রক্ত হচ্ছে বিশেষ ধরনের তরল সংযোজক কলা যা সমস্ত শরীরের রক্তনালী সমূহ ও হৃৎপিন্ডে থাকে। শরীরে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে।
গঠন (Composition):
ক) কোষ সমূহ (Cellular Substance): ৪৫%
- লোহিত রক্ত কণিকা (B.C),
- শ্বেত রক্ত কণিকা (B.C),
- অনুচক্রিয়া (Platelets)
খ) তরল অংশ রক্তরস (Plasma) ৫৫% প্লাজমার উপাদন সমূহ :
- তরল অংশ: পানি (৯১-৯২%),
- কঠিন অংশ (Solid) (৮-৯%):
গ) অজৈব (৯%) :
- সোডিয়াম,
- পটাশিয়াম,
- ক্যালসিয়াম,
- ম্যাগনেসিয়াম,
- ফসফরাস,
- আয়রন ইত্যাদি।
ঘ) জৈব (Organic) ৯১% :
- আমিষ (এলবুমিন, ফিব্রিনোজেন ইত্যাদি),
- চর্বি,
- গ্লুকোজ,
- কোলেসটেরল,
- এন্টিবডি,
- ইউরিয়া,
- এসিড,
- বিলিরুবিন,
- হরমোন সমূহ ইত্যাদি।
নোট : রক্ত পানির চেয়ে ৪.৫ গুন ভারী এবং নোনতা স্বাদের।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
লোহিত রক্ত কণিকা (Red Blood Cell) :
গোলাকার, ডিস্ক আকৃতি, নিউক্লিয়াস বিহীন কোষ। প্রতি কিউবিক মি.মি. রক্তে এর পরিমাণ পূর্ণ বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪৫-৫৫ লক্ষ, স্ত্রীর ক্ষেত্রে ৪০-৫০ লক্ষ। এদের রং লাল বলে রক্ত দেখতে লাল। আয়ুস্কাল ১২০ দিন । ফলে ৪ মাস পর পর রক্ত দান করা যায়।
তৈরীর স্থান (Site of Blood Cell Formation):
লোহিত এবং অন্যান্য রক্ত কণিকা হাড়ের মেরুমজ্জা (Bone Marrow) তে তৈরী হয়। এছাড়া গর্ভবস্থায় লিভার ও প্লীহা (Spleen) তে তৈরী হয়।
হিমোগ্লোবিন (Haemoglobin):
লোহিত রক্ত কণিকায় (আর.বি.সি) এই লৌহ যুক্ত প্রোটিন প্রচুর থাকে। পুরুষের ১৪-১৭ গ্রাম প্রতি ১০০ মি.লি রক্তে, স্ত্রী ১২-১৫ গ্রামপ্রতি ১০০ মি.লি রক্তে।
মূলত লৌহ ও গ্লোবিন নামক প্রোটিনের সমন্বয়ের এটি তৈরী হয়। এটি ভেঙ্গে বিলিরুবিন তৈরী হয়।
হিমোগ্লোবিনের কাজ :
- ১) ফুসফুস থেকে অকি্রাজেন বহন করে কোষ থেকে কার্বন- ড্রাই অক্সাইড ফুসফুসে নিয়ে যায়।
- ২) রক্তে বাফার (Buffer) হিসাবে কাজ করে।
এনেমিয়া (Anaemia):
রক্তে হিমোগ্লোনিব স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে তাকে এনেমিয়া (Anaemia) বা রক্তস্বল্পতা বলে। প্রকৃত পক্ষে রক্তের পরিমাণ হ্রাস পায়না ।
রক্তস্বল্পতার কারন :
- ১) রক্ত ক্ষরন হলে (Blood Loss),
- ২) লৌহের অভাবে হিমোগ্লোবিন কম তৈরী হলে (Iron deficiency),
- ৩) অতিরিক্ত বা দ্রুত গতিতে লোহিত কর্ণিকা ভেঙ্গে গেলে (Hemolysis),
- ৪) মেরুমজ্জা ধ্বংস হলে।
- ৫) ভিটামিন বি এর অভাব হলে ইত্যাদি।
আমাদের দেশে লৌহের অভাবে ও ভিটামিন বি এর অভাবে এনেমিয়া বেশী হয়। তাই লৌহ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশী খাওয়া উচিত ।
লোহিত রক্ত কণিকার কাজ :
- ১) এর মধ্যস্থিত হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে অকি্রাজেন কোষে এবং কোষ থেকে কার্বন-ড্রাই অক্সাইড ফুসফুসে নিয়ে যায়।
- ২) রক্তে এসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- ৩) রক্তের ঘনত্ব রক্ষা (Viscosity) করে।
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cell)
পরিমাণ : ৪০০০-১১০০০/ প্রতি কিউবিক মি.মি রক্তে।
আয়ুস্কাল : কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিন।
তৈরী হয় : মেরুমজ্জা, প্লীহা, টনসিল এ।
কি কি ধরনের শ্বেত কণিকা আছে (Differential Count/D.C)
- ক) নিউট্রোফিল ( Neutrophil) – প্রায় ৬২%
- খ) ইয়োসিনোফিল (Eosinophil) – প্রায় ২%
- গ) বেসোফিল (Basophil) – প্রায় ৪%
- ঘ) লিম্ফোসাইট (Lymphocyte) – প্রায় ৩০%
- ঙ) মনেসাইট (Monocyte) – প্রায় ৬%
শ্বেত কণিকার কাজ (Function):
- ১) ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) এর মাধ্যমে শরীরের রোগ জীবানু ধ্বংস করে।
- ২) এন্টিবডি তৈরী কওে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অনুচক্রিকা (Platelate):
রক্তের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কোষ কণিকা। মেরুমজ্জায় তৈরী হয়। প্রতি মি.লি রক্তে এ পরিমাণ ১ ১/২ -৩ লক্ষ প্রায় ৮-১২ দিন আয়ুস্কাল।
অণুচক্রিকার কাজ:
- কেটে গেলে রক্ত জমাট বাধতে সহায়তা করে।
রক্ত রস (Plasma)
রক্তকণিকা ব্যাতীত রক্তের বাকি অংশকে রক্ত রস বলে।
রক্ত রসের কাজ (Function of Plasma):
- ১) অন্ত্রে শোষিত খাদ্য সমূহ শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌছে দেয়।
- ২) দেহের বর্জ্য পদার্থ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে বৃক্কে নিয়ে যায় এবং মূত্রের সাথে বের করে দেয়।
- ৩) দেহের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- ৪) সমস্ত শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
- ৫) রক্তরস হরমোন সমূহ বিভিন্ন অঙ্গে পৌছে দেয়।
[PGPP id=1214]
It’s impressive that yоu are gettіng thoսghts from thjs post as աell ɑs
from our argument mɑde here.
Do you mind if Ι quote a couple of your articles aѕ lоng аѕ I provide credit ɑnd sources ƅack to your weblog?
My blog site is in the verу same niche aas youгs and my usеrs wοuld ccertainly benefit from
somе of thе infoгmation you providfe ɦere. Please let me know
if tɦiѕ okay with yοu. Many thanks!
Of course Latisha, You can. It’s better for us. But I think if you note my address or link it’s more better for me.