Morph: হাতের সূক্ষ্ম কাজে পারদর্শী ও মিথ্যাবাদী।
Morph: হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাবে এমন অনুভূতি তার সহিত সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে এমনটি ভেবে অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত।
Morph: হঠাৎ প্রচণ্ড স্নায়ুশুল, সামান্য ব্যথা অসহ্য।
Morph: সামান্য মাথা নাড়লে মাথা ঘোড়ে।
Morph: অস্থিরতা, বিশেষত পায়ের দিকে, মনে হয় তাতে পোকা ঢুকেছে।
Morph: শ্বাসকষ্টসহ হৃদপিণ্ড স্থানে তীর বিঁধার মত ব্যথা।
বৃদ্ধি হয় | উপশম হয় |
< খাবার খেলে
< নড়াচড়ায় < সামান্য মাথা নড়াচড়া করলে < ঘুমের পরে < সকালে < ভিনেগারে < উত্তাপে |
> কফি পানে
> ঠাণ্ডায় |
অ্যান অ্যালকালয়েড অফ ওপিয়াম এট্রোপিন সঙ্গে বেলেডোনার যে জাতীয় সম্পর্ক, মার্কিনের সঙ্গে ওপিয়ামের সেই একই রকম সম্পর্ক। মর্কিন বিশেষ করে স্নায়বিক ক্রিয়া প্রকাশ করে। মর্কিন, ওপিয়ামের থেকে কম উত্তেজক, কম আক্ষেপকারক কিন্তু মারাত্মক ধরনের নিদ্রাকারক। তুলনায় কম কোষ্ঠকাঠিণ্য দেখা যায় কিন্তু প্রস্রাবথলির সঙ্কোচনের উপর বেশী করে প্রভাব বিস্তার করে। এটি কম ঘর্মকারক কিন্তু মর্ফিনে অতিরিক্ত চুলকানির সৃষ্টি হয়।
মন – চরম বিষাদ। খিটখিটে, খুঁত ধরার অভ্যাস, হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত। ভয় থেকে মানসিক আঘাত। স্বপ্নের ন্যায় অবস্থা।
মাথা – সামান্য নড়াচড়ায় মাথা ঘােরে। মাথার বেদনা, তৎসহ ঘড়ির মত দম দেওয়া হচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি। ফেটে যাবার মত বেদনা ;মাথা পিছন দিকে টেনে ধরে।।
চোখ – নীলচে, চোখের পাতা ঝুলে পড়ে। চোখ দুটিতে চুলকানি। চোখ বন্ধ করলে দৃষ্টি সম্বন্ধীয় বিভ্রান্তি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আরক্ত, ট্যারাদৃষ্টি, চোখের তারা অসম ভাবে সঙ্কুচিত হয়। দৃষ্টিশক্তির অস্থিরতা। চোখের পাতা ঝুলে পড়ে। চোখের পাতার পক্ষাঘাত।
কান – বামদিকের কান বেদনা পূর্ণ ভাবে দপ্তরে উত্তাপে, উপশম। সমগ্র শরীরের রক্তসঞ্চালনের শব্দ রোগী শুনতে পায়, এই জাতীয় অনুভূতি।
মুখমন্ডল – কালচে লালবর্ণ অথবা ফ্যাকাশে কালােবর্ণ যুক্ত মুখমন্ডল, ঠোট, জিহ্বা, মুখগহুর অথবা গলা।
নাক — থেকে থেকে হাঁচি। নাকের শেষভাগে চুলকানি ও সুড়সুড়ি। মুখগহুর অতিরিক্ত শুষ্ক। জিহ্বা শুষ্ক, জিহ্বার মাঝের অংশ বাদামি-বেগুনি রঙ যুক্ত। পিপাসা। ক্ষুধা কমে যাওয়া, তৎসহ মাংসে অনিচ্ছা।
গলা – শুষ্ক ও সঙ্কুচিত। গলবিল পক্ষাঘাতগ্রস্ত, গলাধঃকরণ একপ্রকার অসম্ভব। উষ্ণ পাণীয়ে উপশম, শক্ত খাবারে বৃদ্ধি।
পাকস্থলী –অবিরাম ও মারাত্মক জাতীয় বমিবমিভাব, মূর্চ্ছাভাব, অবিরাম ওয়াক তোলা। সুবজবর্ণের তরল পদার্থের মন। উঠে দাঁড়ালে বমিবমিভাব ও বমি।
উদর – স্ফীত পেটে ও মেরুদন্ড বরাবর তরুণ বেদনা। পেট ফাঁপা।
সরলান্ত্র — উদরাময় জলের মত, বাদামীবর্ণের, অথবা কালো, তৎসহ তীব্র কোঁথ। কোষ্ঠকাঠিণ্য ;মল বৃহৎ, শুষ্ক, গুটলে, তৎসহ মলদ্বারে চির চির ধরার প্রবণতা।
প্রস্রাব যন্ত্র সমূহ – প্রস্রাব থলির পক্ষাঘাত। বেদনাপূর্ণ মূত্র কৃচ্ছতা। ধীরে ধীরে ও কষ্টকর প্রস্রাব নির্গমন। প্রস্টেট গ্রন্থির বিবৃদ্ধি হেতু মূত্র রোধ। রক্তে ইউরিয়ার উপস্থিতি তরুণ ও পুরাতন।
পুরুষের রোগ ধ্বজভঙ্গ। ডানদিকের বেরঙ্কুর বেদনা (অক্সালিক অ্যাসিড)।
হৃদপিন্ড – পর্যায়ক্রমে ট্যাকি কার্ডিয়া ও ব্র্যাডিকার্ডিয়া। হৃদপিন্ডের পেশীজ তন্তু ঠিক থাকে, এমনকি হৃদপিন্ড অতিরিক্ত পরিশ্রান্ত হলেও। নাড়ী ক্ষুদ্র, দুর্বল, দুই-দুইবার ঘাত বিশিষ্ট।
শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রসমূহ – মূর্চ্ছা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য কষ্টকর চেষ্টা ; মধ্যচ্ছদার পক্ষাঘাত; হিক্কা ;থেকে থেকে শ্বাসকষ্ট, প্রথমবার ঘুম আসার মুখে শ্বাসকষ্ট। (ল্যাকেসিস গ্রিন্ডেলিয়া)। শব্দ যুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস, এবং কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের বিরতি, এই প্রকার শ্বাস-প্রশ্বাস। বুকের ভিতর কষ্টাভাব। বুক্কাস্থির মাঝের অংশে বেদনা। শুষ্ক, কঠিন, বিরক্তিকর, কান্তিকর কাশি, রাত্রে বৃদ্ধি। শ্বাস রোধের ন্যায় কাশি, তৎসহ চটচটে শ্লেষ্মা উঠে, শ্লেষ্মা পাতলা, অল্পপরিমাণে উঠে, কিন্তু কাশির শব্দ শুনলে মনে হয় শ্লেষ্মা সরল এবং পরিমাণে প্রচুর।
পিঠ — শিরদাঁড়া বরাবর বেদনা। কোমরের দুর্বলতা। কোমর ও ত্রিকাস্থি স্থানের কঙ্কনানি ;কিছুতেই সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না (সিমিসিফিউগা)।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – টলমল চলনভঙ্গি। অসাড়তা। চামড়া কৃষ্ণবর্ণ ; বেগুনি বর্ণের ছোপযুক্ত। হার্পিস জুস্টার। চুলকানি, চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। রজো নিবৃত্তিকালে আমবাত দেখা দেয়।
স্নায়বিয় — অস্থিরতা ও বোধাধিক্য ;কম্পন, নর্তন, ঝাঁকুনি, আক্ষেপ। বেদনায় অতিরিক্ত অনুভূতি প্রবণ। বেদনার জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ঝাঁকুনি ও স্পন্দন দেখা দেয়। তীব্র এবং হঠাৎ করে স্নায়বিক বেদনা শুরু হয় এবং হঠাৎ করে মূচ্ছ। প্রলাপ, বিষাদগ্রস্ত চরিত্রযুক্ত। স্নায়ুশূল সমূহ, তীব্র বেদনা পূর্ণ ; বামদিকের চক্ষু কোটরের উপরের অংশ; ডানদিকের দুটি পঞ্জরাস্থির মধ্যবর্তী অংশ, উত্তাপে উপশম;শরীরের অনেকস্থানে একই সঙ্গে স্নায়ুশূল। সমগ্র শরীরে টাটানি ব্যথা।বিছানা অতিরিক্ত শক্ত বলে মনে হয়। ঘুমের পরে বৃদ্ধি (ল্যাকেসিস)। হার্পিস জুস্টারের পরে স্নায়ুশূল (মেজেরিয়াম)।
ঘুম হাইতোলা, নিদ্রালু ; দীর্ঘস্থায়ী, গভীর ঘুম। অনিদ্রা ;অস্থির ঘূম, তৎসহ বারে বারে ঘুমের মধ্যে চমকিয়ে উঠে। নিদ্রালু, কিন্তু কিছুতেই ঘুমাতে পারে না।
জ্বর — শীতবোধ। বরফের মত ঠান্ডা। জ্বালাকর উত্তাপ;প্রচুর ঘাম। শক্তি –৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শক্তির বিচূর্ণ