সহজেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বিশেষ করে খাবার খাওয়ার সময়, ঋতুস্রাবের সময়, মানসিক ঝামেলার কারণে। |
অত্যন্ত রাগ, রাগের ফলে গালাগাল করে ঠোট নিল হয় ও চেহারা শুকিয়ে যায়। |
নিয়ন্ত্রণহীন হাঁসি। |
ডান গাল লাল ও ঠান্ডা , বাম গাল বিবর্ন ও গরম, শরীরের বাইরে ঠান্ডা ও ভিতরে গরম অনুভূতি। |
ঠান্ডা সহ্য হয় না, ঠান্ডায় ব্যথা বৃদ্ধি, বাতাস সহ্য হয় না। |
হঠাৎ স্নায়বিক উত্তেজনা হয়ে বুকে চাপ অনুভূতি, রোগ আক্রমনের সময় সর্বাঙ্গ ঠান্ডা হয়ে যায় ও মুখশ্রী বিবর্ন দেখয়। |
এটি হিষ্টিরিয়া ও সময়ান্তর স্নায়বিক উত্তেজনার একটি ঔষধ বিশেষ। মূচ্ছার মত আক্ষেপ ; মোগ্রস্তের মত নিম্পন্দন অবস্থা প্রভৃতি। চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য হল ঠান্ডায় বৃদ্ধি, বায়ুপ্রবাহে অতিরিক্ত অনুভূতি প্রবণ। অত্যধিক স্নায়বিক কম্পন ও বারেবারে মুর্চ্ছা যায়। পেটে প্রচুর বায়ু সঞ্চয়। রোগ সমূহ স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বর্ধিত হয় না। শীতলতা। পেশী সমূহের চামড়ার ও মনের টানভাব।
মন – আয়ত্তাধীন নয় এই জাতীয় হাসি। ভৎর্সনা করার অভ্যাস। উদ্বেগ, তৎসহ হৃম্প;যেন ভয় পেয়েছে এরূপ ভাবে চমকিয়ে উঠে। জননেন্দ্রিয় সম্পর্কিত কল্পিত রোগ।
মাথা — নাকের গোড়ায় চাপদোবর মত বেদনা। মাথার উপর চাপবোধ, সামান্য। নড়াচড়অয় মাথা ঘোরে ; অনেক উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে, এই জাতীয় অনুভূতি। মাথার চামড়া অনুভূতি প্রবণ। কানের ভিতরে কামানের গর্জনের মত শব্দ শুনতে পায়।
পাকস্থলী – কালো কফি, উত্তেজক বস্তু খাবার স্পহা। খাদ্যে বিষ্ণা। প্রতিটি খাদ্যবস্তু বিস্বাদ বলে মনে হয়। পাকস্থলীর লক্ষণাবলীসহ বুকের ভিতরে উদ্বেগ। পাকস্থলী স্ফীত। আহারের সময় মূচ্ছা যায়। উদরের প্রচুর স্ফীতি। আক্ষেপিক, স্নায়বিক হিক্কা (হাইড্রোসায়্যানিক অ্যাসিড ; সালফিউরিক অ্যাসিড ; ইয়েশিয়া ; ক্যাজুপুটাস)।
পুরুষের রোগ – তীব্র কামেচ্ছা ; অসাড়ে বীর্যপাত। ধবজভঙ্গ, তৎসহ ডায়েবিটিস (কোকা)। অকাল বার্ধক্য। সঙ্গমের পরে বমিবমিভাব, বমি।
স্ত্রীরোগ – ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে, পরিমাণে প্রচুর, তৎসহ মূচ্ছা যাবার প্রবণতা (নাক্স মস্ক্যাটা;ভিরেট্রাম এল্বাম)।কামেচ্ছা, তৎসহ জননেন্দ্রিয়ে অসহনীয় সুড়সুড়ি। টেনেধরার মত অনুভূতি ও জননেন্দ্রিয়ে দিকে ঠেলা মারার মত অনুভূতি;যেন মনে হয় মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হবে, এই জাতীয় অনুভূতি।
প্রস্রাব – প্রচুর প্রস্রাব। ডায়েবিটিস।
শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রসমূহ – বুকের ভিতরে কষাভাব, এই কারণে রোগী গভীরভাবে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়। কণ্ঠনলী ও বায়ুনলীর, হঠাৎ করে সঙ্কোচন। কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস ; বুকের ভিতর ভারীবোধ ; বুকের ভিতরে হিষ্টিরিয়া রোগের মত আক্ষেপ, হাঁপানী। শ্বাসনলীর দ্বার প্রান্তে আক্ষেপ। ফুসফুসের আসন্ন পক্ষাঘাত। হাঁপানী, তৎসহতীব্ল উদ্বেগ, ভীতি ও শ্বাস রোধের ন্যায় অনুভূতি। কাশিবন্ধ হয়ে যায়, শ্লেষ্ম কিছুতেই উঠিয়ে ফেলা যায় না। গ্লোবাস হিষ্টিরিকাম।
হৃদপিন্ড – হিষ্টিরিয়ার ন্যায় হৃম্প। হৃদপিন্ডের চারিপাশে কম্পন। নাড়ী দুর্বল ও মূর্চ্ছা।
কমা-বাড়া – উপশম, মুক্তবাতাসে, ঘর্ষণে। বৃদ্ধি, ঠান্ডায়। মুক্ত বাতাস অতিরিক্ত ঠান্ডা বলে মনে হয়।
সম্বন্ধ – তুলনীয় – নাক্স মস্ক্যাটা, এসাফেটিডা ; ভ্যালেরিয়ানা ; সাম্বাল ; ইগ্নেশিয়া ; ক্যাষ্টর।
উপযোগী – এমব্রা।
দোষঘ্ন – ক্যাম্ফর ; কফিয়া।
শক্তি – ১ম থেকে ৩য় শক্তি।
যে-সকল হিষ্টিরিয়াগ্ৰস্তা বালিকা বাধ্যতার অর্থ যে কি, তাহা কখনও শিক্ষা না করিয়া যৌবনে। উপস্থিত হইয়াছেন, মস্কাস তাঁহাদের অনেককেই আরোগ্য করে। তাহারা স্বেচ্ছাচারী, একগুঁয়ে এবং স্বার্থপর । তাহারা শৈশব হইতে অষ্টাদশ বর্ষ বয়স পর্যন্ত চালাকি, চতুরতার আশ্রম লইতে উৎসাহিত হইয়াছেন, প্রত্যেকটি খেয়াল চরিতার্থ করিতে পারিয়াছেন, এবং তারপর এখন মস্কাস, ‘এসাফোটিডা’, ‘ইগ্নেশিয়া’ বা ‘ভ্যালেরিয়ানে’র উপযুক্ত হইয়া পড়িয়াছেন। তাহারা যে কেবলমাত্র একগাদা প্রকৃত ও কাল্পনিক লক্ষণে পূর্ণ থাকেন, এরূপ নহে; কিন্তু তাহারা ইচ্ছা করিয়া শিশুদের নানা দৃশ্য উৎপাদক খেলনার ন্যায় (Kaleidoscope) লক্ষণসমূহের জটিলতা উৎপাদন করেন এবং উহার পরিমাণ ও মাত্রা বাড়াইয়া নিজেদের ইচ্ছা পূর্ণ করিয়া লন এবং যাহারা তাহাকে দেখে, সে পুরুষ শুশ্রুষাকারীই হউক অথবা নারী শুশ্রুষাকারীই হউক; চিকিৎসকই হউক অথবা হতবুদ্ধি মাতাই হউক, তাহাদিগকে বিভ্রান্ত আকুল করিয়া তোলেন এবং পরাজিত করেন। তাঁহারা সৎ ও সত্যবাদী বলিয়া যতই বেশী ভান করুক না কেন, তাহাদের বর্ণিত অনুভূতিগুলি বিশ্বাসযোগ্য হয় না। তাহারা তাহাদের অনুভূতি ও কল্পনাগুলি লইয়া এতই ব্যবসাদারী করিয়াছেন যে, তাঁহাদের যথাযথভাবে লক্ষণগুলি বর্ণনা করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সর্বদাই অত্যন্ত হঠাৎ পরিবর্তনশীল এবং অবিশ্বাস্য স্নায়ুরোগসম্বন্ধীয় ঘটনা উপস্থিত হইতে থাকে। চিকিৎসক তাহার অভিজ্ঞতা দ্বারা এইগুলির পরিমাপ করিতে পারেন না এবং বলিতে পারেন না যে, ইহার কোনটি সাধারণ অথবা কোনটি অসাধারণ। বাধ্য হইয়া তিনি হিষ্টিরিয়া নামে মাত্র একটি কথার আশ্রয় লন, যাহা এইরূপ অসংখ্য লক্ষণকে ঢাকিয়া রাখিতে পারে। মাস ইহার নিজস্ব অদ্ভুত লক্ষণগুলি মিলিলে পূর্বোক্ত ধাতুতে উপযোগী হয় এবং রোগের অধিকাংশই। আরোগ্য করে। যখন এইরূপ কোন বালিকা ঠান্ডা লাগিয়া পীড়িত হন, তখন তিনি তাঁহার তরুণ। লক্ষণগুলি নানা কাল্পনিক অনুভূতির সাহায্যে বর্ণনা করিবেন সাধারণতঃ গলায় একটি গোলা উঠার অনুভূতিযুক্ত হিষ্টিরিয়া বর্তমান থাকে, উহার সহিত চৰ্ম্মের অতিরিক্ত অনুভূতি, পেশীগুলির থরথর । করা, নিদ্রাহীনতা, হৃদস্পন্দন, উত্তেজনা, মূৰ্ছাপ্রাপ্তি ও “কম্পন” থাকে। শরীরের উপর সর্বত্র ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা, মস্তকে রক্তের প্রধাবন, হাতে পায়ে খালধরা, সমুদয় শরীরের আক্ষেপ। রোগজ। অনুভূতি ও দৈহিক ক্রিয়া যে কাহারও মানসিক অবস্থার সদৃশ হয়, তাহা সাধারণতঃ জানা নাই। যখন দৈহিক ক্রিয়া, ও টিসু লক্ষণগুলি হিষ্টিরিয়া সদৃশ ও হঠাৎ পরিবর্তনশীল হয়, তখন মানসিক অবস্থাও অনুরূপভাবে হিষ্টিরিয়াজ্ঞাপক হয়। যখন মস্কাস-জ্ঞাপক মুখমন্ডলের বিশেষ লক্ষণ, যথা—এক গাল লাল ও শীতল এবং অপরটি বিবর্ণ ও উত্তপ্ত বর্তমান থাকে, তখন রোগীর মনেও কিছু-না-কিছু হিষ্টিরিয়াজ্ঞাপক বিকৃতি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রোগজ্ঞাপক অনুভূতি এবং দৈহিক ক্রিয়া হইতে অসুস্থ মানসিক অবস্থার কথা অনুমান করা যায়। রোগীদের রোগজ্ঞাপক অনুভূতিগুলির বর্ণনার মধ্যে একপ্রকার শৃঙখলা থাকে। ঠান্ডায় অনুভূতিযুক্ত ঠান্ডা লাগিলে উপসর্গগুলি উপস্থিত হয়। অসংখ্য হিষ্টিরিয়াজ্ঞাপক মানসিক লক্ষণ ব্যতীত তাহার প্রচন্ড ক্রোধের আবেশ দেখা যায়, তখন রাগে ও গালাগালি দিতে দিতে তাঁহার মুখমন্ডল নীল হইয়া পড়ে এবং তিনিও মূর্হিত হইয়া পড়েন। মৃত্যুর ভয়, কোন গুরুতর রোগ না থাকিলেও কেবলমাত্র মৃত্যুর কথাই বলিতে থাকেন। মানসিক উৎকণ্ঠা ও হৃদস্পন্দন । খিটখিটে ভাব এবং কলহপ্রিয়তা। সর্বদাই তাড়াতাড়ি করেন, হাতের জিনিষ পড়িয়া যায়। নির্বোধের ন্যায় অঙ্গভঙ্গি এবং যন্ত্রণার অভিযোগ। ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে শঙ্কিততা, কম্পন ও হৃদস্পন্দন। পাছে তিনি মরিয়া যান, এজন্য শুইতে ভয় হয়।
উচ্চস্থান হইতে পড়িতেছেন, অথবা বারবার তাহাকে ঘুরান হইতেছে, এরূপ অনুভূতি।
মাথা অথবা চক্ষের পাতা নাড়াইলে শিরোঘূর্ণন, খোলা বাতাসে উপশমিত হয়, তৎসহ বমি বমিভাব ও বমন এবং মূর্চ্ছা।
শিরঃপীড়া গরম হইলে এবং খোলা বাতাসে উপশমিত হয়। মস্তকের পশ্চাদিকে এবং ঘাড়ের পশ্চাতে টানবোধ। শীতলতার অনুভূতির সহিত মাথায় কামড়ানি। অপ্রবল, হতবুদ্ধিকর শিরঃপীড়া,—প্রধানতঃ কপালেই দেখা দেয়, তৎসহ বমি বমিভাব, সঞ্চালনে বৃদ্ধি, নির্মল বাতাসে উপশম। হিষ্টিরিয়াজনিত শিরঃপীড়া, তৎসহ প্রচুর বর্ণহীন মূত্রত্যাগ। যেন দড়ি দিয়া বাধা হইয়াছে, এরূপ আকুঞ্চনবোধ। মাথার পিছনে একটি পেরেক বিদ্ধ হইতেছে, এরূপ যন্ত্রণা, ঘরের মধ্যে বর্ধিত হয়, নির্মল বাতাসে উপশমিত হয়।
একদৃষ্টিবিশিষ্ট চক্ষু। হঠাৎ দৃষ্টিহীনতা বা অস্পষ্ট দৃষ্টি; একবার আসিতে থাকে আবার চলিয়া যায়। চক্ষু উপরদিকে উঠিয়া যায়, স্থির হইয়া থাকে এবং চকচক করে।
কর্ণে ঝড়ের ন্যায় শোঁ শোঁ শব্দ, অথবা পাখীর ডান নাড়ার ন্যায় পতপত্ শব্দ। কামানের ন্যায় শব্দ করিয়া কান ফাটিয়া যায়, তাহার সহিত কয়েক বিন্দু রক্ত পড়ে। থাকিয়া থাকিয়া অথবা ভয়ঙ্কর মূচ্ছার আবেশের পর স্নায়বিক প্রকৃতির বধিরতা।
নাসিকার রক্তপাত এবং ঘ্রাণ সম্বন্ধে বিভ্রান্তি।
এক গন্ড লাল ও শীতল, অপর গন্ড বিবর্ণ ও উত্তপ্ত । বিবর্ণ মুখমন্ডলে উত্তাপ ও অস্পষ্ট দৃষ্টি। মুখে টানটানভাব। ঘৰ্ম্মের সহিত বিবর্ণ মুখমন্ডল। মৃত্তিকার ন্যায় বিবর্ণ মুখমন্ডল। চিবাইতে থাকার ন্যায় নিম্ন চোয়াল নাড়িতে থাকা।
মুখগহ্বর ও গলা শুষ্ক ও উত্তপ্ত; তিক্ত ও পচা গন্ধ স্বাদ; অত্যন্ত তৃষ্ণা, বিশেষ হিষ্টিরিয়া প্রকাশের অবস্থায়। চাচি
বিয়ার ও ব্র্যান্ডি আকাঙ্ক্ষা করে। খাদ্যে অপ্রবৃত্তি। খাদ্যের দৃশ্য তাহাকে পীড়িত করে। বমন। চাপনবৎ, জ্বালাকর যন্ত্রণা ও পাকস্থলীর ফাপ। আহারের সময় মূৰ্ছা ভাব । গলায় জল উঠা। হিষ্টিরিয়াজনিত হিক্কা। খাদ্যের কথা চিন্তা করিলে বমি বমিভাব। নাভিস্থানে ভিতরদিকে আকর্ষণ (“প্লাম্বাম”) দীর্ঘক্ষণ ধরিয়া খাদ্যবমন । আহারের পর পাকস্থলীতে পূর্ণতাবোধ। রক্ত বমন করে। পাকস্থলী সহজেই বিশৃঙ্খল হয়।
তীব্র যন্ত্রণার সহিত উদর বায়ুস্ফীত হয়। বায়ু উপর বা নিম্ন কোনদিকেই নির্গত হয় না, অথচ পেট খুব ফাপিয়া থাকে। খালধরার ন্যায় যন্ত্রণা।
নিদ্রার মধ্যে অনিচ্ছায় মলত্যাগ। রাত্রিকালে প্রচুর জলবৎ মলত্যাগ। মলদ্বার হইতে মূত্রস্থলী পৰ্য্যন্ত সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা।
প্রচুর, বর্ণহীন, জলের ন্যায় মূত্র। রাত্রে যে-মূত্রত্যাগ হয়, তাহা দুর্গন্ধ ও শ্লেষ্মাপূর্ণ থাকে। পুরুষদিগের ভয়ানক কামোত্তেজনা। উত্তেজনা ব্যতীত শুক্রক্ষরণ।
স্ত্রীলোকদিগের ভীষণ সঙ্গমেচ্ছা। ঋতুস্রাব অতিসত্বর এবং প্রচুর, তৎসহ টানিয়া ধরার ন্যায় যন্ত্রণা, জননেন্দ্রিয়ে ঝিনঝিন করা ও মূর্চ্ছা। নীচের দিকে ঠেলামারার ন্যায় অনুভূতি। তার চর গর্ভকালে হঠাৎ পরিবর্তনশীল স্নায়বিক উদ্ৰব।
স্বেচ্ছাচারী বালিকারা যখন নিজের মত চলিতে পারে না, তখন কণ্ঠনালীর ঘড়ঘড়িযুক্ত আক্ষেপ। কণ্ঠনলীর যেন গন্ধকের বাষ্পে দমবন্ধ হইতেছে, এরূপ আকুঞ্চন। ঠান্ডা লাগিলে কণ্ঠনলীর আক্ষেপ। শাস্তি পাওয়ার পর স্নায়বিক শিশুদিগের আক্ষেপজনক ক্রুপকাশি।
বুকে ও হৃৎপিন্ডে চাপচোধ ও শ্বাসকষ্ট। অত্যন্ত স্নায়বিক প্রকৃতির নারী ও শিশুদিগের আক্ষেপজনক হাঁপানি।
বক্ষে সঙ্কোচনবোধ। ঠান্ডা লাগিলে বুক ও বক্ষব্যবধায়ক পেশীর আক্ষেপ, মুখমন্ডল নীল হইয়া যায় এবং মুখে ফেনা উঠে, বুকের পক্ষাঘাত, ঘড়ঘড় করে, কিন্তু গয়ের তুলিতে পারে না; মূৰ্ছাভাব।
হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত বালিকাদের হৃদস্পন্দন, বুকে চাপবোধ, মূৰ্ছাভাব, উত্তেজনা, তৎসহ প্রচুর বর্ণহীন মূত্রপাত। নাড়ী স্বাভাবিক থাকিলেও, হৃদপিন্ড থরথর করিতে থাকে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কনকনানি। পদদ্বয়ের অস্থিরতা এবং দীর্ঘাস্থির শীতলতা। একহাত উত্তপ্ত ও বিবর্ণ, অপর হাত ঠান্ডা ও লালবর্ণ।
সন্ধ্যাকালে শয্যায় শুইলে উত্তাপ উত্তাপ কেবলমাত্র ডানপার্শ্বে, অনাবৃত হইতে চায় ।
প্রাতঃকালে ঘৰ্ম্মে মৃগনাভির ন্যায় গন্ধ বাহির হইতে থাকে।
গাত্র শীতল, কম্পন, মূৰ্ছা ও হৃদস্পন্দন।
কস্তুরী মৃগে এই সুগন্ধি পদার্থ পাওয়া যায়। টাটকা মৃগনাভীর সুতীব্র গন্ধে অচৈতন্যতা জন্মে বলে শিকারীরা মুখ ফিরিয়ে ওকে ছেদন করে। হোমিওপ্যাথি ঔষধার্থে এর অরিষ্ট বা বিচূর্ণ প্রস্তুত হয়।
১। বক্ষঃস্থলের হিস্টিরিয়াজনিত আক্ষেপ, অর্থাৎ হিস্টিরিয়ার আক্ষেপ বুকে দেখা যায়। স্নায়বিক শ্বাসরোধক আকুঞ্চন, বিশেষত ঠাণ্ডা হলে ‘ইহা উপস্থিত হয়।”
২। হিস্টিরিয়াজনিত শ্বাসকষ্ট, অবসন্নতা, মৃর্চ্ছা, “আমি মরে যাব, আমি মরে যাব” বলে চীৎকার করে মুচ্ছা যায়, অতিশয় উত্তেজনা।
৩। অপিরিমতভাবে হাসে বা চীৎকার করে, কাঁদে, গালাগালি দেয়, শেষে ওষ্ঠদ্বয় নীল হয়ে পড়ে, চক্ষু বিস্ফারিত হয় বা একদৃষ্টে চেয়ে থাকে এবং মুর্চ্ছিত বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।