হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগী লিপি বা কেস টেকিং (Case Taking) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হোমিওপ্যাথিতে দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার লক্ষণ প্রুভ হয়েছে এত বিশাল সংখ্যক লক্ষণ থেকে একজন রোগীর উপযুক্ত লক্ষণ খুঁজে বেরকরা কঠিন, এ কঠিন কাজকে সহজ করার জন্য কেস টেকিং কৌশল। মনে রাখতে হবে সঠিক ভাবে কেসটেকিং করতে না পাড়লে সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়।
কেস টেকিং সংক্রান্ত বিষয়ে হোমিওপ্যাথির জনক ডাঃ সামুয়েল হ্যানিম্যান অর্গ্যানন গ্রন্থের ৮৩ থেকে ১০৪ নং এফোরিজম সমূহে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছেন। নিম্নে বিষয়বস্তু সমূহ তুলে ধরা হয়েছে, বিস্তারিত (৫৫৫) নাম্বার পাতায় দেখুন।
এফোরিজম ৮৩: রোগ চিত্র বা লক্ষণ সমষ্টি নির্ণয় করার জন্য, নিম্নে উল্লেখিত যোগ্যতা ও গুণাবলী অবশ্যই চিকিৎসকের থাকতে হবে। |
১. পূর্ব হতে ধারণা বা সংস্কার মুক্ত হতে হবে। |
২. ইন্দ্রিয় শক্তির কর্মপটুতা থাকতে হবে। |
৩. সম্পূর্ণ মনঃসংযোগ থাকতে হবে। |
৪. বিশুদ্ধ রোগীলিপি করার দক্ষতা থাকতে হবে। |
এফোরিজম ৮৪: রোগী ও তার নিকটজন থেকে রোগীর লক্ষণ সমূহ শ্রবণ করার কৌশল। |
এফোরিজম ৮৫: রোগীর লক্ষণ সমূহ লিপিবদ্ধ করার কৌশল। |
এফোরিজম ৮৬: রোগীর দেয়া বিবরণ শেষ হলে ডাক্তার অধিকতর অনুসন্ধান করবে। |
এফোরিজম ৮৭: চিকিৎসক কি ধরনের প্রশ্ন করবে তার বর্ণনা। “Wasn’t this (এটাকি ছিলনা?) or that circumstance also present? (বা এ সমস্যাটি আছে তাইনা?)” এধরণের প্রশ্ন করা যাবে না। |
এফোরিজম ৮৮, ৮৯: অপ্রকাশিত লক্ষণ অনুসন্ধান। পাদটীকা (৮৩, ৮৪) সহ পড়তে হবে। |
এফোরিজম ৯০: বর্তমান লক্ষণ সমূহ সুস্থাবস্থায় কেমন থাকে তা জানতে হবে। |
এফোরিজম ৯১, ৯২: পূর্ব থেকে ঔষধ সেবনকারীর লক্ষণ অনুসন্ধান করার কৌশল। |
এফোরিজম ৯৩, ৯৪: রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ ও পরিপোষক কারণ অনুসন্ধান করে আরোগ্যের পথ সুগম করতে হবে। |
এফোরিজম ৯৫: চিররোগের ক্ষেত্রে মৃদুভাবাপন্ন লক্ষণসমূহও গুরুত্বপূর্ণ। |
এফোরিজম ৯৬: রোগী তার রোগ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত বর্ণনা করলে চিকিৎসকের কি করনীয়। |
এফোরিজম ৯৭: রোগী তার রোগ সম্পর্কে অস্পষ্ট বা স্বল্প পড়িসরে বর্ণনা করলে চিকিৎসকের কি করনীয়। |
এফোরিজম ৯৮: রোগীলিপি প্রস্তুতকালে চিকিৎসকের কর্তব্য ও অপরিহার্য গুণ। |
এফোরিজম ৯৯: তরুণ রোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত করার কৌশল। |
এফোরিজম ১০০, ১০০১, ১০২: মহামারী রোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত ও চিকিৎসা কৌশল। |
এফোরিজম ১০৩: চিররোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত ও চিকিৎসা কৌশল। |
এফোরিজম ১০৪: রোগীলিপি করার প্রয়োজনীয়তা। |