উদরে অত্যন্ত শুল বেদনা, একটা দড়ি দিয়ে উদরকে যেন মেরুদণ্ডের দিকে টানছে। |
অত্যন্ত কোষ্ঠবদ্ধতা, ভেড়া বা ছাগলের মলের মত, পেটের ব্যথাসহ কোষ্ঠবদ্ধতা। |
নিদ্রার সময় অদ্ভুৎ পজিশনে ঘুমায় ও অদ্ভুদ দেহ ভঙ্গী করে। |
মাঢ়ীর ধারগুলি নীলবর্ন, মাঢ়ী ফোলে ও পাংশু হয়ে যায়। |
মন বিমর্ষ, একটা সাংঘাতিক কিছু ঘটবে এরূপ ভয়, তাড়াতাড়ি কোন বিষয় ভাবতে পারে না। |
শরীরের যে কোন স্থানের মাংসপেশি শুকিয়ে যায়। |
উপযোগিতা – মেরুদন্ডে উৎপন্ন রোগ সমূহে উপযোগী। (ফস, পিক্রি. এসি, জিঙ্কাম) অত্যন্ত দ্রুত শরীর শুকাতে থাকে-সর্বাঙ্গীন বা দেহের অংশ বিশেষ পক্ষাঘাত ঐ সাথে অত্যন্ত রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতা—এই লক্ষণে প্রযোজ্য।
মেরুদন্ড স্থানে শিরা বা ধমনীর দেওয়ালগুলো স্কুল হতে গিয়ে সংলগ্ন পেশীগুলো শুকিয়ে যায়।
অলসতা, ক্লান্তি লোকজন ভর্তি ঘরে ঢুকলে মূৰ্চ্ছা যায়। বিষয়বস্তু বুঝতে দেরী হয়, বুদ্ধিবৃত্তির জড়তা, বোধশক্তি ক্রমশঃ কমতে থাকে (জ্বর অবস্থায় ঐরূপ হলে = এসি-ফস)।
স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা বা লোপ। কথা বলতে গেলে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পায় না(এনাকার্ডি, ল্যাক-ক্যা)।
প্রলাপ ও পেটে শূল বেদনা পাল্টা পাল্টিভাবে আসে। বিছানায় শুয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গী করতে থাকে ও অদ্ভুত অদ্ভুত অবস্থানে শুয়ে থাকে।
গায়ের রং-ফ্যাকাসে, ছাই রঙের হলদে, মড়ার মত, গালদুটো চুপসে যায়—মুখে উদ্বেগ ও দুঃখ কষ্ট ভোগের অভিব্যক্তি। মুখের চামড়া চকচকে যেন চর্বি মাখা (নেট-মি, স্যানিকি)। (মুখে) মাড়ীর ধার বরাবর সুস্পষ্ট নীল রেখা মাড়ী ফোলে, ফ্যাকাসে, মাড়ীতে সীসার রঙের রেখা দেখা যায়।
তলপেটে অত্যন্ত যন্ত্রণা সারা দেহে যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে তল পেটে একপ্রকার অনুভূতির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা হাত পা দেহ টান টান করতে থাকে, যে কোন দিকে ঐরকম টান টান করতে থাকে (এমিল-নাই)।
পেটে তীব্র শূল বেদনায় মনে হয় যেন একগাছা দড়ি দিয়ে তল পেটের দেওয়ালকে পিঠের দিকে মেরুদন্ডের দিকে টেনে রেখেছে। এ কোন অন্ত্র অন্য অন্ত্রে প্রবিষ্ট হওয়া (ইনটাস সাসপেনসন = Intussusception) : অন্ত্রের কোন অংশ পিছলে গিয়ে অন্য কোন অন্ত্রাংশে ঠিক নীচের দিকে ঢুকে যায় বিশেষতঃ বাচ্চাদের হয় সাধারণতঃ ইলিয়াম ও সিকাম (ইলিও সিকাল রিজিয়ন) সংযুক্ত অংশে হতে দেখা যায়। ঐ লক্ষণে আক্রান্ত হওয়া রোগী শল্য চিকিৎসায় সারে নচেৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোগী মারা যায়। উরুতে, কুঁচকী স্থানে বা নাভীদেশে অবরুদ্ধ হার্নিয়া হলে উপযোগী।
কোষ্ঠবদ্ধতা— শক্ত মল, দলা দল ভেড়ার নাদির মত গুটলে কাল কাল (চেলিডো, ওপি), মলদ্বারে আক্ষেপসহ যন্ত্রণা ও মলবেগ হয়, শক্ত মলের জন্য, শুকনো মলের জন্য মলদ্বারের পেশীর দুর্বলতা ও পক্ষাঘাত অবস্থার জন্য মল আটকে থাকে, গর্ভাবস্থায়, অতিরিক্ত মল জমা হয়ে কোষ্ঠবদ্ধতা ও এসব লক্ষণে প্লাটিনা দিয়ে কাজ না করলে প্লাম্বাম ব্যবহার্য।
প্রস্রাবে এলবুমেন বার হয়—ঐ সাথে শূলব্যথা, তলপেট যেন ভেতরে দিকে টেনে থাকে, শরীর দ্রুত শুকাতে থাকে, অত্যধিক দুর্বলতা ও কিডনী ছোট হয়ে যায় এসব লক্ষণে উপযোগী। জরায়ুতে যেন ভ্রুণের স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না এমন মনে হয়। জরায়ু, প্রসারিত করতে পারে না। গর্ভপাতের আশঙ্কা হয়—এসব লক্ষণে প্রযোজ্য।
আক্ষেপ—মনে হয় একবার ছাড়ছে আর একবার ধরছে–সবিরাম ও মস্তিষ্ক ধমনী গাত্র মোটা হয়ে বা মস্তিষ্কে টিউমার হয়ে বা মৃগী রোগের লক্ষণ যুক্ত আক্ষেপ হলে ব্যবহার্য। চর্ম হলদে, রজোস্রাব নিবৃত্তির সময় মুখে যেন বাদামী রঙের লিভারের রোগসূচক ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। জন্ডিস লক্ষণে-চোখ দুটো, চামড়া ও প্রস্রাব হলদে হলে ব্যবহার্য।
সম্বন্ধ— তুলনীয় শূলবেদনায় এলুমি, প্ল্যাটি, ওপি-র সাথে, নাভী ভেতরে ঢুকে যায়, লক্ষণে পডে-র সাথে অবরুদ্ধ হার্নিয়াতে নাক্স-ভ এর সাথে পডোফাইলাম এর উদ্ভিজ্জ সমগুণ।
প্লাম্বাম এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল এলুমিনা, পেট্রল, প্ল্যাটি, এসি সালফ, জিঙ্ক দূর করে।
বৃদ্ধি—রাতে (হাত পায়ের ব্যথা)। উপশম—আক্রান্ত স্থান ঘসলে, জোর চাপ দিলে ।
শক্তি—৩০, ২০০ হতে উচ্চ শক্তি। ০/১ হতে ০/৩০ শক্তি।
আশাশূন্য শিশুদের শীর্ণতায় দুর্দম্য কোষ্ঠবদ্ধতায় যখন পেট শক্ত ও বড় হয়। 3 শক্তি ভাল কাজ দেয়=ক্লার্ক।
শরীরের তন্তু সমূহের সাবির্বক কাঠিণ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এটি একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষ। সীসা জনিত কারণে পক্ষাঘাতমূলতঃ প্রসারক পেশীসমূহ, বাহুর অগ্রভাগ অথবা শরীরে উধবাঙ্গ আক্রান্ত হয়, ইহা শরীরের ভিতর থেকে শুরু করে শরীরের বাইরের অংশে প্রসারিত হয় তৎসহ আংশিক অনুভূতিহীণতা অথবা অনুভূতির অত্যাধিক আধিক্য, এই অবস্থার পূর্বে বেদনা দেখা দেয়। স্থানিক স্নায়ুশূল, স্নায়ু প্রদাহ। রক্ত, পাকাশয়িক তন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্লাম্বামের মূল কাজ সংঘটিত হয়। রক্তে দ্রুত লোহিত কণিকার সংখ্যা কমতে থাকে; এই কারণে শরীর ফ্যাকাশে বর্ণ হয়। জন্ডিস ও রক্তাল্পতা দেখা দেয়। শরীরের অভ্যন্তরিক যন্ত্রসমূহের সঙ্কোচন।
প্রলাপ, অচেতন অবস্থা ও আক্ষেপ। উচ্চরক্তচাপ ও রক্তবহানলীর কঠিণতা। পেশীসমূহের ক্রমশঃ শুকিয়ে যাওয়া। শিশুদের পক্ষাঘাত। পেশী সমূহের ক্রিয়ার গতিবিধায়ক অসামঞ্জস্য। ব্যাপক এবং দ্রুতশীর্ণতাপ্রাপ্তি। বার প্যারালিসিস। শরীরের প্রান্তভাগের রোগ সমূহের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের বহুস্থানের তন্তু সমূহের কঠিণতা, মেরুদন্ডের পশ্চাৎভাগের তন্তু সমূহের কঠিণ। সঙ্কোচন ও ছিদ্র করার মত বেদনা। বৃক্কের তরুন প্রদাহের যাবতীয় লক্ষণসমূহ তৎসহ ঝাপসাদৃষ্টি এবং মস্তিষ্ক সম্বন্ধীয় লক্ষানাবলী। গেঁটে বাত (পুরাতন।
মন – মানসিক অবসাদ। কেউ তাকে খুন করে ফেলবে এই জাতীয় আশঙ্কা। শান্ত প্রকৃতির বিষন্নতা। ধীর অনুভূতি; স্মৃতি শক্তিহীণতা, সঠিক বাক্য গঠনে অক্ষমতা। অবাস্তব বস্তুর কল্পনা ও বিভ্রান্তি। বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধীয় কাজে লিপ্ত হতে অনীহা। স্মৃতি শক্তির বিফলতা (এনাকার্ডিয়াম; ব্যারাইটা)। আংশিক পক্ষাঘাত জনিত কারণে মানসিক শক্তির খবর্তা।
মাথা – পর্যায়ক্রমে প্রলাপ ও শূলবেদনা। গলা থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত যেন একটি বল উঠছে, এই জাতীয় বেদনা। মাথার চুল অত্যন্ত শুষ্ক। কানের ভিতরে টুন টুন শব্দ হয় (চায়না, নেট্রাম স্যালিসিলিকাম; কালবানিয়াম সালফিউরেটাম)।
চোখ – চোখের তারা সঙ্কুচিত। হলুদ। চক্ষু সংক্রান্ত স্নায়ু প্ৰদাহিত। চোখের ভিতরে পুঁজোৎপত্তি সংশ্লিষ্ট প্রদাহ। গ্লকোমা, বিশেষ করে যখন এটি মেরুদন্ডের কোন রোগের থেকে উৎপন্ন হয়। চক্ষু সংক্রান্ত স্নায়ুর প্রদাহ, চোখের সামনে কালো কালো বিন্দু দেখা যায়। মূচ্ছা যাবার পরে হঠাৎ করে দৃষ্টি শক্তির লোপ পাওয়া।
মুখমন্ডল — বিবর্ণও পাংশুটে। হলুদ, মৃতের মত, গালগুলি ভিতর দিকে ঢুকে যায়।মুখমন্ডলের চামড়া চর্বিযুক্ত ও চকচকে। নাকের অগ্রভাগের পেশীসমূহের কম্পন।
মুখগহ্বর – মাঢ়ীস্ফীত, ফ্যাকাসে; মাঢ়ীগুলির কিনারা বরাবর সুস্পষ্ট নীলবর্ণের দাগ দেখা যায়। সকম্প জিহ্বা, জিহ্বার কিনারা লালবর্ণযুক্ত। জিহ্বা বের করতে পারে না, যেন মনে হয় ইহা পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
পাকস্থলী – অনলী ও পাকস্থলীর সঙ্কোচন; চাপবোধ ও টানভাব। পাকাশয়িকশূল। অবিরাম বমি। শক্ত খাবার কিছুতেই গিলতে পারে না।
উদর – তীব্র শূল বেদনা, বেদনা সমগ্র শরীরে প্রসারিত হয়। উদর প্রাচীর একটি দড়ির সাহায্যে মেরুদন্ডের দিকে টানা হচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি। বেদনার জন্য শরীর টানটান করতে ইচ্ছা হয়; অম্রাবরোধ; রুদ্ধ প্রকৃতির অন্ত্রবৃদ্ধি (হার্নিয়া)। পেটের ভিতরের দিকে টানভাব। বাধাপ্রাপ্ত। বায়ুসঞ্চয়, তৎসহ তীব্রশূলবেদনা। পযায়ক্রমে শূলবেদনা ও প্রলাপ এবং শীর্ণতাপ্রাপ্ত সঙ্গে বেদনা।
সরলান্ত্র – কোষ্ঠকাঠিণ্য, মল শক্ত, পিন্ডবৎ, কালো তৎসহ তীব্র বেগ ও মলদ্বারের আক্ষেপ। মল একসঙ্গে কষে আটকিয়ে থাকার ফলে মলত্যাগেবাধা প্ল্যাটিনা। সরলান্ত্রের স্নায়ুশূল। মলদ্বারের সঙ্কোচন ও উপরের দিকে টানভাব।
প্রস্রাব যন্ত্রসমূহ – বারে বারে, নিষ্ফল কোঁথ। অ্যালবিউমিনযুক্ত প্রস্রাব, স্বল্প আপেক্ষিক গুরুত্বের প্রস্রাব।
বৃক্কের পুরাতন প্রদাহ – তৎসহ পেটের ভিতরে তীব্র বেদনা। প্রস্রাব অল্প। প্রস্রাব থলির কোঁথ। ফোঁটা ফোঁটা করে প্রস্রাব নির্গত হয়।
পুরুষের রোগ – যৌন সম্পর্কিত ক্ষমতার স্বল্পতা। অন্ডদ্বয়ে উপর দিকে টনাভাব, সঙ্কোচনের অনুভূতি।
স্ত্রীরোগ — যোনিপথের আক্ষেপ তৎসহ শীর্ণতা ও কোষ্ঠকাঠিণ্য। স্তনগ্রন্থির কঠিনতা। যোনিকপাটও যোনিপথ অত্যন্ত অনুভূতি প্রবন। স্তনের ভিতরে সূচীবিদ্ধবৎ ও জ্বালাকর বেদনা (এপিস, কোনিয়াম; কার্বো-অ্যানিম্যালিস; সাইলেশিয়া)। গর্ভপাতের প্রবণতা যুক্ত। অতিরজঃ তৎসহ একটি দড়ি পেটের ভিতর থেকে পিঠ পর্যন্ত টানা রয়েছে এই জাতীয় অনুভূতি। হাইতোলা ও গা মোড়ামুড়ি দেবার প্রবণতা।
হৃদপিন্ড – হৃদপিন্ডের দুর্বলতা। নাড়ী কোমল ও ক্ষুদ্র, দুইবার করে প্রতিঘাত করে। তারের মত সরু নাড়ী, শরীরের দূরবর্তীস্থানে থাকা ধমনী গুলিতে খিলধরার মত সঙ্কোচন।
পিঠ – সুষুমনা কান্ডের প্রাপ্তি। বিদ্যুতের মত যন্ত্রণা; সাময়িকভাবে চাপে উপশম। নিম্নাঙ্গের পক্ষাঘাত।
চামড়া – হলুদ, যকৃৎ দোষজনিত কারণে চামড়ার উপর কালচে বাদামী বর্ণের ছোপসমূহ। জন্ডিস। বাহু অগ্রভাগে ও পা গুলির শিরাসমূহ শুষ্ক ও প্রসারিত।
অঙ্গ প্রত্যঙ্গ – শরীরের কোন একটি পেশীগুচ্ছে পক্ষাঘাত। কোন বস্তু হাত দিয়ে তুলতে বা উঠাতে পারে না। পেশীর প্রসারন কষ্টকর। পিয়ানো বাদকদের প্রসারক, পেশীর অতি ব্যবহারের ফলে পক্ষাঘাতের উদ্ভব (কিউরেয়ার)। উরুস্থানের পেশীসমূহের বেদন; থেকে থেকে বেদনার প্রকোপ প্রকাশ পায়। কজির পতনাবস্থা। পায়ের ডিমের পেশী সমূহের খিলধরা। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হুলফুটানবৎ, ও ছিড়ে ফেলার মত অনুভূতি, এছাড়াও স্পন্দন, ও সুড়সুড়ি, অসাড়তা, বেদনা অথবা কম্পন। পক্ষাঘাত। পায়ের পাতারস্ফীতি শীর্ণতাপ্রাপ্ত অঙ্গে পর্যায়ক্রমে বেদনাও শূলবেদনা।
হাটুঁর মালাইচাকির প্রতিক্রিয়ার অভাব। হাত ও পাগুলি শীতল। রাত্রে ডানপায়ের বুড়ো আঙ্গুলের । বদনা, অন্তস্পর্শকাতর।
কমা-বাড়া-বৃদ্ধি- রাত্রে, নড়াচড়ায়। উপশম, টিপে দেখে, কঠিন চাপে, শারীরিক পরিশ্রমে, (এলুমেন)
সম্বন্ধ-তুলনীয়—প্লাম্বাস অ্যাসেটেট (পক্ষাঘাতগ্রস্ত অঙ্গ বেদনাপূর্ণ গ্রাসট্রিক আলসার রোগে পেশী সমূহের তীব্র বেদনা ও খিলধরা; রসযুক্ত একজিমার ক্ষেত্রে, স্থানিকভাবে এই ঔষধ ব্যবহার করা যায় (অ-হোমিওপ্যাথিক) এবং এটি রসনিঃসরণ বন্ধ করে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী শুষ্ক করে তোলে। খুব সাবধানে ঔষধটি ব্যবহার করা প্রয়োজন, কারণ উপযুক্ত পরিমানে সীসা শরীরে শোষিত হলে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। এছাড়াও মূলাধারের চুলকানিতে, লাইকর প্লাম্বাই এবং গ্লিসারিন সম মাত্রায়। মিশ্রিত করে বাহ্যিকভাবে প্রযোজ্য);
প্লাম্মাম আয়োডেটাম (অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের উপর নির্ভর করে এই ঔষধটি নানা প্রকারের পক্ষাঘাত, কঠিণতা জনিত অপকৃষ্ট পরিবর্তন বিশেষ করে সুষুষ্মকান্ড, শীর্ণতা, আর্টিরিয়োস্কেলেরোসিস, প্যালেগ্রা। স্তন গ্রন্থির কঠিণতা বিশেষ করে যখন প্রদাহের প্রবনতা দেখা দেয়; টাটানি ও বেদনাপূর্ণ। প্রচন্ড কঠিনতা তৎসহ শুষ্ক চর্ম)।
তুলনীয়—এলুমিনা; প্ল্যাটিনা; ওপিয়াম; পডোফাইলাম; মার্কিউরিয়াস; প্লাম্বাম ক্রোমিকায়াম (তড়কা, তৎসহ তীব্র বেদনা; চোখের তারার অতীব প্রসারণ; পেট ভিতর দিকে ঢোকা);
প্লাম্বাম ফসফরাস – (যৌনশক্তির ক্ষমতার স্বল্পতা)।
দোষঘ্ন – প্রাটিনা; এলুমিনা; পেট্রোলিয়াম।
শক্তি- ৩য় থেকে ৩০ শক্তি।
এই ঔষধটি হ্যানিম্যানের একটি নীতি, ঔষধের শক্তিকরণনীতিকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করিতেছে। তোমরা সীসার অদ্রাবকতার বিষয় চিন্তা কর, তারপর মনে কর যে, উহা দ্বারা কেমন করিয়া ঘরের দেয়ালগুলি রঞ্জিত করা হয়, তারপর মনে কর যে, নূতন রঙকরা ঘরে নিদ্রা যাওয়ার ফলে কতনোক পীড়িত হইয়া পড়ে; এইবার চিন্তা করিয়া দেখ যে, ঐসব লোককে পীড়িত করিতে কি পরিমাণ সীসার প্রয়োজন হইয়াছিল। অনেক রোগী নূতন রঙকরা ঘরে ঘুমাইতে পারে না, তাহারা সীসশূলে বা সীসাজনিত তরুণ রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক লোক সীসায় অত্যনুভূতিবিশিষ্ট থাকে। এই অত্যনুভূতিপ্রবণতা সাধারণতঃ যেরূপ দেখা যায়, তাহার চেয়ে বেশী স্পষ্টভাবে চিত্রকরগণের মধ্যেই লক্ষিত হয়, তাহারা হয়ত বহুবৎসর যাবৎ কোনরূপ বিষাক্ত না হইয়া উহা লইয়া কাজ করে কিন্তু তারপর হঠাৎ উহা দ্বারা অভিভূত হইয়া পড়ে। তোমরা ভাবিয়া দেখিলে বিস্মিত হইবে যে, বায়ুর মধ্যে ত্যক্ত কতটুকু সীসা তাহারা গ্রহণ করে। উহা এত বেশী সূক্ষ্মাকারে থাকে যে, অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারাও উহা পরীক্ষা করা যায় না অথচ উহাই তাহাকে পীড়িত করার পক্ষে যথেষ্ট হয়। আমাদের এরূপ কোন পরিমাপক যন্ত্র নাই যাহার সাহায্যে নির্ণয় করিতে পারি যে, কতটুকু সীসা সে গ্রহণ করে। কিন্তু আমরা এই অনুভূতিপ্রবণতার সাহায্য লই; সীসা লইয়া যাহারা কাজ করে তাহাদের পক্ষাঘাত, চিত্রকরদিগের সীসশূল প্রভৃতি ব্যাপার সীসার পরীক্ষাফলকে আরও বিস্তৃত করে এবং সীসার সর্বাঙ্গীণ চিত্রকে পরিস্ফুট করে।
যদি আমরা প্লাম্বামের সমগ্র লক্ষণতত্ত্ব পাঠ করি, তাহা হইলে ইহার সর্বাঙ্গীণ পক্ষাঘাতিক অবস্থা দেখিয়া আশ্চর্য হইবে। দেহের ক্রিয়াশীলতা, যন্ত্রের কাৰ্যগুলি উহাদের গতি সম্বন্ধে মন্থর হইয়া পড়ে। স্নায়ুসমূহ আর পূর্বের ন্যায় দ্রুতভাবে অনুভূতিগুলিকে বহন করিয়া লইয়া যায় না। পেশীগুলির ক্রিয়া মন্থর হইয়া পড়ে, উহারা অলস হইয়া পড়ে। প্রথমে আংশিক পক্ষাঘাত, তারপর পক্ষাঘাত, প্রথমে এক অঙ্গে, তারপর সমস্ত দেহে প্রকাশ পাইতে থাকে। মনের খর্বতা 3 ধীরতা দেখা দেয়। বোধশক্তি ধীর হইয়া পড়ে। মুখস্থ করা কষ্টকর হয়। কোন কিছু বুঝিতে শারা কষ্টকর হয়। সে মনের ভাব প্রকাশ করার উপযুক্ত কথা খুঁজিয়া পায় না। মনের ক্রিয়া মন্থর ইয়া পড়ে। এইরূপ রোগীর সহিত কথা বলিবার সময় তুমি ভাবিয়া বিস্মিত হইবে যে, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত হইবার সময় কোন্ কথা ভাবিতেছিল। চর্মেও ঐরূপ মন্থরভাব কাশিত হয়। তুমি হয়ত তাহার দেহে একটা কাঁটা ফুটাইয়া দিলে, সে এক সেকেন্ড পরে উঃ চরিয়া উঠিবে এবং বুঝাইয়া দিবে যে, তাহার অনুভূতি সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করিবে। কিন্তু এরূপ রোগীর ক্ষেত্রে যখন তুমি সিদ্ধান্ত করিতে আরম্ভ করিলে যে, সে আদৌ অনুভব করিতেছে না, তখন তাহার অঙ্গটি ঝকি দিয়া উঠিবে। চর্মের অনুভূতিহীনতা। তরুণ রোগগুলি অতিরিক্ত অনুভূতির অবস্থায় থাকে। কিন্তু পুরাতন রোগগুলি অনুভূতিনাশের প্রকৃতিবিশিষ্ট হয়। হস্তাঙ্গুলি, পদাঙ্গুলি, পায়ের তলা এবং হাতের তালুর অসাড়তা, উহা চৰ্ম্মে এবং মেরুদন্ডের দিকে বিস্তৃত হয়।
দেহের পরিপুষ্টিসাধক ক্রিয়াগুলি মন্থর হইয়া যায়, তাহারা দৈহিক ক্ষয়ের সহিত সমতা রক্ষা করিতে পারে না, এবং সেইজন্য আমরা দেখি যে, রোগী কঙ্কালসার না হইয়া পড়া পর্যন্ত শীর্ণতাপ্রাপ্ত হইতে থাকে, চৰ্ম্ম কুঞ্চিত, তোবড়ান এবং হাড়সংলগ্ন হইয়া পড়ে। সময়ে সময়ে এরূপ শীর্ণতা একৗঙ্গিক হয়। যখন একৗঙ্গিক হয় তখন উহা সাধারণতঃ যন্ত্রণাযুক্ত অঙ্গের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকে, যন্ত্রণাযুক্ত অঙ্গটি শুকাইতে থাকে। সায়েটিক স্নায়ুর উপর যন্ত্রণা, জ্বালা, তীরবৎ যন্ত্রণা, যেন হাড়টিকে স্থানচ্যুত করিয়া ফেলা হইতেছে এরূপ যন্ত্রণা, যেন হাড়টি চাচিয়া ফেলা হইতেছে এরূপ যন্ত্রণা এবং সাথে সাথে অঙ্গটি শীর্ণ হইতে থাকে। বাহুর উপর হইতে নীচের দিকে, স্কন্ধে যন্ত্রণা, বাহুস্থ স্নায়ুবর্ভুলে তীব্র যন্ত্রণা এবং সাথে সাথে বাহুটি শুকাইতে থাকে। মুখমন্ডলের এক পার্শ্বের স্নায়ুশূল এবং ঐ গার্শ্বটি শুকাইতে থাকে। একটি বিশেষ পেশীর পক্ষাঘাত এবং সেই আক্রান্ত পেশী শুষ্ক হইতে থাকে। বিস্তারক ও সঙ্কোচক উভয় প্রকা পেশীরই পক্ষাঘাত কিন্তু প্রধানতঃ বিস্তারক পেশীগুলির। পক্ষাঘাত বিস্তারক পেশীগুলিতে আর হয়, সেইজন্য আমরা দেখি যে হাতের কজি ঝুলিয়া পড়ে। সে তাহার হাত দিয়া কোন জিনি তুলিতে বা উঁচু করিতে পারে না। হাত বিস্তার করা কঠিন হইয়া পড়ে। পিয়ানো বাদকদে এইরূপ হয়, তাহারা গতি বজায় রাখিবার মত যথেষ্ট দ্রুত তাহাদের হাতের আঙ্গুল উঠাই পারে না কিন্তু সঙ্কোচনশক্তি ঠিকই থাকে। কিউরেরী’ আর একটি ঔষধ, তাহাও পিয়ানে বাদকদের এইরূপ অবস্থার সদৃশ হয়, অতিরিক্ত পরিশ্রম হেতু বিস্তারক পেশীগুলির পক্ষাঘাত ও যখন নির্দিষ্ট স্বরলিপি ও স্বরগ্রাম প্রভৃতি অনুসারে ঘন্টার পর ঘন্টা একসঙ্গে পিয়ানো বাজাই পেশীগুলি ক্লান্ত হইয়া পড়ে, যখন বাদককে একই কাৰ্য্য পুনঃপুনঃ করিয়া যাইতে হয়, তখন রাসের ক্ষেত্র উপস্থিত হয় কিন্তু উহা একটি তরুণ ঔষধ এবং কেবলমাত্র অল্পক্ষণই ক্রিয়া ও প্রকাশ করে। যখন বিশেষ পেশীগুলির অতি ব্যবহার হয়, তখন রাস’-জ্ঞাপক অবস্থা উপস্থি হয় এবং রোগীর ঠান্ডা লাগে এবং একপ্রকার দুর্বলতা উপস্থিত হয়। তখন শীতল জলে স্না করিলে অথবা পেশীগুলি শীতল জলে ডুবাইলে আংশিক পক্ষাঘাত উপস্থিত হয়; পরিশ্রা অবস্থায় ভিজিয়া গেলে ‘রাস’-জ্ঞাপক অবস্থা আসে। পরবর্তীকালে যখন পুরাতন অবস্থা আে চ তখন প্লাম্বাম এবং সময়ে সময়ে ‘কিউরেরী’ নির্দিষ্ট হয়।
অন্ত্রাদির আংশিক পক্ষাঘাত, কোষ্ঠবদ্ধতা, মলত্যাগকালে বেগ দিতে পারে না। রোগ উদরের পেশীগুলিতে বেগ দিতে পারে কিন্তু সরলান্ত্র পক্ষাঘাতিক অবস্থায় থাকে বলিয়া, সে নির্গত করিতে পারে না।
মূত্রস্থলীও পক্ষাঘাতের ন্যায় অবস্থায় থাকে, সে মূত্রত্যাগ করিতে পারে না; পেশীগুলি , মূত্রত্যাগক্রিয়ার অংশ গ্রহণ করে না এবং মূত্রাবরোধ উপস্থিত হয়। প্লাম্বামে মূত্রাবরোধ। মূত্রনাশ দুইই আছে।
রোগের পুরাতন অবস্থাতেই এরূপ পক্ষাঘাত দেখা যায় । তরুণ অবস্থায় আমরা জ্ব শূলব্যথা, অকস্মাৎ কোষ্ঠবদ্ধতা দেখিতে পাই, অন্ত্রাদির মধ্যে ছিন্নকর যন্ত্রণা জন্মে, অজীর্ণত সহিত বমন দেখা দেয়। যে যাহা কিছু খায়, সবই টক হইয়া যায়।
ভক্ষিত সকল জিনিষই ভীষণভাবে বমিত হয়। পাকস্থলীর পুরাতন সর্দিজ অবস্থা, তৎ এলবুমেনযুক্ত শ্লেষ্মা এবং মিষ্টস্বাদ পদার্থ বমন। বহুদিন পূর্বের ভক্ষিত বস্তু, কালচে রক্ত সবুজাভ তরল পদার্থ বমন। টক উদ্গার উঠা।
এই ঔষধটি ধীরভাবে এবং অজ্ঞাতসারে ক্রিয়া প্রকাশ করে। ইহা ক্রমাগত ক্রিয়া করি যায়, কখনও শারীর বিধানকে পরিত্যাগ করে না এবং ইহার নিজস্ব এক বিশেষ প্রকার ধাতুদোষের সৃষ্টি করে। সুতরাং ইহা ধীরগতি ও অজ্ঞাতসারে আক্রমণশীল পুরাতন রোগগুনি পক্ষে, যে রোগগুলির কোনরূপ আরোগ্যপ্রবণতা থাকে না, তাহাদের পক্ষে উপযোগী ক্রমবর্ধমান পৈশিক শীর্ণতা, ক্রমবর্ধমান পক্ষাঘাত। পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতা, পুরাতন মূত্রাবরো। মনের পুরাতন ভাবের কর্মশক্তিহীনতা।
মনের ধীরতা, যাহা একটি সর্বাঙ্গীণ লক্ষণ, তাহা ব্যতীত এই ঔষধটি বিষাদ, দুঃখিত যেন কিছু ভয়ানক ব্যাপার ঘটিবে এরূপ অনুভূতি, যেন তিনি পাপ করিয়া তাহার করুণা পাওয়া দিনটিকে হারাইয়াছেন এরূপ অনুভূতি, যেন তিনি কোন ক্ষমার অযোগ্য পাপ কাজ করিয়াছে এরূপ অনুভূতিতে পূর্ণ থাকে। তাহার দেহ ও মন দুর্বল। “গভীর বিষাদভাবের সহিত ভীরুতা। অস্থিরতা।” এইরূপ মানসিক অবস্থায় তাঁহার চিন্তাশক্তি ধীরগতি হইলেও তিনি যথেষ্ট পরিম চিন্তা করিতে থাকেন, চিন্তা করিবার চেষ্টা করেন। তাঁহার চিন্তাগুলি তাঁহাকে সারারাত্রি কষ্ট দেয় এবং নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটায়। নিদ্রাহীনতা, অবিরত চিন্তা করিবার চেষ্টায় জন্য নিদ্রাহীন। মন কায্য করে না কিন্তু তথাপি রোগী কল্পনা ও উত্তেজনায় পূর্ণ থাকে। কোন কিছু বুঝিবার বা মন করিবার শক্তির অভাব। তারপর এই অবস্থা, নিদ্রাহীনতা অবস্থা হইতে বৃদ্ধি পাইয়া, আচ্ছন্ন নিদ্রা অবস্থায় উপস্থিত হয় এবং আচ্ছন্ন নিদ্রার অবস্থার সহিত মূত্রাবরোধ সংযুক্ত থাকে। মূত্রবিষাক্ত হইতে আচ্ছন্ন নিদ্রা, মূত্রবিকার। যদি আমি এ সম্বন্ধে কোন শয্যাগত রোগীর কথা বলি, তাহা হইলে বিষয়টি হয়ত ভালভাবে তোমাদের মনে নিবদ্ধ হইবে। কয়েক বৎসর পূর্বে কোন চিকিৎসক তাহার স্ত্রীর ব্যাপার লইয়া আমার নিকট আসিয়াছিলেন। তিনি দুই দিন যাবৎ অচৈতন্য হইয়া ছিলেন, অনেকদিন যাবৎ একটুও মূত্রত্যাগ করেন নাই, ক্যাথিটার প্রয়োগে দেখা গিয়াছে। যে, মূত্রস্থলীতে কোন মূত্রই নাই। তাহার একগাদা লক্ষণ ছিল কিন্তু ঐগুলি সবই সাধারণ লক্ষণ। কিছুদিন পূর্বে হইতে তাহার পূর্বোক্ত প্রকার মন্থরভাব ছিল, তিনি ক্রমাগত নাভিস্থান টানিয়া ধরার ন্যায় অনুভূতির, যেন একগাছি দড়ি দিয়া মেরুদন্ডের দিকে টানিয়া ধরার ন্যায় অনুভূতির অভিযোগ করিতেন, তারপর তাহার আচ্ছন্ন নিদ্রার অবস্থা উপস্থিত হইয়াছিল। রোগিণীর স্বামী বলিয়াছিলেন যে, তিনি মৃতের ন্যায় বিবর্ণ হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং শ্বাসক্রিয়া ধীরে ধীরে চলিতেছিল। একমাত্র উচ্চশক্তির প্লাম্বাম দেওয়া হইয়াছিল এবং কয়েক ঘন্টা পরে তিনি মূত্রত্যাগ করিয়াছিলেন, জাগিয়া উঠিয়াছিলেন এবং আর কখনও তাহার ঐরূপ আক্রমণ হয় নাই।
হৃৎপিন্ডের ভীষণ আক্ষেপিক স্পন্দন, বামপার্শ্বে শয়নে বৃদ্ধি-তৎসহ হৃৎপিন্ড প্রদেশে স্পষ্ট উৎকণ্ঠা। হৃৎপিন্ডের অতিবৃদ্ধি এবং প্রসারণ। হৃৎপিন্ডে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা।
হিষ্টিরিয়া ধাতু, হিষ্টিরিয়াজনিত আকুঞ্চন, হস্তাঙ্গুলিগুলির খালধরা, হিষ্টিরিয়াসদৃশ অঙ্গভঙ্গি, বিশেষ অঙ্গের, হাতের পায়ের সমস্ত দেহের আক্ষেপ, প্রলাপসদৃশ অবস্থা, হৃৎপিন্ডস্থলে যন্ত্রণা, নানা অঙ্গের অসাড়তা হিষ্টিরিয়া লক্ষণের বিকাশ।
প্লাম্বাম প্রতারণা করিবার ও ঠকাইবার ঝোক জন্মায়। একজন স্ত্রীলোক আত্মহত্যার জন্য সামান্য পরিমাণে সীসার এসিটেট খাইয়াছিলেন, উহাতে তাহার মধ্যে হিষ্টিরিয়ার অবস্থা বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছিল। কেহ তাহার দিকে চাহিলে, তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা মূৰ্ছাপ্রবণ অবস্থায় থাকিতেন। যখন তিনি মনে করিতেন যে, তাঁহার নিকট কেহ নাই, তখন তিনি উঠিয়া পড়িতেন, ঘুরিয়া বেড়াইতেন, আর্সীতে চাহিয়া দেখিতেন যে তিনি কত সুশ্রী, কিন্তু সেই তিনি সিঁড়িতে পদশব্দ শুনিতেন, অমনি বিছানায় শুইয়া পড়িতেন এবং তাহাকে অচেতনের মত দেখাইত। তিনি দেহে যথেষ্ট কাঁটাবিধান সহ্য করিতে পারিতেন এবং তিনি যে শ্বাস-প্রশ্বাস লইতেছেন তাহা অনুভব করা কষ্টকর ছিল। প্লাম্বাম তাহার শারীরবিধানে হিষ্টিরিয়ার অবস্থা বুদ্ধমূল করিয়াছিল, তাঁহার ঠকাইবার প্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল, রোগের ভাল করার প্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল । পীড়াকে অতিরঞ্জিত করার প্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল; আর এই ঔষধটি লক্ষণগুলি মিলিয়া গেলে ঐরূপ পীড়ার মূলদেশ পর্যন্ত প্রবেশ করে।
পরিবর্তনশীল, অবিরত বিষয় হইতে বিষয়ান্তরে যায়। এক শ্রেণীর চিন্তা হইতে আর এক শ্রেণীর চিন্তায় যায়। একপ্রকার মনোভাব হইতে আর একপ্রকার মনোভাব যায়। সমগ্র ঔষধটিই অত্যন্ত মানসিক আবেগযুক্ত। বুদ্ধিবৃত্তি মন্থর হইয়া গেলেই অধিকাংশ লক্ষণ মানসিক আবেগযুক্ত হয়।)
প্লাম্বাম মূত্রে এলবুমেন এবং চিনিযুক্ত মূত্রপিন্ডসংক্রান্ত পীড়া আরোগ্য করে। মূত্রের বর্ণ। ঘোরাল, মূত্র অল্প, অধিক আপেক্ষিক গুরুতুবিশিষ্ট। মূত্রস্থলী যে পূর্ণ রহিয়াছে এরূপ অনুভূতির অভাব হইতে মূত্রাবরোধ।
সন্ন্যাসরোগ; আচ্ছন্ন নিদ্রা, সন্ন্যাসরোগজ্ঞাপক রক্তের চাপের চারিদিকে সর্বদাই যে রক্তসঞ্চয় হয়, তাহা দূর করিবার পক্ষে যখন ‘ওপিয়াম যথেষ্ট সদৃশ হয়, তখন প্লাম্বাম পরবর্তী ঔষধরূপে কাজে আসে। প্লাম্বাম, ফসফরাস’ ও ‘এলুমিনা’ তিনটি প্রধান ঔষধ। প্রাথমিক অবস্থা ‘ওপিয়ামে’র সদৃশ হইলে উহারা প্রায়ই লক্ষণগুলির সহিত মিলিয়া যায়। পেশীসমূহের পক্ষাঘাত, শরীরের এক পার্শ্বিক পক্ষাঘাতিক দুর্বলতা, অথবা একটি বিশেষ অঙ্গের পক্ষাঘাতিক দুর্বলতা এইরূপ রোগগুলির সহিত সম্বন্ধবিশিষ্ট হইয়া থাকে।
শরীরের ঊর্ধ্বাংশের, মস্তক ও মনের আর একটি লক্ষণ আছে, তাহা পাঠ্যপুস্তকে স্পষ্ট বর্ণিত হয় নাই কিন্তু উহার প্রতি তোমাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হওয়া উচিত। মানসিক লক্ষণগুলি মনোযোগসংক্রান্ত লক্ষণগুলি এবং মস্তকলক্ষণগুলি, কোনরূপ পরিশ্রমে, বিশেষতঃ খোল হাওয়ায় পরিশ্রম করিলে অত্যন্ত বর্ধিত হইয়া উঠে। খোলা বাতাসে বেড়াইবার সময় রোগীর মাথা উত্তপ্ত, মুখমন্ডল বিবর্ণ এবং হস্ত-পদাদি শীতল হইয়া উঠে, হাত-পা বরফের ন্যায় শীতল, যেন মরিয়া গিয়াছে এরূপ শীতল হয় এবং যদি সে পরিশ্রম করিয়া যাইতেই থাকে তাহা হইলে মুখমন্ডলও মৃতের ন্যায় হইয়া উঠে। এরূপ লোক পরিশ্রম করিতে পারে না এবং পরিশ্রম করিলেই হাত-পা শীতল হইয়া উঠে। মস্তিষ্ক, উপদাহ বিশিষ্ট হয়, মস্তিষ্কের তলদেশ, ঘাড়ে পশ্চাদ্ভাগে এবং স্নায়ুকেন্দ্রসমূহে যন্ত্রণা হয়। পরিশ্রম হইতে হস্ত-পদাদি শীতল হয়, কিন্তু তথাপি সে শীতল না হইয়া যথেষ্ট মানসিক পরিশ্রম করিতে পারে। হস্তপদাদির শীতলতা খোলা বাতাসে হাঁটার ন্যায় শারীরিক পরিশ্রম হইয়া থাকে। সন্ধ্যায় ও রাত্রে অঙ্গাদিতে আবেশে আবেশে যন্ত্রণা, উহা চাপে উপশমিত ও সঞ্চালনে বর্ধিত হয়। বিদ্যুতাঘাতবৎ যন্ত্রণা। সকল অঙ্গের উৎক্ষেপ ও কম্পন।
প্লাম্বামের রোগী শীতল দেহ ও শীর্ণতাপ্রাপ্ত থাকে; এমনকি গরমকালেও তাহার যথেষ্ট পোষাক দরকার হয়; মাথার চারিদিকে নহে কিন্তু শরীরের উপরে। হস্ত-পদাদি শীতল, নীলবর্ণ অসাড় ও শীর্ণতাপ্রাপ্ত। হস্ত-পদাদিতে ঘর্ম, পায়ের পাতার ঘর্ম অত্যন্ত দুর্গন্ধবিশিষ্ট থাকে পায়ের পাতা ও পায়ের আঙ্গুলগুলি ধোপানীর হস্তের ন্যায় শীর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। পায়ের আঙ্গুলগুলিতে ফোস্কা পড়ে, পায়ের আঙ্গুলের ফাকে ফাকে ফোস্কা পড়ে, উহাতে চিড়িক মারিতে থাকে ক্ষতপ্রাপ্তি। পরমাণুসমূহের ধ্বংস হয় এবং হাতের আঙ্গুল ও পায়ের আঙ্গুলের চামড়ার উপর গ্যাংগ্রিন পৰ্য্যন্ত হইতে পারে। পায়ের পাতার চারিদিকে অসাড়তাপ্রাপ্ত স্থানসকল, কড়া ও প্রদাহযুক্ত স্ফীতি।
মাথার পুরাতন রোগগুলির সহিত পৃষ্ঠের ও ঘাড়ের পেশীগুলির আকুঞ্চন থাকে ঝিল্লীসমূহের রোগজ্ঞাপক আকর্ষণ এবং পেশীসঙ্কোচন দেখা দেয়, আক্ষেপিকভাবে আঁকি মারিয় উঠে। “চোয়ালের নিম্নবর্তী ও জিহ্বার নিম্নবর্তী গ্রন্থিসমূহের স্ফীতি।” অনেক সময়ে ধনুষ্টঙ্কারে মত এবং হনুস্তম্ভের সহিত আক্ষেপ।.“দন্তমাড়ির গোড়া দিয়া বরাবর সুস্পষ্ট নীল রেখা। দন্তমাড়ি বিবর্ণ, স্ফীত, উহার উপরে একটি সীসবর্ণের রেখা দেখা যায়, নীল, বেগুনে বা বাদা রেখা, কঠিন গুটিকাকার উদ্ভেদ থাকার জন্য যন্ত্রণাপূর্ণ। “জিহ্বা শুষ্ক, বাদামীবর্ণ ও ফাটা”, হল বা সবুজ লেপাবৃত; পুরাতন পাকাশয়প্রদাহে লালবর্ণ, শুষ্ক ও চকচকে। নিঃশ্বাস দুর্গন্ধ, মুখ শুহ ক্ষতযুক্ত, জাড়িক্ষতযুক্ত। “গলার মধ্যে একটি গোঁজ থাকার ন্যায় অনুভূতি। গলায় একটি গোলা উঠার অনুভূতিযুক্ত হিষ্টিরিয়া।” “গলার পক্ষাঘাত এবং গিলিতে অক্ষমতা, একপ্রকার অন্ননালী পক্ষাঘাত।
পাকস্থলীর খাদ্য হজম করার শক্তি থাকে না। সমীকরণ শক্তি নষ্ট হইয়া যায়। উদ যন্ত্রণা,—ছিন্নকর, শূলব্যথার ন্যায়, রোগীকে দ্বিভাজ করিয়া ফেলে। নাভিদেশে সর্বদাই যে একগাছি দড়ি দিয়া টানিতেছে এরূপ অনুভূতি, মনে হয় যেন উদরটি ভিতর দিকে আকৃষ্ট হইতেছে। সময়ে সময়ে উদর খোলে পড়া হইয়া যায়, মনে হয় যেন পৃষ্ঠ ও উদর অত্যন্ত কাছাকাছি হইয়া গিয়াছে।
কোষ্ঠবদ্ধতা একটি সাধারণ ও সুপরিচিত লক্ষণ। সাধারণ কোষ্ঠবদ্ধতা, শূলবেদনা ও উদরলক্ষণগুলি একসঙ্গে বর্তমান থাকে। “কোষ্ঠবদ্ধতার মল কঠিন, ভেড়ার বিষ্ঠার মত ডেলাডেলা, তৎসহ কুন্থন এবং মলদ্বারের আক্ষেপ বা আকুঞ্চন জন্য ভয়ানক যন্ত্রণা, গাঁটগাঁই গোলার ন্যায় মল।” সে কত বেশী বেগ দেয়, তাহাতে কিছু আসে যায় না, সে মল নির্গত করিতে পারে না। “অন্ত্রাদির আকুঞ্চন, নাভি এবং মলদ্বার ভীষণভাবে ভিতর দিকে ঢুকিয়া যায়। “উদরে ভীষণ যন্ত্রণা, উহা ঐ স্থান হইতে চারিদিকে শরীরের সকল অংশ বিস্তৃত হইয়া পড়ে। “তীব্র শূলব্যথা, উদরের আকুঞ্চন, রোগী পশ্চাদ্দিকে বাঁকিয়া যায়, গতিবিধায়ক স্নায়ুগুনি বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়। পেটের মধ্যে গড়গড় শব্দ ও উদরস্ফীতি। মল জমিয়া ঠাস হইয় যাওয়া। আক্ষেপিক ক্রিয়ার সহিত সংশ্লিষ্ট যোনির আক্ষেপ।
“শয্যায় অদ্ভুত অদ্ভুত ভাবে ও অবস্থানে থাকিবার ঝোঁক।” রক্তশূন্যতার, হরিৎপান্ডুরোগ, শীনতাপ্রাপ্তি, পেশীসমূহের শীর্ণতা, সঞ্চরণশীল যন্ত্রণা, শোথের ন্যায় স্ফীতি, হলদে চৰ্ম্ম, ন্যাবা। এ ঔষধটির সর্বত্র ক্ষতের সহিত জ্বালা সংশ্লিষ্ট থাকে।
অপর নাম – সীসা বা লেড (lead).
হোমিওপ্যাথিক ঔষধার্থে বিশুদ্ধ সীসাকে বিচুর্ণাকারে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়।
# প্লাম্বাম মেটের মূলকথা
১। পেট মেরুদণ্ডের দিকে ঢোকান যেন একটি দড়ি দিয়ে মেরুদণ্ডের – সঙ্গে টেনে বেধে রাখা আছে।
এই লক্ষণটি বাহ্যিক ও অনুভূতিমূলক উভয় ভাবেই দেখা যায় অর্থাৎ চিকিৎসক যেমন ইহা দেখতে পান, রোগীও তেমনি ইহা অনুভব
করতে পারে।
২। মাঢ়ীর প্রান্তদেশ দিয়ে সুস্পষ্ট নীল বর্ণের রেখা।
৩। মনিবন্ধের পতন (wrist drop); প্রসারক পেশী সমূহের (extensor muscle) পক্ষাঘাত।
প্লাম্বাম মেট – একটি আলোচনা
বিস্তৃত পরীক্ষা সত্ত্বেও এই ঔষধটি যেরূপ ভাবে ব্যবহারের আশা করা যায় ইহা ততটা ব্যবহার্য নয়। একটি লক্ষণ বিশেষভাবে বিভিন্ন রোগে একে ব্যবহারের নির্দেশক বলে প্রমাণিত হয়েছে, যেমন –
* উদরটি মেরুদণ্ডের দিকে ঢোকান, যেন একটি দড়ি দিয়ে পেটটিকে মেরুদণ্ডের দিকে টেনে বেঁধে রাখা আছে এরূপ অনুভূতি।
এই লক্ষণ দ্বারা পরিচালিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন রোগে এটি সফলভাবে প্রযুক্ত হয়। তাছাড়া এই লক্ষণে পেটের বাস্তবিক আকুঞ্চন বা টেনে ধরা বা আকুঞ্চনের অনুভূতি উভয়ই বর্তমান থাকে। পেটের অত্যন্ত বেদনা শরীরের সকল স্থানেই ছড়িয়ে পড়ে (ডায়াস্কোরিয়া)। এই লক্ষণটি অধিকাংশ স্থলেই শূল বেদনা বা কলিকে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু অতিঃবুজ প্রভৃতি জরায়ু সংক্রান্ত, রোগে, এমনকি কোষ্ঠবদ্ধতাতেও উহা থাকতে পারে। ডাঃ গ্যারেন্সি জণ্ডিস রোগে এই ঔষধের অতিশয় উপকারিতা স্বীকার করেছেন। চক্ষু, ত্বক, মল ও মূত্রের অতিশয় হলদে বর্ণ এর প্রয়োগ লক্ষণ। আমি সাফল্যের সঙ্গে একে ব্যবহার করেছি। পক্ষাঘাত উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে। আর এই ক্ষমতা থাকার জন্যই এতে সীসকশূল বা লেড কলিক (lead colic) উৎপন্ন হয়। সীসকশূল অত্যন্ত যন্ত্রণাপ্রদ ও বিপজ্জনক রোগ।
রোগী বিবরণী – আমি একটি ডিপথিরিয়ার পরবর্তী পক্ষাঘাতের রোগীকে এই ঔষধ দ্বারা আরোগ্য করেছিলাম। রোগটি ছিল অত্যন্ত কঠিন আকারের এবং রোগী একজন মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি। তার নিম্নাঙ্গগুলি সম্পূর্ণভাবে ক্ষাঘাতিত হয়ে পড়েছিল এবং ঐসঙ্গে আরও একটি লক্ষণ ছিল, যা আমি এইরকম ক্ষেত্রে পূর্বে বা পরে কোনদিন দেখিনি – তা হল অত্যন্ত স্পর্শকাতরু (hyperaesthesia) তার শরীরে কোথাও স্পর্শ করলে সে সহ্য করতে পারত না। কারণ তাতে তার কষ্ট হত।
আমি অ্যালেনের এনসাইক্লোপিডিয়ায় এই অতিরিক্ত স্পর্শানুভূতি নিখুঁত ভাবে বর্ণিত দেখে এবং ঐ লক্ষণ ও পক্ষাঘাত এক সঙ্গে নিয়ে আমার মনে হয় যে প্লাম্বাম ব্যবহর করা উচিত। তাই আমি তাকে ফিঙ্কের ৪০ এম শক্তির একমাত্ৰা প্লাম্বাম মেট দিই, ফলে তার দ্রুত ও ক্রমিকভাবে উন্নতি হতে থাকে এক সে সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়। এক্ষেত্রে কেবল সে একটি মাত্র ঔষধ খেয়েছি, দ্বিতীয় মাত্রার প্রয়োজন হয়নি।
* রোগী বিবরণী-
ডাঃ টি, এল ব্রাউনেৰ শ্বশুর, বয়স ৭০এর বেশী, তিনি পেটের উৎকট এক বেদনায় ভুগছিলেন। অবশেষে তাঁর ইলিও-সিক্যাল প্রদেশে একটি বড় শক্ত ফুলা প্রকাশ পায়। উহা সামান্য নড়াচড়ায় ও স্পশে অত্যন্ত সংচৈত্য ছিল অর্থাৎ স্পর্শ করলে বা অল্প নড়াচড়া করলেই তার অত্যন্ত কষ্ট হত। ক্রমে ক্রমে উগ্র ঈষৎ নীল হইতে থাকে ও তার বেশী বয়স ও অতিশয় দুর্বলতার জন্য তিনি নিশ্চিত মারা যাবেন বলে মনে করতেন। কিন্তু তার কন্যা ডাঃ ’র’ প্যাথলজিতে থেরাপিউটিক হিন্টসয়ে টিফ্লাইটিস অর্থাৎ অ্যাপেনডিক্সসের প্রদাহে প্লাম্বামের লক্ষণের সঙ্গে তাঁর পিতার রোগের সাদৃশ্য দেখে তিনি ২০০ শক্তির প্লাম্বাম ব্যবহার করেছিলেন এবং তাতে তার বাবার বেদনার দ্রুত শান্তি হয় ও রোগ দ্রুত আরোগ্য হয়ে যায়।
* প্লাম্বামের অতি দ্রুত ও শীর্ণতা প্রাপ্তি, অত্যধিক সর্বাঙ্গীন পক্ষাঘাত, মনিবন্ধের পূতন ও মাঢ়ীর প্রান্ত বরাবর সুস্পষ্ট নীলবর্ণের রেখা – এইগুলি পরিচালক লক্ষণ।