মুখ ও মুখ গহ্বর (Mouth & Mouth cavity):
মুখের প্রবেশ পথ দুটি ঠোট দ্বারা গঠিত। এর অভ্যন্তরে মাড়ি দ্বারা মুখ গহ্বর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। বাহিরের অংশ যা গালের অভ্যন্তরে অবস্থিত তার নাম ভেস্টিবিউল (Vestibule)। এখানে কিছু থাকে না। ভিতরের অংশে জিহ্বা, টনসিল, লালাগ্রন্থি ইত্যাদি থাকে । এই অংশকে আসল মুখ গহ্বর (Mouth cavity Proper) বলে। মাড়ি তৈরি হয় মেন্ডিবল হাড়ের উপর আবরণী কলার সমন্বয়ে । এর উপরি অংশ (Hard Palate) শক্ত প্যালেট হাড় ও নরম প্যালেট (Soft Palate ) মাংস পেশী দ্বারা গঠিত।
জিহ্বা (Tongue) :
ঐচ্ছিক মাংসপেশি দ্বারা গঠিত। এর কাজ সমূহ:
- ১) কথা বলতে সহায়তা করে,
- ২) খাবারের স্বাদ নিতে সহায়তা করে,
- ৩) খাদ্য বস্তুকে মন্ড বানিয়ে ফ্যারিংসে প্রেরণ করে,
লালা গ্রন্থি (Salivary Gland):
তিন জোড়া লালা গ্রন্থি থেকে লালা নিঃসৃত হয়ে মুখমণ্ডলে আসে ।
গ্রন্থি সমূহ:
- ১) প্যারোটিড (Parotid): গালের উপর কানের সামনে ও নীচে অবস্থিত।
- ২) সাব মেন্ডিবুলার (Sub-Mandibular) : মেন্ডিবুল হাড়ের দুই পার্শ্বে, মুখমণ্ডলের তলদেশে অবস্থিত।
- ৩) সাব লিঙ্গুয়াল (Sub-Lingual): জিহ্বার নীচে অবস্থিত ।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
লালার (Saliva) কাজ :
- ১) খাদ্যবস্তুর সাথে মিশ্রিত হয়ে মণ্ড বানাতে সহায়তা করে।
- ২) জিহ্বাকে ভিজা রেখে খাবারের স্বাদ নিতে ও কথা বলতে সাহায্য করে।
- ৩) রোগ প্রতিরোধ করে।
- ৪) টায়ালিন নামক জারক রস শর্করা জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে।
গাল (Cheek Premolar):
মাংসপেশি দিয়ে তৈরি ও ত্বক দ্বারা আবৃত। এর পিছনের অংশে প্যারোটিড গ্রন্থি থাকে।
[PGPP id=1214]
so thanks