Complaints অভিযোগ:
রোগী তাঁর রোগ সংক্রান্ত অভিযোগ করার জন্যই ডাক্তারের নিকট আসেন, অবশ্যই ডাক্তারকে মনোযোগ সহকারে রোগীর কথা শুনতে হবে।
রোগী ডাক্তারের সামনে বসে প্রথমে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে যে সকল রোগ কষ্টের কথা বলে, তাকে প্রধান অভিযোগ বলে। রোগী প্রধান অভিযোগ বলার সময় কোন প্রকার প্রশ্ন করা ঠিক হবেনা, শুধু এতটুকু বলতে পাড়েন যে- আপনি একটু ধীরে ধীরে বলেন যেন আমি লিখে রাখতে পারি। অতঃপর বর্ণনা সমূহ বিষয় ভিত্তিক কোটেশন আকারে ফাঁক ফাঁক করে লিখতে হবে যেন পরবর্তী তথ্য সমূহ কোটেশন ভিত্তিক সংযুক্ত করা যায়।
এরপর রোগী কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলবে ও পূর্বের নিয়মে লিখে রাখতে হবে।
রোগী নিজ থেকে বলা শেষ করলে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী পরিচ্ছেদ ও অধ্যায় সমূহ আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
আমাদের দেয়া প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ শুধু ধারণা নেয়ার জন্য, ডাক্তারগণ রোগীর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত প্রশ্ন করবেন, রোগী প্রশ্ন করার পূর্বেই যদি উত্তর দিয়ে দেয় তাহলে পুনরায় প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবেন।
১. Location: আপনার কষ্ট ঠিক কোন স্থানে?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ আপনার কষ্টটি শরীরের কোন স্থানে, প্রয়োজনে জামার উপর দিয়ে হাত দিয়ে দেখান।
নোট: স্থান নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, স্থানের কারণে ঔষধ আলাদা হতে পারে। যেমন হাঁটুর পেটেলাতে ব্যথা হলে যে ঔষধ হয়, হাঁটুর হলোতে ব্যথা হলে সে ঔষধ নাও হতে পারে। তাই ভালো ডাক্তার হতে হলে এনাটমি শিখতেই হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের (www.hdhomeo.com) এনাটমি ফিজিওলজি বিভাগে প্রাথমিক ধারণা পাবেন। এবং ক্লাসরুম বিভাগে বিষয়ভিত্তিক এনাটমিক্যাল লোকেশন সমূহ রেপার্টরির ভাষায় শিখতে পাড়বেন।
২. Causation: আপনার রোগ বা কষ্টগুলো হওয়ার পিছনে কি কি কারন আছে বলে মনে করেন?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ মানুষের অনেক কারনে রোগ হতে পারে, যেমন আঘাত লাগা, বৃষ্টিতে ভেজা, অনেক ক্ষণ ঠাণ্ডা বাতাসে থাকা, প্রিয়জনকে হারানো বা না পাওয়ার কষ্ট, অধিক পরিশ্রম করা, ভ্রমণ করা ইত্যাদি। আপনার এ রোগের জন্য এমন কোন কারন আছে কি?
৩. Duration: কতদিন হল আপনি কষ্টে ভোগছেন?
এ প্রশ্নের মাধমে রোগের গভীরতা, একুইট ও ক্রনিক অবস্থা নির্নয় করা যাবে। এবং পরবর্তী প্রস্ন তৈরি হবে।
৪. Sensation: আপনার কষ্টের কিরূপ অনুভূতি?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ অনেক রকম অনুভূতি হতে পারে, যেমন – কারো ব্যথা (রোগীর কষ্ট উল্লেখ পূর্বক) দপ দপ কর, কারোটা শুই বিঁধানোর মত, কারোটা কেটে ফেলার মত, ছিরে ফেলার মত, মুঠো করে ধরার মত, সাধারণ ব্যথা ইত্যাদি। আপনার ব্যথার বৈশিষ্ট্য কেমন?
৫. Extension: আপনার কষ্ট নির্দিষ্ট স্থানে শুরু হয়ে কোন দিকে ছড়িয়ে যায় কি?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ কারো পায়ের তালুতে ব্যথা (রোগীর কষ্ট উল্লেখ পূর্বক) শুরু হয়ে হাটু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, গলায় ব্যথা শুরু হয়ে কান পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় ইত্যাদি। এমনি করে আপনার কষ্ট নির্দিষ্ট স্থানে শুরু হয়ে কোন দিকে ছড়িয়ে যায় কি?
৬. Appear and disappear: আপনার কষ্টটি কিভাবে শুরু হয় ও শেষ হয়?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ কারো কারো ব্যথা (রোগীর কষ্ট উল্লেখ পূর্বক) হঠাৎ আসে কিছুক্ষণ থেকে আস্তে আস্তে চলে যায় বা হঠাৎ চলে যায় বা ঝিম ঝিম করতে করতে ব্যথা আরম্ভ হয় ইত্যাদি। বলুনতো আপনার কষ্ট কি ভাবে শুরু হয় ও শেষ হয়?
৭. Concomitant: আপনার কষ্টের সময় বা আগে বা পরে অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় কি?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ কারো কষ্ট (রোগীর কষ্ট উল্লেখ পূর্বক) ভোগ করার সময় বা আগে বা পরে পিপাসা লাগে, ক্ষুধা লাগে, শীত শীত লাগে, বমি ভাব হয়, অনিদ্রা হয়, রাগ বেড়ে যায় ইত্যাদি। বলুনতো আপনার ব্যাপারে এমন কিছু ঘটে কি?
৮. Alternating: আপনার ১ টি কষ্ট কমে গিয়ে অন্য একটি কষ্ট দেখা দেয় এবং পুনরায় পূর্বের কষ্ট ফিরে আসে কি?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ কারো অর্শ ভালো হওয়ার পরে বোক ধড়ফড়ানি, আবার বোক ধড়ফড়ানি ভালো হওয়ার পরে অর্শ। শ্বাস কষ্ট ভালো হওয়ার পরে বাতের ব্যথা, আবার বাতের ব্যথা ভালো হওয়ার পরে শ্বাস কষ্ট ইত্যাদি। আপনার এধরণের কোন বিষয় আছে কি?
৯. Metastasis: আপনার প্রথম রোগটি অন্য রোগে রূপান্তরিত বা বিস্তৃত হয়েছে কি?
রোগীকে যে ভাবে প্রশ্ন করবেনঃ কারো ডাইরিয়া ভালো হওয়ার পরে আমশয়, বাতজ্বর ভালো হয়ে হার্টের রোগ, শ্বাসকষ্ট ভালো হয়ে চর্মরোগ, এক অঙ্গের ক্যানসার ছড়িয়ে গিয়ে অন্য অঙ্গে আক্রান্ত হয় ইত্যাদি …। আপনার এধরণের কোন বিষয় আছে কি?