ম্যাগ্নেসিয়া সালফিউরিকা MAGNESIA SULPHURICA [Mag-s]

অত্যন্ত পিপাসা ও প্রচুর পরিমানে মূত্রত্যাগ সহ উদরাময়।
লাল তলানিসহ সবুজাব মূত্র।
প্রচুর কালো সবিরাম রজঃস্রাব, রজঃস্রাবের সময় কোমরে বেদনা।
বাম বাহু ও বাম পায়ে ঝি ঝি ধরে।
হাতের আঙ্গুলের ডগায় সুর সুর করে।

এই ঔষধটির চামড়ার, প্রস্রাব সম্পর্কিত ও স্ত্রীলোকের লক্ষণাবলী অতি বৈশিষ্ট্য পূর্ণ। বিবেচক বস্তু হিসাবে ঔষধটির কাজ, ঔষধটির কোনগুন নয়, কিন্তু এটি ঔষধটির একটি গুনাবলী, যা প্রমান করে, বস্তুটি আমাদের শরীরে শোষিত হওয়া একটি অসম্ভব ব্যাপার এবং এই কারণের ফলেই ঔধধটির বিবেচক ক্রিয়া প্রকাশ পায়। বস্তুটির আভ্যন্তরীণ গুনাবলী কেবলমাত্র শক্তিতে অবস্থাতেই প্রকাশ পায়।

মাথা শঙ্কাগ্রস্ত ; মাথাঘোরা ; ঋতুকালে মাথায় ভারীবোধ। চোখে জ্বালা করে, কানের ভিতর শব্দ হয়।

পাকস্থলী বারে বারে ঢেকুর তোলে, ঢেকুরের আস্বাদ পচা ডিমের ন্যায়। মুখে জল উঠে।

প্রস্রাবন্ত্র সমূহ প্রস্রাবের পরে প্রস্রাবনলীর ছিদ্রের মুখে সূঁচ ফোটার মত বেদনা ও জ্বালা। প্রস্রাবের ধারা থেকে থেকে বের হয় ও ফোঁটা-ফোঁটা করে প্রস্রাব হয়। সকালে প্রচুর প্রস্রাব, উজ্জ্বল হলুদবর্ণ, খুব দ্রুত প্রস্রাব ঘোলাটে হয়ে যায় এবং প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে লাল বর্ণের তলানি জমা হয়। প্রস্রাব নির্গত হবার সময় সবুজ বর্ণ; কোন কোন সময় তা স্বচ্ছ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব। ডায়োবিটিস।(ফসফোরিক অ্যাসিড ; ল্যাকটিক অ্যাসিড; আর্স ব্রোম)।

স্ত্রীরোগ প্রদর ভাব গাঢ়, ধাতুস্রাবের মত পরিমাণে প্রচুর, তৎসহ চলা ফেরা করার সময় কোমরে ও উরু স্থানে ক্লান্তিকর বেদনা। দুটি ঋতুকালের মধ্যবর্তী সময়ে যোনি পথে সামান্য পরিমাণে রক্তস্রাব দেখা দেয়। প্রতি চৌদ্দ দিন পর-পর ঋতুস্রাব দেখা দেয় ; স্রাব গাঢ় কালোবর্ণ এবং পরিমাণে প্রচুর হয়। ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে, থেমে-থেমে স্রাব হয়।

ঘাড় পিঠ দুটি কাঁধের মধ্যবর্তী অংশে থেঁৎলিয়ে যাবার মত, ক্ষতবৎ বেদনা, তৎসহ হাতের মুঠির আকারের ন্যায় বড়ো একটি পিন্ড থাকার মত অনুভূতি, এবং এই কারণে রোগী (স্ত্রী) চিৎ হয়ে অথবা পাশ ফিরে শুতে পারে না; ঘষে দিলে এই জাতীয় অনুভূতির উপশম হয়। কোমরে তীব্র বেদনা, যেন থেঁৎলিয়ে গিয়েছে এই জাতীয় অনুভূতি এবং মাসিক ঋতুস্রাবের আগে এই জাতীয় বেদনা অনুভূত হয়।

অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিছানায় শোবার পরে মনে হয় বাম বাহু ও পায়ের পাতাদুটি নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেও এই জাতীয় অনুভূতি হয়ে থাকে।

চামড়া সারা শরীরের ফুস্কুড়ির ন্যায় উদ্ভেদ সমূহ, উদ্ভেদ গুলি তীব্র চুলকায়। চুলকানি বসে গেলে (সালফার)। বাম হাতের আঙ্গুলগুলির অগ্রভাগে সুড়সুড় অনুভূতি। ঘষে দিলে উপশম বোধ করে। আঁচিল সমূহ। ঈরিসিপেলাস (এক্ষেত্রে ঔষধটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে বাহ্যিক ভাবে প্রায়োগ করা হয়)। শোথ (যান্ত্রিকভাবে কাজ করতে সক্ষম, এইরূপ মাত্রায়)

জ্বর শীতভাব সকাল ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে শুরু হয়। পিঠের দিক থরথর করে কাঁপে। শরীরের একদিকে উত্তাপ ও অপরদিকে শীতভাব।

সম্বন্ধ এটা দাবী করা হয়ে থাকে যে, মর্ফিণের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণে ম্যাগ সালফ মিশিয়ে চামড়ার নীচে ইনজ্ঞেকশন করা হলে ঔষধটির কার্যকরী ক্ষমতা ৫০ থেকে ১০০% বৃদ্ধি পায়।

যান্ত্রিক (ফিজিওলজিক) মাত্রা — পিত্ত পাথুরির শূল বেদনায় ম্যাগ সালফ খুব ভালো কাজ করে। ২ থেকে ৪ চামচ পরিমাণ ঔষধ একগ্লাস গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে, বেদনার শুরুতেই যদি রোগীকে দেওয়া যায় তবে সেক্ষেত্রে বেদনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এপসম সল্ট বিশুদ্ধ অবস্থায় প্রয়োগ করা হলে এটি বিবেচক হিসাবে কাজ করে, যদিও সামান্য মাত্রায় বমি বমি ভাব বা শূল বেদনা দেখা যায়। এটি সামান্য মাত্রায় অথবা একে বারেও হয় না, এই জাতীয় মাত্রায় অন্ত্রের উপদাহ তৈরী করে। ক্রিমি ও বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি শ্রেষ্ঠ বিবেচক হিসাবে কাজ করে। এপসম সল্ট ব্যবহারের এক থেকে দুই ঘন্টা পরে কাজ শুরু করে, যদি গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঔষধ ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে আরো দ্রুত কাজ শুরু করে এবং যদি সকালে প্রাতঃরাশের পূবের্ব ব্যবহার করা হয়। মৃদু বিবেচক হিসাবে কাটাকাটা এক চা চামচ মাত্রায় যথেষ্ট শক্তিশালী বিবেচক হিসাবে দুই থেকে চার চা চামচ মাত্রায় প্রযোজ্য। যদি ঔষধের আস্বাদ আরো ভালো করার প্রয়োজন দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

বিবেচক হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি এপসম সল্ট জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঈরিসিপেলাস, রাসটক্স বিষক্রিয়া, কোমল তন্তুর প্রদাহ এবং নানা প্রকারের স্থানিক প্রদাহে বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। শক্তি – বিশুদ্ধ অবস্থায় ৩য় শক্তি। ঈরিসিপেলাস, দূষিত ক্ষত, অকাইটিস ফোঁড়া প্রভৃতি ক্ষেত্রে জলের সঙ্গে ১:৪ মাত্রায় বাহ্যিকভাবে প্রযোজ্য।

 

✅ আমাদের সফল চিকিৎসার প্রমাণ দেখুন।

(ডান পার্শের মেনুতে রোগের নাম লিখে সার্চ করুন)

[videogallery id=”Success of Homeopathy”]

.
.

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *