রক্তদান বা ব্লাড ট্রান্সফিউশন (Blood transfusion):

রক্তদান বা ব্লাড ট্রান্সফিউশন (Blood transfusion):

  • ১) যে কোন সুস্থ ব্যক্তি যার বয়স ১৮ থেকে ৫০ তারা রক্ত দান করতে পারে।
  • ২) গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের রক্ত দান নিষেধ
  • ৩) রক্ত দানের পূর্বে দাতার রক্তে সিফিলিস, এইডস, হেপাটাইটিস বি ম্যালেরিয়া ইত্যাদি আছে কিনা দেখার জন্য VDRL, HIV, HBsAg, Mp টেস্ট করতে হয়।
  • ৪) দাতার হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকতে হবে । দাতা ও গ্রহীতার রক্ত একই গ্রুপের হতে হবে এবং ক্রস ম্যাচিং করতে হবে ।

রক্তদান নির্দেশনা (Indication of Blood transfusion):

  • ১) আঘাত জনিত কারণে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হলে যেমন : ফিমার, টিবিয়া বা পেলভিস ফ্রাকচার হলে।
  • ২) পেপটিক আলসার বা অন্য কারনে আভ্যন্তরীণ রক্ত ক্ষরণ হলে,
  • ৩) হিমোফিলিয়া, লিউকেমিয়া বা অন্যান্য রক্ত রোগে,
  • ৪) শরীরে অনেক অংশ পুড়ে (Burn)  যাবার পরে,
  • ৫) দীর্ঘস্থায়ী রক্তশূন্যতায় (Anaemia) ভুগলে,
  • ৬) অপারেশনের সময় বা বড় অপারেশনের পরে।

ব্লাড ব্যাংকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধান ছাড়া রক্ত দান (Blood transfusion) ও রক্ত গ্রহণ নিষেধ।

ক্রস ম্যাচিং (Cross Matching):

এক ব্যক্তির রক্ত অন্য ব্যক্তিকে দেবার সময় রক্তের গ্রুপিং (ABO & Rh) ছাড়াও ক্রস ম্যাচিং নামক পরীক্ষা করা হয় । যেমন : A + গ্রুপের দাতা, A + গ্রুপের গ্রহীতাকে রক্ত দেবার পূর্বেও ক্রস ম্যাচিং পরীক্ষা করা হয়।

কেননা (ABO, Rh) ছাড়াও অন্য এন্টিজেনের বৈষম্যের জন্য রক্ত দেবার পর রি-একশন হতে পারে। তাই রক্ত দেয়ার পূর্বে অবশ্যই (Cross Matching) করতে হবে। সাধারণত A + গ্রুপ বিশিষ্ট গ্রহীতা শুধুমাত্র A + গ্রুপ বিশিষ্ট দাতার নিকট থেকে রক্ত নিতে পারবে। তবে ক্রস ম্যাচিং করতে হবে । রক্ত যে কোন সুস্থ লোকই  (১৮-৫০ বৎসর) ৪ মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারে।

রক্ত নেবার পর অনেক ক্ষেত্রে গ্রহীতার Recepient নিন্ম লিখিত জটিলতা/উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

  • ১) জ্বর, এলার্জি প্রতিক্রিয়া,
  • ২) রোগ সংক্রমণ,
  • ৩) রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়া,
  • ৪) থ্রোমবোফ্লেবাইটিস ইত্যাদি

সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ

ব্লাড ট্রান্স-ফিউশনে জটিলতা:

রক্ত দানের সময় বা পরে গ্রহীতার বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা হতে পারে।

  • ১ ক্রস ম্যাচিং না করে একই গ্রুপের রক্ত দিলে অনেক সময় গ্রহীতার রক্ত চাপ কমে শকে চলে যেতে পারে এবং কিডনির কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে।
  • ২) জ্বর হতে পারে, শ্বাসকষ্ট ও কাঁপুনি হতে পারে।
  • ৩) দ্রুত রক্ত দিলে ফুসফুসে পানি জমতে পারে বা হার্ট ফেইলোর হতে পারে (Circulatory Overload)।
  • ৪) হাতে পায়ে খিঁচুনি হতে পারে।
  • ৫) রক্তনালীতে ইনফেকশন বা থ্রমবোফ্লেবাইটিস হতে পারে।
  • ৬) উপযুক্ত পরীক্ষা না করে রক্ত দিলে এইডস, ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস ইত্যাদি রোগ হতে পারে।

নোট- নিজের আত্বীয় স্বজনদের প্রয়োজনে নিজেরা রক্ত দিবেন। ক্রয় করা রক্ত শরীরে নেওয়া বিপদজনক। কারণ রক্ত বিক্রেতারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

 

 

[PGPP id=1214]

✅ আমাদের সফল চিকিৎসার প্রমাণ দেখুন।

(ডান পার্শের মেনুতে রোগের নাম লিখে সার্চ করুন)

[videogallery id=”Success of Homeopathy”]

.
.

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *