সমস্ত শরীরে ব্যথা, বিশেষত সন্ধি স্থানে ব্যথা ও অসাড়তা, যেন উঁচু যায়গা থেকে পড়ে গেছে বা কেহ লাঠি দিয়ে মারছে। |
শরীরের যে স্থানে চেপে শুয় সে স্থানে অত্যন্ত ব্যথা, যেন সেখানে চোট লেগেছে। |
বিশেষত হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালি মচকে যাওয়ার মত ব্যথা। |
বুকে সজোরে আঘাত লাগার ফলে যক্ষ্মা। |
চোখের অতিরিক্ত ব্যবহার বা কোন জিনিস একদৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে চোখের ভিতর ব্যথা লাগে বা ঝাপসা দেখে। |
বই পড়ার সময় চোখের মধ্যে গরম, জ্বালা ও ব্যথা অনুভূতি হয়। |
হাতের কব্জি সহ যে কোন স্থানে গ্যাংগলিয়ন টিউমার। |
(দক্ষিণ ইউরোপের গুল্মজাতীয় গাছড়া-বাগানে চাষ হয়। তাজা পাতার রস গায়ে লাগলে চর্মে প্রদাহ হয়। ফুল ফোটার ঠিক আগে তাজা গুল্ম সংগ্রহ করে ওষুধ তৈরি হয়)
উপযোগিতা – স্ক্রোফুলদোষ থেকে অস্থিবৃদ্ধি হাড়ে বা অস্থিবেষ্টনীতে যান্ত্রিক আঘাত লেগে বা থেৎলে গিয়ে ব্যথা যন্ত্রণায়, মচকে গিয়ে প্রদাহ বা অস্থিবেষ্টনীর প্রদাহ (Periostitis), ইরিসিপেলাস বা অস্থিচ্যুতি হলে উপযোগী (সিম্ফাই)।
পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে যেমন ব্যথা হয় তেমনি সারাদেহে থেলানো ব্যথা, হাত পা ও সন্ধিগুলোতে ব্যথা বেশী হয়। (আর্নিকা)।
যেদিকে চেপে শোয় সেদিকে ব্যথা মনে হয় থেৎলে গেছে (ব্যাপটি, পাইরো)।
অস্থির শুয়ে থাকলে অবিরত এপাশ ওপাশ করতে থাকে (রাস-ট); হাতের কজি, পায়ের গোড়ালীতে খঞ্জভাব যেন মচকে গেছে (বহুদিনের পুরান ঐ রকম থঞ্জতায় = (বোভিষ্টা, স্ট্রনসি-কা)।
বুকে যান্ত্রিক আঘাত লেগে ক্ষয়রোগ হলে (মিলিফো) ব্যবহার্য।
চোখের মধ্যে বা চোখের উপরদিকে টাটানি ব্যথা, দৃষ্টি-ঝাপসা হয়ে যায় যেন চোখের অত্যধিক পরিশ্রম হয়েছে। ঘড়ি সারান, খোদাই কাৰ্য্য করা এমনতর চোখের সূক্ষ্ম কাজ করে চোখের অসুখ (নেট-মি), একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে চোখৈর রোগ (সিনিসিও) হলে উপযোগী। চোখের অত্যধিক পরিশ্রমে, আলোর প্রতিফলন হয়ে বা অল্প আলোয় দৃষ্টিশক্তির বেশী ব্যবহারে, সূক্ষ্ম সুচিকার্য করে বেশী রাত অবধি পড়াশোনা করে চোখে কম দেখে বা চোখ ব্যথা করে ঐ সাথে ঝাপসা দৃষ্টি, আবছা দেখে, দূরের কিছু দেখতে পায় না—এসব লক্ষণে উপযোগী।
চোখ জ্বালা, চোখে ব্যথা, চোখ যেন টেনে আসে আগুনের মত গরম ভাবনীচের পাতা নাচতে থাকে, এসব লক্ষণে উপযোগী।
কোষ্ঠবদ্ধতা — যান্ত্রিক আঘাতে রেকটাম নিষ্ক্রিয় বা মল অত্যধিক জমা হয়ে (আর্নি) কোষ্ঠকাঠিন্য হলে উপযোগী।
মলত্যাগের জন্য কোঁথ দিলেই রেকটাম বাইরে বেরিয়ে আসে, সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকলেই বা প্রসবের পর ঐ রকম রেকটাম বার হওয়া লক্ষণে উপযোগী। বারে বারে নিস্ফল মলবেগ।
মূত্রথলীতে চাপবোধ যেন মূত্রথলী সবসময় ভর্তি হয়ে আছে। প্রস্রাব করলেও এই মত মনে হতে থাকে। বেগ আসলে চেপে রাখা কষ্টকর, বেগ এলে যদি প্রস্রাব না করে তবে পরে প্রস্রাব ত্যাগে কষ্টবোধ হয়। অল্প পরিমাণে সবজে-প্রস্রাব বার হয়, প্রস্রাব অসাড়ে হয় এসব লক্ষণে উপযোগী।
আঁচিল— টাটানি ব্যথাযুক্ত, হাতের তালুতে চ্যাপ্টা, মসৃণ আঁচিল হলে ব্যবহার্য । (নেট-কা, নেট-মি) (হাতের পৃষ্ঠে আঁচিল = ডালকামারা)।
পিঠের ব্যথা—চিৎ হয়ে শুলে উপশম।
সম্বন্ধ—তুলনীয় = আর্নি, আর্জে নাই, কোনি, ইউফ্রে, ফাইটো, রাস-ট, সিমফাইটাম, সন্ধিস্থানের আঘাতজনিত উপসর্গে আর্নিকার পর ও হাড়ে আঘাত লেগে রোগ হলে সিমফাই-এর পরে এ ঔষধে আরোগ্যকার্য দ্রুততর করে।
শক্তি — প্রথম হতে ষষ্ঠ শক্তি। চক্ষুরোগে স্থানিকভাবে (চোখে) টিংচার প্রযোজ্য হতে পারে—বোরিক।
রিউমাটয়েড অথ্রিাইটিস
অস্থি আবরক এবং উপাস্থি, চক্ষু তথা জরায়ুর উপর ইহার বিশেষ ক্রিয়া রহিয়াছে। বিশেষতঃ সঙ্কোচনী পেশীবন্ধনীটান পড়িলে বা মোচড়াইয়া গেলে উপসর্গের সৃষ্টি। অস্থি আবরক, পেশীবন্ধনী এবং সন্ধিস্থলের চারিদিকে, বিশেষতঃকজিতেশক্তি সঞ্চিত পদার্থের সৃষ্টি হয়। চক্ষুর পেশীসমূহের অত্যধিকমাত্রায় ব্যবহারের ফলে উপসর্গ। সমগ্র শরীর বেদনাদায়ক, মনে হয় যেন থেঁৎলাইয়া গিয়াছে। মচকাইয়া গেলে আর্নিকার পরে ব্যবহার করিতে হয়। মচকাইয়া যাইবার পরে খোঁড়াইতে থাকিলে পান্ডুরোগ। তীব্র ক্লান্তি দুর্বলতা এবং নৈরাশ্যের অনুভূতি। অস্থি আঘাত প্রাপ্ত হইবার পরে তাহাতে থেলাইয়া যাইবার ন্যায় বেদনা।
মাথা — যেন একটি পেরেক ফুটিয়াছে এইরূপ অনুভূতি;অত্যধিকমাত্রায় মাদক পানীয় দ্রব্য ব্যবহারের পরে। অস্থি আবরকে টাটানি ব্যথা। নাসিকা হইতে রক্তস্রাব।
চোখ – চক্ষু ক্লান্ত হইবার পরে শিরঃপীড়া। সেলাই করিবার অথবা ক্ষুদ্র ছাপা অক্ষরসমূহ পাঠ করিবার পরে চক্ষু লালতপ্ত ও বেদনাদায়ক হইয়া উঠে। (নেট্রাম মিউর; আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম) দৃষ্টিসন্নিবদ্ধ করণার্থে অক্ষিপেশী সকলের যোজন কৌশলের বিপর্যয়। পাঠ করিবার সময় ক্লান্তিকর বেদনা। অক্ষিকোটরের গভীরদেশে বেদনা। অক্ষিপত্রের উপস্থিতে থেঁৎলাইয়া যাইবার ন্যায় ব্যথা। ভ্রু উপর চাপবোধ। ক্ষীণ বা বেদনাদায়ক দৃষ্টি।
পাকস্থলী – উদরশূল, ইহাতে কনকনানি ব্যথা এবং দংশনবৎ যন্ত্রনা থাকে।
প্রস্রাবন্ত্র – প্রস্রাবের পরে মূত্রাশয়ের গ্রীবাদেশে চাপবোধ;প্রস্রাবের শেষভাগ বেদনাদায়ক। (এপিস) নিরন্তর মূত্রবেগ লাগিয়া থাকে, মূত্রাশয় পরিপূর্ণ রহিয়াছে এইরূপ অনুভূতি।
সরলান্ত্র – মলত্যাগ কষ্টসাধ্য, খুব জোরে কোঁথ দিলে মল নির্গত হয়। কোষ্ঠবদ্ধতা এবং আমময়, ফেনাযুক্ত মল পর্যায়ক্রমে সংঘটিত হয়;মলের সঙ্গে রক্তনির্গমন। উপবেশনকালে, সরলান্ত্রে সূচীভেদবৎ যন্ত্রণা, যেন স্থানটি বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।অন্ত্রের নিম্নভাগেক্যান্সার। প্রসবান্তে, বাহ্যের পরে প্রত্যেকবার মলদ্বারের নির্গমন। বার বার নিষ্ফল মলবেগ। অবনত হইবার সময় সরলা বাহির হইয়া পড়ে।
শ্বাসযন্ত্র – কাশি, তৎসহ প্রচুর, হলদে ও পুরু শ্লেষ্মনির্গমন;বক্ষঃস্থল দুর্বল বলিয়া মনে হয়। বুকের অস্থির উপর একটি বেদনাপূর্ণ ক্ষুদ্র স্থান;ক্ষীণ শ্বাস তৎসহ বক্ষঃস্থলে কষাভাব।
পিঠ – গ্রীবার পশ্চাৎভাগ, পৃষ্ঠও কোমরে বেদনা। পৃষ্ঠবেদনা, প্রচাপনে এবং চিৎ হইয়া শয়নকালে উপশম। প্রাতঃকালে শয্যাত্যাগ করিবার পূর্বে কটিবেদনা।
প্রত্যঙ্গাদি – মেরুদন্ড এবং প্রত্যঙ্গাদিতে থেঁৎলাইয়া যাইবার ন্যায় বেদনা।কটিদেশে বেদনা। উরু এবং উরুসন্ধি এতই দুর্বল যে চেয়ার হইতে উঠিবার সময় পাগুলি অবসন্ন হইয়া পড়ে। (ফসফরাস; কোনিয়াম) অঙ্গুলিগুলি সংকুচিত। কজি এবং হস্তগুলিতে বেদনা ও আড়ষ্টতা। লসীকাবাহী গ্রন্থির স্ফীতি। (বেঞ্জোয়িকএসিড) সায়েটিকা;রাত্রে শয়নকালে বৃদ্ধি;পৃষ্ঠদেশ হইতে উরুসন্ধি এবং উরুরউপর দিয়া নিম্নগামী বেদনা।জঙ্গার শিরা খবর্তাপ্রাপ্ত হইয়াছে এইরূপ অনুভূতি। (গ্র্যাফাইটিস)। পেশীবন্ধনীগুলিতে টাটানিব্যথা। গুলফদেশীয় সুদৃঢ় করায় কনে বেদনা হয়। প্রত্যঙ্গাদি প্রসারিত করিলে উরুদেশে বেদনাহয়। চরণ এবং গুলফদেশীয় অস্থিগুলিতে বেদনা। অতীব অস্থিরতা।
অবস্থান্তর সংঘটক – শয়নে, ঠান্ডায়, আর্দ্র জলবায়ুতে, বৃদ্ধি।
সম্বন্ধ তুলনীয়ঃ র্যাটেনহিয়া;কার্টুয়াস। জ্যাবোর্যান্ডি;ফাইটোল্যাক্কা; রাসটক্সসাইলিসিয়া; আর্ণিকা।
ক্রিয়ানাশক- ক্যাম্ফর।
অনুপূরক : ক্যাল্কেরিয়া ফস।
শক্তি -১ম হইতে ৬ষ্ঠ শক্তি। লসীকাবাহী গ্রন্থির স্ফীতিতে ইহার অরিষ্টের বাহ্যিক প্রয়োগ। চক্ষুর পীড়ায় ইহার দ্রবণ প্রয়োগ করা চলে।
রুটা প্রায়ই উপেক্ষিত হয় এরূপ আর একটি ঔষধ। সময়ে সময়ে ইহাকে উপেক্ষা করিয়া, তৎপরিবর্তে “রাস’ অথবা ‘আর্জেন্ট নাইট্রিকাম’ অথবা রোগটির সহিত সম্পূর্ণভাবে সম্বন্ধবিশিষ্ট নহে এরূপ অপর কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় কারণ রুটা ভালভাবে পরিচিত ঔষধ নহে। রেপার্টারীতে প্রদত্ত ইহার প্রকৃতি সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। ইহা এরূপ এক শ্রেণীর রোগে উপযোগী যাহা রাস’-সদৃশ, উহাতে রোগী ঠান্ডায় অত্যনুভূতিবিশিষ্ট থাকে, ঠান্ডা ভিজা আবহাওয়ায় বৃদ্ধিযুক্ত হয়, ঠান্ডা লাগায় বৃদ্ধিযুক্ত হয় এবং রোগটি কোন অঙ্গের অতিপরিশ্রম হইতে আসে, কোন অঙ্গের অতিব্যবহার অথবা অতিশ্রম, কিন্তু ইহার রোগ প্রধানতঃ যে সকল। অঙ্গ পেশীবন্ধযুক্ত, যে সকল অঙ্গ পেশীতবিশিষ্ট, যে সকল অঙ্গ শ্বেততন্তু দ্বারা গঠিত, যে সকল অঙ্গ বিশেষভাবে সঙ্কোচক পেশীবন্ধনী দ্বারা গঠিত, তাহাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। সঙ্কোচক পেশীবন্ধনীগুলি অতিসঞ্চালন জন্য অতিশ্রান্ত হইয়া পড়ে। রাসে’ কতকটা ঐরূপ আছে, কিন্তু রুটায় যেরূপ দেখা যায় তাহার তুলনায় উহা কিছুই নহে। রুটা অনেকটা সময় অস্ত্রোপচারযোগ্য অবস্থায় উপযোগী হয়, যথা—আঘাত হইতে অস্থিবেষ্টসংক্রান্ত রোগ। যে সকল স্থানে হাড়ের উপর মাংস পাতলা, সেই সকল স্থানের অস্থিবেষ্ট রোগ, দীর্ঘাস্থির উপরের রোগ। থেঁৎলাইয়া যাওয়ায় যন্ত্রণা শীঘ্রই চলিয়া যায় এবং একটি স্থান কঠিনতাপ্রাপ্ত হইয়া থাকে; অস্থিবেষ্ট পুরু হইয়া । উঠে, গাঁটগাট, ডেলার মত অবস্থা হয়, উহা ক্ষততাযুক্ত থাকে, ধীরে ধীরে জীর্ণসংস্কার হয়। অস্থিবেষ্টের উপর একটি ডেলার মত স্থান, উহা বহু মাস বা বহু বৎসর যাবৎ থাকিয়া গিয়াছে, উহা স্পর্শকাতর, ক্ষততাযুক্ত এবং গুটিকার মত—উহার উৎপত্তির কারণ,—কোন লাঠি বা হাতুড়ির আঘাত পাওয়া অথবা দীর্ঘাস্থিতে চোট লাগ্রা। কৃষকদিগের, কাঠুরিয়াদিগের, যন্ত্রাদি প্রস্তুতকারকদিগের, হাতুড়ি বা লোহার যন্ত্রাদি ধরার ফলে, যে সকল লোহার যন্ত্রের সম্মুখদিক বাহিরদিকে প্রসারিত থাকে তাহা হাতে করিয়া চাপিয়া ধরার ফলে, যথা গাইতি হাতে করিয়া ধরার ফলে, হাতের তালুতে শক্ত-শক্ত ডেলার সৃষ্টি হয়, পেশীবন্ধের তন্তুসমূহ জড়াইয়া কঠিনতাপ্রাপ্ত হয়, কঠিনতাপ্রাপ্ত স্নেহকোষের সৃষ্টি হয়। অস্থিবেষ্টের ভিতর, অস্থি-র ভিতর, পেশীবন্ধের ভিতর, সন্ধিগুলির চারিদিকে ন্যস্ত পদার্থসঞ্চয়ের প্রবণতা জন্মে। হাতের কজিই এরূপ ন্যস্ত পদার্থ সঞ্চয়ের বিশিষ্ট স্থান হয়, ঐস্থানে কঠিনতাপ্রাপ্ত স্নেহকোষ ও গুটিকা জন্মে। পেশীবন্ধগুলির অতিশ্রম হইতে, ঐরূপ স্থানেই পেশীবন্ধের উপর ডেলার, গুটিকার, স্ফীত পেশীগুচ্ছের, পেশীর উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্বুদের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। ঐগুলি ক্রমে ক্রমে বর্ধিত হইয়া সঙ্কোচক পেশীগুলিকে আকুঞ্চিত করিয়া ফেলে, ফলে হাত দুইটি স্থায়ীভাবে বাঁকিয়া যায়; পায়ের পাতা দুইটিও আকুঞ্চিত হয়, ফলে পায়ের তলা ক্রমশঃ বক্র হইয়া যায় এবং পায়ের আঙ্গুলগুলি সঙ্কোচক পেশীগুলির অতিশ্রম এবং চাড় পাওয়ার জন্য নীচের দিকে আকৃষ্ট হইয়া পড়ে।
চক্ষুর পেশীগুলির অতিশ্রম। এই পেশীগুলি খুব বেশীভাবে পেশীবন্ধবিশিষ্ট। পেশীগুলির অবিরত ব্যবহারে অতিশ্রম হয়। চক্ষুর অতিচালনার পর শিরঃপীড়া দেখা দেয় এবং উহার ফল চক্ষুগোলক ও চক্ষুর আবরণের উপর গিয়া পড়ে, সেই জন্য অতিশ্রান্ত চক্ষু লাল হইয়া উঠে। দৃষ্টিশক্তির ব্যবহার করিতে গেলে, চক্ষুর ভিতরে ও উপরে যন্ত্রণা হয়, দৃষ্টি শক্তির চালন হইতে বৃদ্ধিলক্ষণ উপস্থিত হয়। ছোট অক্ষরের ছাপা পড়িলে, সূক্ষ্ম সূচীকাৰ্য্য করিলে বৃদ্ধি হয়। দৃষ্টিশক্তির অতিচালনায় আরক্ততা, যন্ত্রণা এবং দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করিতে অক্ষমতা উপস্থিত হয়। তারপর শিরঃপীড়া দেখা দেয়। এস্থলে আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম’ রুটা-সদৃশ। আর্জ নাই’ এবং ‘নেট্রাম মিউর’ এই দুইটি ঔষধই খুব সচরাচর ব্যবহৃত কিন্তু চক্ষুর অতিচালনাজনিত শিরঃপীড়ায় ‘অনোসমোডিয়াম’ অধিকসংখ্যক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু উহাদের পার্থক্য সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। রুটা ঠান্ডায় বৃদ্ধিযুক্ত হয় এবং সব কিছুই গরম চায়। আর্জ নাই’ উত্তাপে বৃদ্ধিযুক্ত হয় এবং ঠান্ডা স্থানে থাকিতে চায়। রোগীর কথাও নিশ্চয়ই বিবেচনা করিতে হইবে।
রুটা সর্বাঙ্গীণ অবসন্নতা আছে। চেয়ার হইতে উঠিলে পা দুইটি অবসন্ন হইয়া যায়, রোগী টলমল করিতে থাকে, আসন হইতে উঠিতে তাহাকে কয়েকবার চেষ্টা করিতে হয়। বাধা নিয়মে চিকিৎসাকারীরা এই অবস্থায় ফসফরাস’ এবং ‘কোনিয়াম’ দিয়া থাকেন। রুটা এবং ফসফরাস দুয়েতেই বরফের ন্যায় ঠান্ডাজলের ভীষণ, অনিবাৰ্য তৃষ্ণা আছে। নিতম্ব ও উরুদ্বয়ের মধ্যে দুর্বলতাবোধের জন্য ফস’ ও ‘কোনিয়ারের মধ্যে তুলনা কর।
এই ঔষধটি মানসিক লক্ষণগুলি প্রকাশিত হইবার মত যথেষ্ট পরীক্ষিত হয় নাই। মানসিক লক্ষণগুলি সাধারণ এবং উহাদিগকে অন্যান্য ঔষধের মধ্যেও দেখা যায়। প্রতিবাদ করার ও ঝগড়া করার দিকে ঝোঁক।” “নিজের উপর এবং অপরের উপর অসন্তুষ্ট।” “উৎকণ্ঠিত, এবং বিমর্ষ, তৎসহ মানসিক অবসন্নতা।” এই লক্ষণগুলি সাধারণ লক্ষণমাত্র এবং দুইটি শ্রেণীর মধ্যে একটিতে বিভক্ত করা যাইতে পারে। রোগী উত্তেজনাপ্রবণ বা বিপরীত ভাব সৎপ্রকৃতিবিশিষ্ট হইতে পারে। এই ঔষধটিকে উত্তেজনাপ্রবণ শ্রেণীর অন্তর্গত করা হইয়াছে। “নিরাশ” অর্থাৎ সুখীর বিপরীত—দুই শ্রেণীর মধ্যে আর একটি। “সন্ধ্যার দিকে বিষাদভাব।” এইসবের মধ্যে একটিমাত্র ব্যাপারই লক্ষণীয়—অর্থাৎ রোগী সন্ধ্যার দিকে বৃদ্ধিযুক্ত হয়। যখন লক্ষণগুলি এইভাবে দুই শ্রেণীর একটির অন্তর্ভুক্ত হয় তখন তাহার মূল্য খুব সামান্যই থাকে।
অনেকগুলি উপসর্গ, বিশেষতঃ স্নায়ুগুলিতে তীব্র, হুল ফুটান, ছিন্নকর যন্ত্রণা, শয়ন করিলে বৃদ্ধিযুক্ত হয়। রুটা একটি যন্ত্রণাপূর্ণ ঔষধ, কিন্তু উহার লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয়, সুতরাং ইহার যন্ত্রণাগুলি পুরাতন প্রকৃতির হইয়া থাকে। পুরাতন স্নায়ুশূল, হুলফোটার ন্যায়, ছিন্নকর, জ্বালাকর যন্ত্রণা—বিশেষভাবে নিম্নাঙ্গগুলিতে, চক্ষুর চারিদিকে এবং মুখের যন্ত্রণা। ইহাতে বিশেষণগুলি দ্বারা যতরকম বেদনা প্রকাশ করা সম্ভব, তাহার সবগুলিই আছে, কিন্তু ইহার রোগীর শয়নে বৃদ্ধি, এবং ঠান্ডায় বৃদ্ধি থাকে। সায়েটিক স্নায়ুগুলিতে বিদীর্ণকর, ছিন্নকর যন্ত্রণা। অতি ভীষণ প্রকৃতির সায়েটিকা, যন্ত্রণা পৃষ্ঠে আরম্ভ হয়, নিতম্ব ও উরুদেশের উপর দিয়া বিস্তৃত হয়, ছিন্নকর যন্ত্রণা, রোগী দিনের বেলায় ভাল থাকে (কিন্তু রাত্রিকালে শয়ন করিলেই যন্ত্রণা বাড়িয়া উঠে। ন্যাফেলিয়াম’ সায়েটিকার একটি বড় ঔষধ এবং উহার বৃদ্ধিও শয়ন করিলে।
“চক্ষু দুইটি আগুনের গোলার ন্যায় উত্তপ্ত বোধ হয়।” বিশুদ্ধ প্রদাহে চক্ষু উত্তপ্তবোধ হইলে, রুটার ব্যবহার বিফল হইবে। ইউফ্রেশিয়া’, ‘বেলেডোনা এবং একোনাইট’ ঠান্ডা লাগিয়া সামান্য প্রদাহ হইলে উপযোগী, প্রদাহ পুরাতন হইলে এন্টিসোরিক ঔষধগুলির প্রয়োজন হয়। কিন্তু হয়ত কোন স্ত্রীলোক সূক্ষ্ম সূচীকাৰ্য্যে করিয়া চক্ষু দুইটি অতিশ্রান্ত করিয়া ফেলিলেন, চক্ষুগোলক দুইটি আগুনের ন্যায় উত্তপ্ত বোধ হইতে লাগিল, তাহার রুটা আবশ্যক হইবে। যদি ঠান্ডা বাতাসে উন্মুক্ত থাকার পর, চক্ষুদ্বয় অশ্রুস্রাবের সহিত প্রদাহিত হইয়া কাঁচা গোমাংসের ন্যায় দেখায় তাহা হইলে একোনাইট’ প্রয়োজন হয়।
“চক্ষুদ্বয় জ্বালা করে, টনটন করে, অতি শ্রান্তবোধ হয়, সামান্যভাবে অস্পষ্ট দৃষ্টিবিশিষ্ট হয়; সন্ধ্যাকালে চক্ষু ব্যবহার করিলে লক্ষণগুলি বৃদ্ধিযুক্ত হয়।” ইহা সর্বাঙ্গীণ সন্ধ্যাকালীন বৃদ্ধির একটি অংশ। কোন কিছু নকল করিবার সময়ে পান্ডুলিপিটি নিকটে এবং অনুলিপি দূরে রাখিতে হয়; এজন্য উহাতে অবিরত দৃষ্টির পরিবর্তন প্রয়োজন হয় এবং এইরূপ কাৰ্য্য যদি মৃদু আলোকে করা হয় তাহা হইলে শিরঃপীড়া উপস্থিত হয়;–এরূপ শিরঃপীড়া রুটা আরোগ্য করিবে। এইরূপে চক্ষুর অতিব্যবহারের পর, রোগী যদি ঠান্ডা বাতাসে গাড়ী-ঘোড়ায় চড়ে, তাহা হইলে পক্ষাঘাতিক দুর্বলতা উপস্থিত হইবে, এরূপ অবস্থা রুটা প্রয়োগের আর একটি ক্ষেত্র। ঠান্ডা বাতাস লাগান অথবা ঠান্ডার মধ্যে ঘােড়ায় চড়ার ফলে অশ্রুস্রাব। চক্ষুর কয়েকটি পেশীর পক্ষাঘাত, এমনকি টেরাদৃষ্টি, দৃষ্টিশক্তির সামঞ্জস্যের সর্বপ্রকার ব্যতিক্রম। “চক্ষুর সরলপেশীর অভ্যন্তর ভাগের শক্তিনাশ।” “ক্ষীণদৃষ্টি, চক্ষুর অতিশ্রম অথবা সূক্ষ কাৰ্যে চক্ষুর নিয়োগ হেতু চক্ষের প্রত্যেকটি তন্তুর উত্তেজনাপ্রবণতা, চক্ষুর ভিতরে ও বাহিরে উত্তাপ ও টনটন করা, রাত্রিকালে চক্ষু দুইটি আগুনের গোলার ন্যায় অনুভূত হয়, সে ধোয়ার ন্যায় দেখে, অক্ষরগুলি জড়াইয়া যায়, অশ্রুস্রাব হয় ইত্যাদি।” চক্ষুর অতিশ্রমের জন্য দৃষ্টিনাশ, অথবা আলোক বিবর্তনের গোলযোগ-কৃত্রিম আলোকে লেখাপড়া করায়, সূক্ষ্ম সূচীকাৰ্য্য করায় ঐরূপ অবস্থা; রোগীটি তন্তুবায় হইলে সে একটি সূতা হইতে আর একটি সূতাকে অতিকষ্টে চিনিতে পারে, এবং সে আদৌ পড়িতে পারে না, দৃষ্টি কুয়াসাচ্ছন্ন হয়, দূরবর্তী বস্তুগুলি একেবারেই দেখিতে পায় না।
কোষ্ঠবদ্ধতা একটি বিশেষ লক্ষণ তৎসহ মলত্যাগকালে সরলান্ত্র নির্গমন। “পুনঃ পুনঃ নিষ্ফল মলবেগের সহিত মলদ্বার নির্গমন।” “প্রসবের পরবর্তী সরলান্ত্র নির্গমন।” বসিয়া থাকাকালে সরলান্ত্রে যন্ত্রণা। সরলান্ত্রে যেন ক্ষত জন্মিয়াছে এরূপ যাতনা। ইহা অর্শরোগে এবং সরলান্ত্রের অস্বাভাবিক সঙ্কোচনে একটি উপযোগী ঔষধ।
পৃষ্ঠ লক্ষণ। ইহা নির্ধারিতরূপে একটি বাতের ঔষধ। যে সকল ঔষধ ঠান্ডা সহ্য করিতে পারে না, শীতল আর্দ্র, ঝটিকাময় আবহাওয়ায় বৃদ্ধিযুক্ত হয়, তাহাদিগকেই বাতের ঔষধ বলিয়া বর্ণনা করা হয়। পৃষ্ঠে বাতের লক্ষণ প্রকাশ পায়। “কটিস্থানের কশেরুকার থেলাইয়া যাওয়ার ন্যায় যন্ত্রণা” “পৃষ্ঠে অথবা পিকচক্ষু অস্থিতে পড়িয়া যাওয়ার ন্যায়, আঘাত পাওয়ার ন্যায় অথবা ঘেঁৎলাইয়া যাওয়ার ন্যায় যন্ত্রণা।” “হাঁটুর পশ্চাদ্দিকে বৃহৎ পেশীবন্ধদ্বয় হ্রস্বতাপ্রাপ্ত ও দুর্বল মনে হয়, সিঁড়ি দিয়া উঠিতে বা নামিতে হাঁটু দুইটি এলাইয়া পড়ে।” “মচকাইয়া যাওয়া অথরা অস্থির স্থানচ্যুতির জন্য পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা ও খঞ্জতা।” “মচকাইয়া যাওয়ার পর খঞ্জতা, বিশেষতঃ হাতের কজির ও গোড়ালির।” মচকাইয়া যাওয়ার অব্যবহিত পরে, প্রাদাহিক অবস্থায় খুব সম্ভবতঃ তোমার ‘আর্নিকা’র প্রয়োজন হইবে, তারপর আসিবে রাসে’র ক্ষেত্র। কিন্তু যখন আঘাতের পর পেশীবন্ধগুলিতে গুটিকার সৃষ্টি হয় তখন রুটার প্রয়োজন হয়। রুটা মচকাইয়া যাওয়ার পক্ষে একটি বড় ঔষধ, ইহাতে পেশীবন্ধসমূহে সকল প্রকার ক্ষত ও দুর্বলতা আছে। একমাত্র আঘাত পাওয়া ভিন্ন; যখন আর কোন লক্ষণ উপস্থিত থাকে না তখন আর্নিকা’, ‘রাস’ ও ক্যাল্কেরিয়া পর পর বাধা নিয়মে আবশ্যক হয়।
পৃষ্ঠে আঘাত লাগার পর, নিম্নাঙ্গ প্রান্তগুলির পক্ষাঘাতিক দুর্বলতা।
সন্ধ্যাকালীন বৃদ্ধি-লক্ষণের সহিত বিষাদপূর্ণ মনোভাব, চক্ষু জ্বালা, আলোকের চতুর্দিকে সবুজবৰ্ণ মন্ডল দেখা, চক্ষে ঝাপসা দেখা, চক্ষু টনটন করা, দক্ষিণ স্কন্ধাস্থির নিম্নে যন্ত্রণা বর্তমান থাকে। রাসে’র ন্যায় অত্যন্ত অস্থির। এত অস্থির যে সে চুপ করিয়া থাকিতে পারে না, একপ্রকার স্নায়বিক অস্থিরতা।
পড়িয়া যাওয়া বা আঘাত লাগার ন্যায় সর্বাঙ্গে গেঁলাইয়া যাওয়া যন্ত্রণা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ও সন্ধিগুলিতেই অধিক।” অস্থি এবং অস্থিবেষ্ট থেলাইয়া যাওয়া, ঐগুলিতে যান্ত্রিক আঘাত পাওয়া, মচকাইয়া যাওয়া, অস্থিবেষ্টপ্রদাহ, ইরিসিপ্লাস।
রুটা মার্কারি’র সহিত সম্বন্ধযুক্ত এবং উহার-প্রতিবিষ।
চৰ্ম্মের উপর চুলকানিযুক্ত উদ্ভেদ, ‘মেজেরিয়ামে’র ন্যায় চুলকাইলে ঐ চুলকানি স্থান পরিবর্তন করে। ঠান্ডাজলের পিপাসা এবং নিম্নাঙ্গ প্রান্তগুলির দুর্বলতার জন্য ফসফরাসে’র সহিত তুলনা কর । বাতরোগে ‘ফাইটোলেক্কা’র সহিত পার্থক্য নির্ণয় কর। রাস’, ‘সিপিয়া, ‘সাইলিশিয়া ও সালফারে’র সহিত তুলনা করে। রুটা একটি এন্টিসোরিক ঔষধ ‘সাইলিশিয়া ও সালফারের ন্যায় তত গভীরক্রিয় নহে।
অপর নাম -রু (Rue) বা
গার্ডেন-রূ (Garden rue)
ইহা রুটেসী জাতীয় উদ্ভিদ। ঔষধার্থে সমস্ত উদ্ভিদকে ব্যবহার করা হয়।
১। অস্থিবেস্ট বা পেরিঅস্টিয়ামে (Periostium) আঘাত লাগা ও তার ফলে যে রোগ উৎপন্ন হয়, তাতে রুটার প্রধান ক্রিয়া দশে। আর্নিকার মত এতেও শরীরের “থেঁৎলে যাওয়ার মত ও খঞ্জতার ন্যায় বেদনা আছে; বিশেষ করে, পড়ে যাওয়ার পর যেমন বেদনা থাকে, এর বেদনাও সেরকম প্রকৃতির। বেদনা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও সন্ধিগুলিতেই বেশী। তাছাড়া যে দিকে ভর দিয়ে শোয়,তাতে থেঁৎলে গেছে এরূপ বোধ হয়।” ।
২। রাসটাক্সের মত রুটার বোগীও ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করে। রুটাব বেদনা ও খঞ্জতার সঙ্গে মণিবন্ধের বিশেষ সম্বন্ধ আছে। এস্থলে ইউপেটোরিয়াম রুটাব সমগুণ সম্পন্ন। রুটার মণিবন্ধের বেদনা রাসটাক্সের ন্যায় ঠাণ্ডায় ও আর্দ্রকালে বাড়ে এবং নড়াচড়ায় উপশমিত হয়।
২। রুটার ন্যায় আর কোন ঔষধেই নিবিষ্টচিত্তে পড়া, সেলাই করা প্রভৃতি চোখের অতি চেষ্টাবশতঃ যে রোগ জন্মে, তাতে ভাল কাজ দেয় না। চক্ষুর অবসাদ ও বেদনা অথবা আগুনের গলার মত জ্বালা, রুটাব লক্ষণ। চোখের অতিচেষ্টাজনিত রোগে নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম ও সেনেগাও ব্যবহার হয়।
* এই তিনটি ঔষধের প্রকৃত ব্যবহার জানলে, চশমার অপব্যবহার জনিত দৃষ্টিক্ষীণতা প্রতিযোজনার অভাব থেকে বহু রোগীকে রক্ষা করা যায়।
৩। রুটা মলদ্বারের স্থানচ্যুতি বা পোলান্স অ্যানাইয়ের (Prolapsus ani) একটি অত্যুৎকৃষ্ট ঔষধ। এই রোগে ইগ্নেসিয়ার সঙ্গে রুটার বিশেষ ঘনিষ্টতা আছে। উভয় ঔষধেই মাথা নোয়ালে, ভার উত্তোলনে বা কিছু উপরের দিকে উঠাতে চেষ্টা করলে ও মলত্যাগকালে উ পচয় জন্মে। মিউরিয়েটিক অ্যাসিড ও পডোফাইলামেও মলদ্বারের স্থানচ্যুতি আছে। মিউরিয়েটিক অ্যাসিডে বহির্গত সরলান্ত্রে (মলদ্বারে) অতিশয় স্পর্শাদ্বেষ থাকে, বিছানার চাদরের স্পর্শ পৰ্য্যন্ত সহ্য হয় না এবং মূত্রত্যাগকালেও সরলা বের হয়ে পড়ে (অ্যালোজ)। পডোফাইলামে মলদ্বারে স্থানচ্যুতির সঙ্গে প্রায়ই এই ঔষধ জাপক উদরাময় বর্তমান থাকে, কিছু তুলতে চেষ্টা করার জন্য চাড় লেগে সাধারণত মলদ্বার বাইরে বের হয়ে পড়ে, কখন কখন এর সঙ্গে জরায়ুও বাইরে বের হয়ে পড়তে পারে। তবে এইসব রোগের রুটাও একট অতি প্রয়োজনীয় ঔষধ।