরাতন রক্তসঞ্চয়জনিত শিরঃপীড়ায় এইরূপ উপশম দেখিয়াছি, তখন রোগীর মুখমন্ডল লাল হইয়া পড়িয়াছিল এবং প্রায় বেলে’র অনুরূপ দপদপানি ছিল। এইরূপ শিরঃপীড়া উত্তাপে ও চাপে উপশমিত হইলে, ম্যাগ্নেশিয়া ফসে তাহার নিবৃত্তি হয়। রোগী মাথাটি জোর করিয়া কাপড় দিয়া বাধিয়া রাখিতে চায়, গরম ঘরে থাকিতে চায় এবং ঠান্ডায় বৃদ্ধিযুক্ত হয়।
চক্ষের চারিদিকে আক্ষেপ ও উৎক্ষেপ অথবা দীর্ঘকাল স্থায়ী বলবৎ সঙ্কোচনের ফলে টেরাদৃষ্টি। চক্ষুকক্ষের ঊর্ধ্বভাগে অথবা নিম্নভাগে তীব্র যাতনা, উত্তাপে বা চাপনে উপশমিত হয়। ইহা অন্যান্য বেদনা অপেক্ষা মুখের যন্ত্রণাই বেশী আরোগ্য করিয়াছে। মুখমন্ডলের স্নায়ুশূল, দক্ষিণ পার্শ্বে অধিক এবং উত্তাপে ও চাপে উপশমিত হয়, ঠান্ডায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। মুখমন্ডলের স্নায়ুশূল। মুখমন্ডলের পুরাতন উৎক্ষেপ। ইহা স্নায়ুশূলে কষ্ট পায়, এরূপ বাত ও গেঁটেবাতযুক্ত রোগীকে বিশেষভাবে বাছিয়া লয়। ইহা আক্ষেপজনক হিক্কার পক্ষে একটি আশ্চর্য্য ঔষধ। হিক্কা উঠার সময় যখন আমি অন্য ঔষধ ব্যবহার করার মত লক্ষণ পাই নাই, তখন ম্যাগ্নেশিয়া ফস ব্যবহার করিয়াছি।
পাকস্থলী গহ্বরে যন্ত্রণা। পরিষ্কার জিহ্বার সহিত পাকস্থলীর আক্ষেপ। কলোসিন্থে’র ন্যায় দ্বিভাজ হইলে উপশমিত হয়, এরূপ আক্ষেপ এবং উহা উত্তাপে উপশমিত হয়। কলোসিন্থে উদরশূল উত্তাপে খুব স্পষ্টভাবে উপশমিত হয় না, কিন্তু চাপে উপশমিত হয়। অত্যন্ত যন্ত্রণার সহিত পেট ফাপ এবং পেটে বায়ুসঞ্চয়। উদরে চারিদিকে বিস্তারশীল যন্ত্রণা। রোগী হাঁটিয়া বেড়াইতে এবং গোঁ গোঁ শব্দ করিতে বাধ্য হয়। উদরাধ্নান। ইহা গরুদিগের এই অবস্থা আরোগ্য করে বলিয়া কথিত হয়। ক্লোভারের চাপডা খাইয়া গরুর উদরের বায়ুস্ফীতি হইলে কলচিকাম’ তাহা আরোগ্য করে।
অর্শে কাটিয়া ফেলার ন্যায়, বর্শাবিদ্ধ করার ন্যায় যাতনা। ভালভাবে পরীক্ষিত হইলে আমরা হয়ত অনেকগুলি যকৃৎ লক্ষণ পাইতাম, কারণ ‘ম্যাগ্নেশিয়া ও ফস’ উভয়ের মধ্যেই যকৃলক্ষণ আছে।
তরুণ বাতে ভীষণ যন্ত্রণা, উত্তাপে উপশমিত হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে স্নায়ুশূল প্রকৃতির যন্ত্রণা। অনেক উপসর্গের বিশ্রামে উপশম হয় এবং সামান্য সঞ্চালনেই তাহারা উপস্থিত হয়। যন্ত্রণা স্থান পরিবর্তন করে।
অপর নাম – ফসফেট অফ ম্যাগ্নেসিয়া (Phosphate of Magnesia)
এর বিচূর্ণ প্রস্তুত হয়।
ম্যাগ ফসের – মূলকথা
১। সকলস্থানেই খালধরা বেদনা, এই বেদনা বিদ্যুতের ন্যায় দ্রুতবেগে আসা যাওয়া করে।
২। জ্বর ছাড়া আপেক্ষিক রোগ। পেটের কলিক বেদনা (উদরশূল বেদনা), হুপিং কাশি, পায়ের ডিমে খা ধরা প্রভৃতি রোগে এই ঔষধ প্রযোজ্য।
৩। উপচয়- উপশম :- বৃদ্ধি – ঠাণ্ডা বাতাসে, ঠাণ্ডা জলে ও স্পর্শে উপশম- উত্তাপে, উষ্ণতায়, গরম তাপ প্রয়োগে, প্রচাপনে ও দুভাজ হয়ে সামনে ঝুঁকলে।
ম্যাগফস – পরিক্রমা
১। এখন আমরা ম্যাগ্নেসিয়ার রাজার কথা বলছি। ঔষধটি অপেক্ষাকৃত নূতন এবং ভেষজতত্ত্বে এর গুরুত্ব ও গুণের উপযুক্ত স্থান কখনই দেওয়া হয়নি। ডাঃ এইচ. সি অ্যালেন এর সর্বোৎকৃষ্ট বর্ণনা দিয়েছে। তার ১৮৮৯ সালে সম্পাদিত ইনটার ন্যাশানাল হ্যানিম্যানিয়াম এসোসিয়েশনের কাৰ্য্য বিবরণীতে ম্যাগ্নেসিয়া। ফস আমাদের স্নায়ুশল বা বেদনার পক্ষে একটি সর্বোৎকৃষ্ট ঔষধ। অন্য কোন ঔষধেই এত বিভিন্ন রকমের বেদনা নেই। বেদনা তীব্র, বিদ্ধ করার ন্যায়, ছুরিকাঘাতের ন্যায়, ছুরি দ্বারা কাটার মত, তীর বিদ্ধবৎ বা বিদ্যুতের ন্যায় একবার আসে ও একবার যায় (বেলেডোনা), থেকে থেকে উপস্থিত হয়, সময়ে সময়ে একেবারে অসহ্য হয়ে উঠে, দ্রুত একস্থান থেকে অন্যত্র সরে যায়, খাল ধরে।
* এই খালধরা কথাটিই আমার মতে সৰ্ব্বাপেক্ষা চরিত্রগত লক্ষণ এবং প্রায়ই পাকস্থলীতে উদরে ও বস্তিগহুরে দেখা যায়। শিশুদের উদরশূলে ইহা ক্যামোমিলা ও কলোসিন্থের সমতুল্য এবং স্নায়বিক প্রকৃতির রজঃশূলে এর সমতুল্য অপর কোন ঔষধ দেখি না। এই শেষোক্ত রোগে আমি সৰ্ব্বদাই ৫০ এম শক্তির ঔষধ দিই। ইহা গ্র্যাভিটি পোটেন্টাইজারে নিজে প্রস্তুত করেছি। সুতরাং উহা ঠিক কি, তা আমি জানি। আমরা এত উচ্চশক্তি দ্বারা আরোগ্যপ্রাপ্ত রোগী বিবরণী প্রকাশ করি। বলে প্রায়ই আমাদের এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আপনারা উহা কোথায় পান এবং আপনারা কি নিশ্চিত জানেন যে, ঐগুলির শক্তি বাস্তবিক কত? আমি যদি আগে না বলে থাকি, তাহলে এখন পরিস্কার ভাবে বলব যে, আমাদের এম এম শক্তির মত উচ্চশক্তির ঔষধও আছে। উহা আমরা নিজেরাই তৈরী করেছি। ঐগুলি নির্ভুলভাবে আমাদের স্বয়ংক্রিয় (self-registering) পোটেণ্টাইজার যন্ত্রে প্রস্তুত এবং ওদের আরোগ্যকর শক্তিও বিস্ময়জনক। ডাঃ সান্টি ও আমি নিজেদের ব্যবহারের জন্য যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছি এবং আজ পর্যন্ত ঐ শক্তিকৃত ঔষধগুলি বাজারে ছাড়িনি। সুতরাং এদের দ্বারা কৃত আরোগ্য বিবরণী প্রকাশ সম্বন্ধে আমাদের কোন ব্যবসায়ীসুলভ মতলব আছে, এরূপ সন্দেহ করা অমূলক।
ম্যাগ্নেসিয়া ফসের খালধরা বেদনার পাশেই এৰ চরিত্রগত উপচয় ও উপশমও মনে রাখতে হবে। যেমন, গরম বাহ্য প্রয়োগে উপশম হয়। আর্সেনিক ছাড়া অন্য আর কোন ঔষধেই ইহা এত সুস্পষ্টভাবে নেই। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় হল – ম্যাগ্নেসিয়া ফসে বহুরকমের বেদনার কথা উল্লেখ করা থাকলেও বিশেষভাবে একটি বিশেষ প্রকার বেদনার কথা উল্লেখ করা নেই, তাহল জ্বালাকরা বেদনা। উহাই আর্সেনিকামেবু চরিত্রগত লক্ষণ। আমি এই পার্থক্যটি লক্ষ্য করেছি এবং দেখেছি যে, যদি জ্বালাকর বেদনা উত্তাপে কমে, তাহলে আর্সেনিকামেই তা উপশমিত হয়, এবং যে সকল বেদনা জ্বালাকর নয় কিন্তু উত্তাপে উপশমিত হয়, তা ম্যাগ্নেসিয়া ফসে আরোগ্য হয়। আমার মনে হয়, এই দুটি মূল্যবান লক্ষণই এদের পার্থক্য নির্ণায়ক লক্ষণ।
২। যন্ত্রণাপ্রদ কষ্টকর ঋতুস্রাবে ম্যাগনেসিয়া ফসের ক্রিয়া পালসেটিলা, কলোফাইলাম, সিমিসিফিউগা অথবা আমার জানা যেকোন ঔষধ অপেক্ষা দ্রুততর। আমার মনে হয়, সিমিসিফিউগা বাত প্রকৃতির বা বাতরোগীর ঋতুশূল বেদনায় ভাল খাটে আর ম্যাগনেসিয়া ফস ভাল খাটে খাটি মায়ুশল প্রকৃতির বেদনায়। ম্যাগ্নেসিয়া ফসে বেদনার নিবৃত্তি হলে স্বাৰ আৰম্ভ হয়। ইহা অনেক মুখমণ্ডলের স্নায়ুশূল রোগীকেও আরোগ্য করেছে। বস্তুতঃ মনে হয় যে, এর যথোপযুক্ত লক্ষণগুলি বর্তমান থাকলে ইহা যেকোন প্রকার স্নায়ুশূলেই প্রযোজ্য। আক্ষেপ বা তড়কা দমন করা শক্তি থাকার সম্বন্ধে আমার এমন কোন অভিজ্ঞতা নেই যে উহা প্রমাণিত হতে পারে, যদি না খালধরা বেদনার নিবারণের শক্তিই ঐ বিষয়ের প্রমাণ হয়। এই ঔষধটি সম্বন্ধে সুশলারের মতবাদে আমার আস্থা নেই। সমঃ সমঃ শমতি’ নীতি বহু ঔষধ সম্বন্ধে পরীক্ষায় টিকে গেছে এবং অন্যান্য ঔষধ সম্বন্ধে ও তাই হবে। সুতরাং তথাকথিত টিসু রেমিডি সম্বন্ধেও এইরূপ হবে, মতবাদ যা হোক না কেন।
* এখন ম্যাগ্নেসিয়া ফসের প্রকৃতিবাচক খালধরা বেদনা সম্বন্ধে বলব। যখন এই লক্ষণটি খুব সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত থাকে, তখন এইটিই হবে আমাদের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ। এখানে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের বেদনার কতকগুলি প্রধান প্রধান ঔষধের কথা উল্লেখ করা হল; যা মনে রাখলে সহজে ঔষধের প্রভেদ দেখে কাৰ্যকালে ঠিক ঔষধটি ব্যবস্থা করা যায় এবং অতি সত্বর বেদনা আরোগ্য করা যাবে।
খালধরা বেদনা – কুপ্রাম, কলোসিন্থ, ম্যাগফস।
জ্বালাকর বেদনা – আর্সেনিক, ক্যান্থারিস, ক্যাপ্সিকাম, ফসফরাস, সালফার ইত্যাদি।
শীতলতা বোধ – ক্যালকেরিয়া অষ্ট, আর্সেনিক, সিস্টাস, হেলোডার্মা।
শীতলতা বোধ (স্পর্শে) – ক্যাম্ফর, সিকেলি, ভেরেট্রাম অ্যালবাম, হেলোডাৰ্ম্মা।
পূর্ণতাবোধ – ইস্কিউলাস হিপ, চায়না, লাইকো।
শূন্যতাবোধ – ককুলাস, ফস, সিপিয়া।
নীচের দিকে ঠেলামারা বেদনা (bearing down) -বেলেডোনা,
লিলিয়াম টিগ, সিপিয়া ইত্যাদি।
স্পর্শ-দ্বেষ ও থেঁৎলে যাওয়ার ন্যায় বেদনা (bruised soreness) আর্নিকা, ব্যাপ্টিসিয়া ইউপেটোরিয়াম পার্ফ, পাইরোজেন, রুটা।
আকুঞ্চন বোধ (constriction) – ক্যাকটাস, কলোসিন্থ, এনাকার্ডিয়াম।
অবসন্নতা বা ক্লান্তি বোধ – জেলসি, পিক্রিক অ্যাসিড, ফসফরাস।
অসাড়তা – একোনাইট, ক্যামোমিলা, প্ল্যাটিনা, রাসটাক্স।
সঞ্চরণশীল বেদনা (erratic pains) — ল্যাক ক্যান, পালস, টিউবারকুলিনাম।
বেদনায় অতিরিক্ত অনুভূতি – একোনাইট, ক্যামোমিলা, কফিয়া। স্পর্শে
অতিরিক্ত অনুভূতি — চায়না, হিপার, ল্যাকেসিস।
অস্থি বেদনা – অরাম, এসাফটিডা, ইউপেট পার্ফ, মারকিউরিয়াস।
খোঁচামারা বা সূচিবিদ্ধকর বেদনা – ব্রায়োনিয়া, কেলিকা, স্কুইলা।
দপদপকর বেদনা – বেলেডোনা, গ্লোনয়েন, মেলিলোটাস।
রক্তস্রাব (শৈরিক) – হেমামেলিস, সিকেলি, ক্রোটেলাস, ইল্যাঞ্জ।
রক্তস্রাব (ধামনিক) – ফেরাম ফস, ইপিকাক, ফসফরাস।
শীর্ণতা – আয়োডিন, নেট্রাম মিউর, লাইকো, সার্সাপ্যারিলা ইত্যাদি।
শ্লেষ্মা ও রসপ্রধান ধাতু (লিউকো ফ্লেগমেসিয়া) – ক্যাল অষ্ট, . গ্রাফাইটিস ক্যাপ্সিকাম।
সোরাধাতু – সালফার, সোরিনাম ইত্যাদি।
সাইকোটিক ধাতু – থুজা, নাইট্রিক অ্যাসিড, মেডোরিনাম ইত্যাদি।
উপদংশ বা সিফিলিস ধাতু – মারকিউবিয়া, আয়োডাইড, এ পটাসিয়াম, সিফিলিনাম ইত্যাদি।
নীলবর্ণ স্ফীতি – ল্যাকেসিস, পালসেটিলা, টেরেন্টুলা কিউব।
এইভাবে আমরা এক থেকে তিনটি বা ততোধিক ঔষধের নাম করতে পারি, যারা বিশেষ লক্ষণ অবস্থার সঙ্গে চরিত্রগতভাবে সংশ্লিষ্ট। এগুলি মনে রাখা ভাল, কারণ এ থেকেই আমরা ঔষধগুলির পার্থক্য নির্ণয় করতে পারি। বিশেষ করে আকস্মিক সঙ্কটের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকা যেতে পারে এবং আমরা চটপট রোগ আরোগ্য করে রোগী ও দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিতে পারি।