রক্ত জমাট প্রক্রিয়া (Blood Cogulation)

হেমোসটেসিস (Hemostasis):

প্রতি নিয়ত আঘাতের ফলে বা কেটে যেয়ে আমাদের শরীর থেকে বহিঃভাগে বা অভ্যান্তরীন রক্তক্ষরণ হয়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর নিজের রক্ত নালী থেকে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে, তাহাকে হেমোসটেসিস (Hemostasis) বলে ।

কার্যপ্রনালী:

যখন রক্তনালী কেটে যায় বা আঘাত প্রপ্ত হয়, তখন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত বন্ধ হয় ।

ধাপ:

  • ১) রক্তনালী সংকোচন,
  • ২) অনুচক্রিকার প্লাগ তৈরী,
  • ৩) রক্ত জমাট বাঁধা (Coagulation),
  • ৪) জমাট রক্তের চারপার্শ্বে ফাইব্রাস টিসু জমে রক্তনালীর কাটা অংশ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় ।

 


রক্ত জমাট (Coagulation) :

যখন রক্ত চলাচল রহিত হয়,তখন রক্ত নরম দলায় পরিণত হয় এবং এর চারপার্শ্বে ফিব্রিন জমা হয় । যে প্রক্রিয়া অদ্রবনীয় (insoluble) ফিব্রিন তৈরী হয়ে ক্লট হয়, তাকে রক্ত জমাট বা Coagulation বলে ।

কারন :

  • ১) রক্তে আঘাত (Trauma to Blood)
  • ২) কলায় আঘাত (Trauma to Tissue),
  • ৩) রক্তনালীর দেয়ালের কোলাজেনের সাথে রক্তের স্পর্শ।

রক্ত জমাট বাঁধার (Coagulation) ১৩ টি ফ্যাক্টর আছে। এগুলো রক্তে না থাকলে রক্ত জমাট বাঁধতে অসুবিধা হয় এবং রক্ত ক্ষরণ হয় ।

সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ( Essential Factors) ফ্যাক্টর সমূহ :

  • ১) ফিব্রিনোজেন,
  • ২) প্রথোমবিন,
  • ৩) টিসু থ্রোম্বোপ্লাষ্টিন,
  • ৪) ক্যালসিয়াম,

 


হোমোফিলিয়া (Haemophilia):

যৌন বাহিত রোগ যা মহিলাদের দিয়ে বংশানুক্রমে বাহিত হয় কিন্তু পুরুষরা আক্রান্ত হয়। এই রোগ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে অস্বাভাবিক বেশী সময় লাগে কিন্তু রক্ত ক্ষরণ সময় স্বাভাবিক। অর্থাৎ CT-prolong কিন্তু BT নরমাল। রক্তের জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর ৮ (৮৫%) ও ৯ (১৫%) এর অভাবে এ রোগ হয় ।

সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ

 

 

[PGPP id=1214]

✅ আমাদের সফল চিকিৎসার প্রমাণ দেখুন।

(ডান পার্শের মেনুতে রোগের নাম লিখে সার্চ করুন)

[videogallery id=”Success of Homeopathy”]

.
.

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *