রোগী লিপি গাইড Case Taking Guide

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগী লিপি বা কেস টেকিং (Case Taking) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হোমিওপ্যাথিতে দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার লক্ষণ প্রুভ হয়েছে এত বিশাল সংখ্যক লক্ষণ থেকে একজন রোগীর উপযুক্ত লক্ষণ খুঁজে বেরকরা কঠিন, এ কঠিন কাজকে সহজ করার জন্য কেস টেকিং কৌশল। মনে রাখতে হবে সঠিক ভাবে কেসটেকিং করতে না পাড়লে সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়।

কেস টেকিং সংক্রান্ত বিষয়ে হোমিওপ্যাথির জনক ডাঃ সামুয়েল হ্যানিম্যান অর্গ্যানন গ্রন্থের ৮৩ থেকে ১০৪ নং এফোরিজম সমূহে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছেন। নিম্নে বিষয়বস্তু সমূহ তুলে ধরা হয়েছে, বিস্তারিত (৫৫৫) নাম্বার পাতায় দেখুন।

এফোরিজম ৮৩: রোগ চিত্র বা লক্ষণ সমষ্টি নির্ণয় করার জন্য, নিম্নে উল্লেখিত যোগ্যতা ও গুণাবলী অবশ্যই চিকিৎসকের থাকতে হবে।
   ১. পূর্ব হতে ধারণা বা সংস্কার মুক্ত হতে হবে।
   ২. ইন্দ্রিয় শক্তির কর্মপটুতা থাকতে হবে।
   ৩. সম্পূর্ণ মনঃসংযোগ থাকতে হবে।
   ৪. বিশুদ্ধ রোগীলিপি করার দক্ষতা থাকতে হবে।
এফোরিজম ৮৪: রোগী ও তার নিকটজন থেকে রোগীর লক্ষণ সমূহ শ্রবণ করার কৌশল।
এফোরিজম ৮৫: রোগীর লক্ষণ সমূহ লিপিবদ্ধ করার কৌশল।
এফোরিজম ৮৬: রোগীর দেয়া বিবরণ শেষ হলে ডাক্তার অধিকতর অনুসন্ধান করবে।
এফোরিজম ৮৭: চিকিৎসক কি ধরনের প্রশ্ন করবে তার বর্ণনা। “Wasn’t this (এটাকি ছিলনা?) or that circumstance also present? (বা এ সমস্যাটি আছে তাইনা?)” এধরণের প্রশ্ন করা যাবে না।
এফোরিজম ৮৮, ৮৯: অপ্রকাশিত লক্ষণ অনুসন্ধান। পাদটীকা (৮৩, ৮৪) সহ পড়তে হবে।
এফোরিজম ৯০: বর্তমান লক্ষণ সমূহ সুস্থাবস্থায় কেমন থাকে তা জানতে হবে।
এফোরিজম ৯১, ৯২: পূর্ব থেকে ঔষধ সেবনকারীর লক্ষণ অনুসন্ধান করার কৌশল।
এফোরিজম ৯৩, ৯৪: রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ ও পরিপোষক কারণ অনুসন্ধান করে আরোগ্যের পথ সুগম করতে হবে।
এফোরিজম ৯৫: চিররোগের ক্ষেত্রে মৃদুভাবাপন্ন লক্ষণসমূহও গুরুত্বপূর্ণ।
এফোরিজম ৯৬: রোগী তার রোগ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত বর্ণনা করলে চিকিৎসকের কি করনীয়।
এফোরিজম ৯৭: রোগী তার রোগ সম্পর্কে অস্পষ্ট বা স্বল্প পড়িসরে বর্ণনা করলে চিকিৎসকের কি করনীয়।
এফোরিজম ৯৮: রোগীলিপি প্রস্তুতকালে চিকিৎসকের কর্তব্য ও অপরিহার্য গুণ।
এফোরিজম ৯৯: তরুণ রোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত করার কৌশল।
এফোরিজম ১০০, ১০০১, ১০২: মহামারী রোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত ও চিকিৎসা কৌশল।
এফোরিজম ১০৩: চিররোগের জন্য রোগীলিপি প্রস্তুত ও চিকিৎসা কৌশল।
এফোরিজম ১০৪: রোগীলিপি করার প্রয়োজনীয়তা।

[videogallery id=”Case Taking 1″]

নিচে দেয়া প্রতিটি ট্যাব ও মেনু আয়ত্ত করতে পারলেই একজন ভালো কেসটেকার হতে পাড়বেন। ইনশাআল্লাহ্‌ 

সূচনা

Complaints অভিযোগ:

রোগী তাঁর রোগ সংক্রান্ত অভিযোগ করার জন্যই ডাক্তারের নিকট আসেন, অবশ্যই ডাক্তারকে মনোযোগ সহকারে রোগীর কথা শুনতে হবে।

রোগী ডাক্তারের সামনে বসে প্রথমে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে যে সকল রোগ কষ্টের কথা বলে, তাকে প্রধান অভিযোগ বলে। রোগী প্রধান অভিযোগ বলার সময় কোন প্রকার প্রশ্ন করা ঠিক হবেনা, শুধু এতটুকু বলতে পাড়েন যে- আপনি একটু ধীরে ধীরে বলেন যেন আমি লিখে রাখতে পারি। অতঃপর বর্ণনা সমূহ বিষয় ভিত্তিক কোটেশন আকারে ফাঁক ফাঁক করে লিখতে হবে যেন পরবর্তী তথ্য সমূহ কোটেশন ভিত্তিক সংযুক্ত করা যায়।

এরপর রোগী কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলবে ও পূর্বের নিয়মে লিখে রাখতে হবে।

রোগী নিজ থেকে বলা শেষ করলে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী পরিচ্ছেদ ও অধ্যায় সমূহ আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আমাদের দেয়া প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ শুধু ধারণা নেয়ার জন্য, ডাক্তারগণ রোগীর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত প্রশ্ন করবেন, রোগী প্রশ্ন করার পূর্বেই যদি উত্তর দিয়ে দেয় তাহলে পুনরায় প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবেন।

প্রশ্ন করবেন।

অবস্থান

ক) আপনার কষ্ট ঠিক কোন স্থানে ?

নোট: স্থান নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, স্থানের কারণে ঔষধ আলাদা হতে পারে। যেমন হাঁটুতে টিউমার হলে যে ঔষধ হয়, হাঁটুর হলোতে টিউমার হলে সে ঔষধ নাও হতে পারে। তাই ভালো ডাক্তার হতে হলে এনাটমি শিখতেই হবে। আমাদের এনাটমি ফিজিওলজি বিভাগে প্রাথমিক ধারণা পাবেন। এবং রেপার্টরি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক এনাটমিক্যাল লোকেশন, রেপার্টরির ভাষায় শিখতে পাড়বেন।

কারণ

ক) আপনার কষ্টগুলো হওয়ার পেছনে কোন কারণ আছে বলে মনে করেন কি ?

যেমন –  আঘাত লাগা, বৃষ্টিতে ভেজা, অনেক ক্ষণ ঠাণ্ডা বাতাসে থাকা, প্রিয়জনকে হারানো বা না পাওয়ার কষ্ট, অধিক পরিশ্রম করা, ভ্রমণ করা     – ইত্যাদি

ভোগ কাল

ক) কতদিন হল আপনি এ কষ্টে  ভোগছেন ?

এ প্রশ্নের মাধমে রোগের গভীরতা, একুইট ও ক্রনিক অবস্থা নির্নয় করা যাবে। এবং পরবর্তী প্রস্ন তৈরি হবে।

অনুভূতি

ক) আপনার কষ্টের ঠিক কিরূপ অনুভূতি ?

যেমন – কারো ব্যথা > দপ দপ কর, শুই বিঁধানোর মত, কেটে ফেলার মত, ছিরে ফেলার মত, মুঠো করে ধরার মত, সাধারণ ব্যথা   ইত্যাদি

বিস্তৃতি

ক) আপনার কষ্ট একস্থানে শুরু হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে যায় কি ?

যেমন – কারো পায়ের তালুতে ব্যথা শুরু হয়ে হাটু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। গলায় ব্যথা শুরু হয়ে কান পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় ইত্যাদি।

আচরণ

খ) আপনার কষ্টটির আচরণ  কিধরণের ?

যেমন – কারো ব্যথা > হঠাত আসে কিছুক্ষণ থেকে আস্তে আস্তে যায়, ঝিম ঝিম করতে করতে আসে ইত্যাদি

হ্রাস বৃদ্ধি

ক) আপনার কষ্টটি আনুমানিক কয়টার সময় কম হয় বা বৃদ্ধি পায় ?

খ) এমন কোন বিষয় আছে কি, যাতে আপনার কষ্ট কম বা বৃদ্ধি হয় ?

যেমন – বিশেষ কোন খাবার খাওয়া, হাটা-চলা, শুয়ে থাকা, বসে থাকা, বসা থেকে দাঁড়ানো, গোসল করা, কথা বলা, শব্দ শোনা, রোদ লাগা,  ইত্যাদি

আনুষঙ্গিক

ক) কষ্ট ভোগ করার সময়, অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় কি ?

যেমন – ব্যথা ভোগ করার সময় > পিপাসা লাগে, ক্ষুধা লাগে, শীত শীত লাগে, বমি ভাব হয়, রাগ বেড়ে যায়  ইত্যাদি

পূর্বাপর

ক) কষ্ট ভোগ করার পূর্বে / পরে, অন্য কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় কি ?

যেমন – মাথা ব্যথা শুরু হওয়ার পূর্বে অনিদ্রা, জ্বরের পরে পিপাসা ইত্যাদি।

বিকল্প

ক) আপনার একটি কষ্ট কমে গিয়ে অন্য একটি কষ্ট দেখা দেয় এমন কোন ব্যাপার আছে কি ?

যেমন – অর্শ ভালো হওয়ার পরে বোক ধড়ফড়ানি, আবার বোক ধড়ফড়ানি ভালো হওয়ার পরে অর্শ। শ্বাস কষ্ট ভালো হওয়ার পরে বাতের ব্যথা, আবার বাতের ব্যথা ভালো হওয়ার পরে শ্বাস কষ্ট ইত্যাদি।

ভূমিকা

ক) রোগের মায়াজম, গভীরতা, কুপ্রভাব জানার জন্য এ অধ্যায়টি সাহায্য করবে।

খ) রোগজ বা ঔষধজ বৃদ্ধি নির্ণয় করতে এ অধ্যায়টি সাহায্য করবে।

পূর্ববর্তী রোগ

ক। পূর্বে উল্লেখযোগ্য কোন রোগ আপনার হয়েছিল কি ?

যেমন – টাইফয়েড, আমশয়, ক্যান্সার, আলসার, টিউমার, আঁচিল,  গলগণ্ড, পুরাতন সর্দি, হাঁপানি, প্যারালাইসিস, ক্ষতিকর স্বপ্ন দেখা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাঁপা, HBs+, জন্ডিস, গর্ভপাত, বাত ব্যথা, বাত জ্বর, অনিদ্রা, পিত্তে পাথর, কিডনিতে পাথর, পাগলামি, অর্শ, ভগন্দর, দাঁত ও মুখের রোগ, চর্ম রোগ, হার্টের রোগ, পেটের রোগ, মূত্র যন্ত্রের রোগ, নাক কান গলা রোগ, চোখের রোগ, মাথার রোগ, গোপনীয় রোগ, রক্ত সম্পর্কীয় রোগ ইত্যাদি

বংশগত রোগ

ক। আপনার দাদা দাদি নানা নানী বড়মা বড়বাবা, পিতা চাচা ফুপু, মাতা খালা মামা, ভাই বোন স্ত্রী, সন্তান নাতি-নাতনী ইত্যাদি কেউ বড় ধরণের রোগে ভোগছেন বা ভুগেছিলেন বা ইন্তেকাল করেছেন কি ?

যেমন – টাইফয়েড, আমশয়, ক্যান্সার, আলসার, টিউমার, আঁচিল,  গলগণ্ড, পুরাতন সর্দি, হাঁপানি, প্যারালাইসিস, ক্ষতিকর স্বপ্ন দেখা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাঁপা, HBs+, জন্ডিস, গর্ভপাত, বাত ব্যথা, বাত জ্বর, অনিদ্রা, পিত্তে পাথর, কিডনিতে পাথর, পাগলামি, অর্শ, ভগন্দর, দাঁত ও মুখের রোগ, চর্ম রোগ, হার্টের রোগ, পেটের রোগ, মূত্র যন্ত্রের রোগ, নাক কান গলা রোগ, চোখের রোগ, মাথার রোগ, গোপনীয় রোগ, রক্ত সম্পর্কীয় রোগ ইত্যাদি

পূর্ববর্তী চিকিৎসা

ক। আপনি ইতিপূর্বে কোন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন ?

যেমন – এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, হারবাল, সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন   ইত্যাদি

খ। কি কি ওষুধ সেবন করেছেন ? এর মধ্যে কোন – এন্টিবাইটিক, ঘুমের ওষুধ, পারদ জাতীয়, যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধ ইত্যাদি আছে কি ?

গ। উক্ত চিকিৎসার ফলাফল কি হয়েছিল ?

ভূমিকা

মানুষের সাধারণ ক্রিয়া-কলাপ থেকে অস্বাভাবিক বা অসাধারণ কিছু খুঁজে বের করার জন্য এ অধ্যায়টি আয়ত্ত করতেই হবে।

ক্ষুধা

ক) আপনার ক্ষুধা কেমন ?

খ) এমন কোন সময় আছে কি যেসময় প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে ?

গ) ক্ষুধা সহ্য হয় / অসহ্য লাগে ?

ঘ) খাবারের পরিমাণ কিরূপ ? স্বাভাবিক না অল্প খেলেই পেট ভরে যায় ?

ঙ) খাবারের সময়ে বা পরে কোন কষ্ট হয় কি ?

চ) আপনার রুচি কেমন ?

ছ) মুখে তেতো নোনতা এধরনের কোন বিস্বাদ লাগে কি ?

পিপাসা

ক) আপনার পিপাসা কেমন ?

খ) কি পরিমাণ পানি পান করেন ?

গ) কতক্ষণ পর পর পানি পান করেন ?

ঘ) পানি পানের সময় বা পরে কোন কষ্ট আছে কি ?

ঙ) পানিতে বিস্বাদ লাগে কি ?

অভ্যাস

ক) আপনি কি ধরনের খাবারে অভ্যস্ত ?

খ) বিশেষ কোন খাবার আছে কি যাতে আপনি অভ্যস্ত বা আসক্ত ?

গ) খাবার ছাড়াও এমন কোন বিষয় আছে কি যা অভ্যাস বসত করে থাকেন, যা অন্যরা সাধারণত করেনা ?

যেমন – বার বার হাত ধোয়া, হাইতোলা, আড়মোড়া দেওয়া ইত্যাদি

ব্যাকুল ইচ্ছা

ক) বিশেষ কোন খাবার আছে কি যা খেতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করে ?

গ) খাবার ছাড়া এমন কোন বিষয় আছে কি যা করতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করে ?

অনীহা

ক) এমন কোন খাবার আছে কি যাতে অনীহা বা ঘৃণা আসে ?

খ) খাবার ছাড়া এমন কোন বিষয় আছে কি যাতে অনীহা বা ঘৃণা আসে ?

হ্রাস বৃদ্ধি

ক) এমন কোন খাবার আছে কি যাতে আপনার কষ্টের উপশম বা বৃদ্ধি হয় ?

খ) খাবার ছাড়া এমন কোন বিষয় আছে কি যাতে আপনার কষ্টের উপশম বা বৃদ্ধি হয় ?

বায়ু নিঃসরণ

ক) আপনার পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু বাহির হওয়ার প্রবণতা কিরূপ ?

খ) কখন বেশি হয় ? পায়খানা প্রস্রাবের সময় কি পরিমাণ বায়ু বাহির হয় ?

গ) বায়ু নিঃসরণের আগে / সময়ে / পরে আপনার অস্বাভাবিক অনুভূতি হয় কি ?

বমন ও উদ্গার

ক) আপনার কোন উদ্গার, ঢেঁকুর, বমি ভাব বা বমি হয় কি ? কখন বেশি হয় ?

খ) এর গন্ধ ও স্বাদ কিরূপ ?

গ) উদ্গার, ঢেঁকুর, বমি ভাব বা বমি আসার আগে / সময়ে / পরে আপনার কেমন লাগে ?

মল

ক) আপনার পায়খানা কেমন ?

খ) রঙ ও গন্ধ কেমন ?

গ) সঙ্গে আম-রক্ত থাকে ?

ঘ) দিনে কত বার হয় ?

ঙ) সময় কতক্ষণ লাগে ?

চ) পায়খানা পরিষ্কার হয় কি হয় না ?

ছ) পায়খানার বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি ?

যেমন – সকালে ঘুম থেকে উঠেই দৌড়ে পায়খানায় যেতে হয়, খাবার খাওয়ার পরই পায়খানায় যেতে হয়, কোথাও বাহির হওয়ার সময় পায়খানায় যেতে হয় ইত্যাদি

জ) ছোটবেলা থেকে কোষ্ঠবদ্ধ / আমশয় / উদরাময়ের ধাত নাকি নর্মাল ?

ঝ) পায়খানার আগে / সময়ে / পরে কোন কষ্ট বা বিশেষ অনুভূতি হয় কি ?

ঞ) পায়খানার কোঁথ দিলে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ধাতুযায় কি ?

ট) মলদ্বারে কোন সমস্যা আছে কি ?

মূত্র

ক) আপনার প্রস্রাব কেমন ?

খ) প্রস্রাবের ঘনত্ব ও তলানি কেমন ?

গ) রঙ ও গন্ধ কেমন ?

ঘ) প্রস্রাবের সঙ্গে কোন ধাতু / পুঁজ / রক্ত ইত্যাদি ছিল বা আছে কি ?

ঙ) দিনে কতবার প্রস্রাব হয় ?

চ) প্রস্রাবের ধারা ও গতি কেমন ?

ছ) প্রস্রাব পরিষ্কার হয় কি হয় না ?

জ) প্রস্রাবের বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি ?

যেমন – প্রস্রাবের চাপে ঘুম ভাঙ্গে, পানি দেখলে প্রস্রাবের বেগ হয়, ভয় পেলে প্রস্রাবের বেগ হয়, বিছানায় শুইলে প্রস্রাবের বেগ হয় ইত্যাদি

ঝ) ছোটবেলা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস কেমন ছিল ?

ঞ) প্রস্রাবের আগে / সময়ে / পরে কোন কষ্ট বা বিশেষ অনুভূতি হয় কি ?

ট) প্রস্রাব নালী ও থলিতে কোন সমস্যা অনুভূত হয় কি ?

ঘর্ম

ক) আপনার ঘাম কেমন ?

খ) শরীরের কোন স্থানে বেশি ঘাম হয় ?

গ) কোন অবস্থায় বেশি ঘাম হয় ?

যেমন – নিদ্রাবস্থায়, প্রস্রাব পায়খানার সময়, খাবার খাওয়ার সময়, অনাবৃত অঙ্গে, সহবাসের সময় ইত্যাদি

ঘ) ঘামের গন্ধ কেমন ?

ঙ) ঘামের দাগ কেমন ?  ( হলুদ, লাল, সাদা, কালো ইত্যাদি )

চ) ঘামের বিশেষ কোন অনুভূতি আছে কি ?

নিদ্রা

ক) আপনার ঘুম কেমন ?

খ) শুইলে অল্পক্ষণের মধ্যে ঘুম হয় নাকি দেরি হয় ?

গ) কিভাবে শয়ন করার অভ্যাস ?

ঘ) শয়ন করার আগে / সময়ে / নিদ্রান্তে কোন কষ্ট বা অনুভূতি হয় কি ?

যৌনতা

ক) আপনার কোন প্রকার হস্তমৈথুনের অভ্যাস আছে কি ?

খ) স্বপ্নদোষ কেমন হয় ? এক মাসে কতবার হয় ?

গ) স্বপ্নদোষ বা হস্তমৈথুনের পরে শারীরিক ও মানুষিক অবস্থা কিরূপ হয় ?

ঘ) আপনার কামপ্রবৃত্তি কিরূপ ?

ঙ) অবৈধ কাম চরিতার্থের অভ্যাস আছে কি ?

চ) সহবাসে সময় কেমন পান ?

ছ) সহবাসের ইচ্ছা অনিচ্ছা কিরূপ ?

জ) সহবাস অবস্থায় কোন কষ্ট বা অস্বাভাবিক অবস্থা হয় কি ?

ঝ) সহবাসের পর বা পরের দিন আপনার কোন কষ্ট বা অনুভূতি হয় কি ?

আঙ্গিক কার্যক্রম

ক) প্রতিটি অঙ্গের নাম বলে বলে প্রস্ন করতে হবে, আপনার এ অঙ্গে কোন কষ্টকর, শুখকর ও অস্বাভাবিক অনুভূতি আছে কি ?

ভূমিকা

এ অধ্যায়ের মাধ্যমে রোগীর উপর আবহাওয়া, ঋতু, পরিবেষ ও তাপমাত্রার প্রভাব জানা যাবে। এ এবং সঠিক রুব্রিকে সঠিক ঔষধ নির্বাচনে সহায়তা করবে।

আবহাওয়া

ক) এমন কোন আবহাওয়া আছে কি যাতে আপনি অসুস্থ হয়ে পরেন ?

যেমন – মেঘাচ্ছন্ন, কুয়াশাচ্ছন্ন, ঝড়ো ইত্যাদি আবহাওয়ায় অসুস্থতা

ঋতু

ক) এমন কোন ঋতু আছে যাতে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ?

যেমন – শীত, গ্রীষ্ম, বসন্ত ইত্যাদি ঋতুতে অসুস্থতা

বায়ু প্রবাহ

ক) পাখার বাতাস কেমন লাগে, তাতে কোন সমস্যা হয় কি ?

খ) বাহিরের বাতাস কেমন লাগে, তাতে কোন সমস্যা হয় কি ?

গ) এয়ার কন্ডিশনে কোন সমস্যা হয় কি ?

চন্দ্র

ক) চাঁদের আলোতে আপনার বিশেষ কোন অনুভূতি হয় কি?

খ) আমাবস্যা ও পূর্ণিমার সাথে আপনার অসুস্থতার কোন সম্পর্ক আছে কি ?

গ) আমাবস্যা ও পূর্ণিমায় আপনার মনে কোন পরিবর্তন হয় কি ?

সূর্য

ক) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সাথে আপনার অসুস্থতার কোন সম্পর্ক আছে কি ?

খ) সূর্যের আলো ও রোদে আপনার বিশেষ কোন সমস্যা হয় কি ?

গোসল

ক) গোসলের আগে পরে ও সময়ে আপনার কোন সমস্যা বা বিশেষ কোন অনুভূতি হয় কি ?

খ) গোসল করতে অলসতা লাগে বা ইচ্ছা করে গোসল পরিত্যাগ করেন কি ?

গ) ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

ঘ) গরম পানিতে গোসল করার ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

পোষাক পরিচ্ছদ

ক) গায়ে পোশাক / চাদর / কাঁথা দিলে বিশেষ কষ্ট বা অনুভূতি হয় কি ?

খ) শীতের দিনে মাথা ঢেকে ঘুমান কি ?

গ) শীতের দিনে মাথা, হাত, পা ইত্যাদি কম্বল / লেপের বাহিরে রাখতে হয় কি ?

ঘ) গরম কালে শেষ রাতে বা সম্পূর্ণ রাতে কাঁথা গায়ে দিতে হয় কি ?

ঙ) শীত কালে হালকা পোষাকে শীত নিবারণ হয় ? নাকি মোটা পোশাক লাগে ?

ভিজা ও আর্দ্রতা

ক) অনেক ক্ষণ ভিজা বা আদ্র অবস্থায় থাকার ফলে আপনার কোন রোগ হয়েছে কি ?

খ) কোন আর্দ্র স্থান বা শরীরের আদ্র অবস্থায় আপনার কোন কষ্ট বা বিশেষ অনুভূতি হয় কি ?

গ) বৃষ্টি, নদী, সমুদ্র ইত্যাদির পানিতে ভিজলে আপনার কোন রোগ হয় কি ?

বরফ ও আইসক্রিম

ক) বরফে কোন সমস্যা হয় বা হয়েছে কি ?

খ) বরফ ঠাণ্ডা খাবারে ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

গ) আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

ঠাণ্ডা খাবার

ক) ঠাণ্ডা পানিয় পানের ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

খ) ঠাণ্ডা খাবারে ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

উষ্ণ খাবার

ক) উষ্ণ খাবারে ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

খ) গরম খাবারে ইচ্ছা, অনিচ্ছা, অভ্যাস বা ক্ষতিকর কোন বিষয় আছে কি ?

উঁচু স্থান

ক) পাহাড় বা উঁচু বাড়িতে উঠলে আপনার কোন সমস্যা হয় কি ?

খ) পাহাড় বা উঁচু বাড়ি হতে নিচের দিকে তাকালে আপনার কোন সমস্যা হয় কি ?

গ) ক) পাহাড় বা উঁচু বাড়ির উচ্চতার দিকে তাকালে আপনার কোন সমস্যা হয় কি ?

ঘ) পাহাড়ি আবহাওয়ায় আপনার কোন রোগ বা বিশেষ অনুভূতি হয় কি ?

সমুদ্র

ক) সামুদ্রিক আবহাওয়ায় আপনার কোন রোগ বা বিশেষ অনুভূতি হয় কি ?

খ) সমুদ্রের পানিতে গোসল করলে আপনার কোন সমস্য হয় কি?

তাপমাত্রা

ক) কি পরিমাণ তাপ আপনার শরীরে  সহ্য হয় ?

ভূমিকা

জ্বরের রোগীকে কিভাবে প্রশ্ন করতে হয় তা জানা যাবে এ অধ্যায় থেকে। শুধু জ্বরের জন্য ২৫০০+ লক্ষণ রয়েছে সঠিক নিয়মে লক্ষণ সংগ্রহ ও রুব্রিকে রূপান্তরিত করতে না পাড়লে হাতেগোনা ৮-১০ টি ঔষধের বেশি মিলানো যায়না। এতে ব্যর্থতা বেড়ে যাবে।

উত্তাপাবস্থা

ক) আপনার যখন জ্বর হয় তখন উত্তাপাবস্থা কেমন হয় ?

খ) উত্তাপাবস্থায় পিপাসা ও ঘর্ম কেমন হয় ?

গ) উত্তাপাবস্থায় মনের অবস্থা কেমন হয় ?

শীতাবস্থা

ক) আপনার যখন জ্বর হয় তখন শীতাবস্থা কেমন হয় ?

খ) শীতাবস্থায় পিপাসা ও ঘর্ম কেমন হয় ?

গ) শীতাবস্থায় মনের অবস্থা কেমন হয় ?

ঘর্মাবস্থা

ক) আপনার যখন জ্বর হয় তখন শরীরে ঘাম কেমন হয় ?

খ) ঘামে আপনার জ্বর কমে / বাড়ে / অস্থির লাগে ?

পিপাসা

ক) আপনার যখন জ্বর হয় তখন পিপাসা কেমন লাগে ?

খ) পানি পানের সময় ও পরে কেমন লাগে ?

বিরাম কাল

ক) জ্বরের বিরাম কালে কেমন থাকেন ?

খ) বিরাম কাল কতক্ষণ স্থায়ী হয় ?

ক্রমপর্যায়

ক) আপনার জ্বরের সময় উত্তাপ, শীত, ঘর্ম ও পিপাসা পর্যায়ক্রমিক ভাবে কোনটা আগে পড়ে আসে ?

জ্বরের সহিত

ক) জ্বর হলে অন্য কোন সমস্যা হয় কি ?

যেমন – কারো জ্বর হলে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, আমশয়, ডাইরিয়া ইত্যাদি হয়

আচরণ

ক) জ্বরের সময় আপনার মানুষিক আচরণ কেমন হয় ?

হ্রাস বৃদ্ধি

ক) এমন কোন বিষয় আছে কি যাতে আপনার জ্বর  কমে বা বৃদ্ধি হয়?

ভূমিকা

মহিলাদের বৈশিষ্ট্য ও রোগ লক্ষণ নির্ণয়ের জন্য এ অধ্যায়টি দিক নির্দেশনা দিবে।

ঋতু স্রাব

ক) আপনার ঋতুস্রাব কতদিন পর পর ও কোন সময় হয় ?

খ) ঋতুস্রাব কতদিন স্থায়ী হয় ?

গ) রঙ, গন্ধ ও পরিমাণ কেমন ?

ঘ) ঋতুস্রাবের পূর্বে আপনার কেমন লাগে ?

ঙ) ঋতুস্রাবের সময়ে আপনার কেমন লাগে ?

চ) ঋতুস্রাবের পরে আপনার কেমন লাগে ?

ছ) কত বৎসর বয়সে আপনার প্রথম ঋতুস্রাব হয় ?

জ) ঋতুস্রাবের বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি ?

যেমন – ঋতুস্রাবের চাপে ঘুম ভাঙ্গে, ভয় পেলে ঋতুস্রাব হয়, বিছানায় শুইলে ঋতুস্রাব হয় ইত্যাদি

সাদা স্রাব

ক) আপনার সাদা স্রাব কতদিন পর পর ও কোন সময় হয় ?

খ) সাদা স্রাব কতদিন স্থায়ী হয় ?

গ) রঙ, গন্ধ ও পরিমাণ কেমন ?

ঘ) সাদা স্রাবের পূর্বে আপনার কেমন লাগে ?

ঙ) সাদা স্রাবের সময়ে আপনার কেমন লাগে ?

চ) সাদা স্রাবের পরে আপনার কেমন লাগে ?

ছ) কত বৎসর বয়সে আপনার প্রথম সাদা স্রাব হয় ?

জ) সাদা স্রাবের বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি ?

যেমন – সাদা স্রাবের চাপে ঘুম ভাঙ্গে, ভয় পেলে সাদা স্রাব হয়, বিছানায় শুইলে সাদা স্রাব হয় ইত্যাদি

গর্ভাবস্থা

ক) আপনার সন্তান কতজন ? বিয়ের কত বৎসর পর প্রথম সন্তান হয়েছিল ?

খ) জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি গ্রহণ করছেন / করেছেন কি ? পদ্ধতি গুলো কোনটি কতদিন ব্যাবহার করেছেন ?

গ) আপনার কোন গর্ভপাত হয়েছিল কি ? কত মাসে হয়েছিল ?

ঘ) আপনি ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত বা যান্ত্রিক ভাবে গর্ভপাত ঘটিয়েছিলেন কি ?

ঙ) গর্ভাবস্থায় আপনার বিশেষ কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় কি ?

যেমন – সাদা স্রাব, রক্তস্রাব, অর্শ, চুলকানি, স্বামী সহবাসে প্রচণ্ড ইচ্ছা ইত্যাদি

চ) যথাসময়ের পূর্বে আপনার সন্তান প্রসব হয় কি ?

ছ) সন্তান প্রসবের পর আপনার বিশেষ কোন কষ্ট হয় কি ?

দুগ্ধ দান

ক)  সন্তান প্রসবের পরে স্তন দুগ্ধ উৎপাদনে অস্বাভাবিকতা আছে কি ?

খ) পর্যাপ্ত পরিমাণ স্তন দুগ্ধ উৎপন্ন হয় কি ?

গ) সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন দুগ্ধ পান করে কি ?

ঘ) সন্তান স্তন দুগ্ধ পান করার সময় আপনার অস্বাভাবিক অনুভূতি বা রোগ কষ্ট হয় কি ?

ঙ) সন্তান ছাড়াও স্তনে দুগ্ধ আসে বা এসেছিল কি ?

ভূমিকা

মনের লক্ষণ সমূহ আয়ত্ত করতেই হবে। সফল ডাক্তার হতে হলে এখানে অধিক সময় ব্যয় করতে হবে। এবং এ অধ্যায়টি আপনাকে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ্‌।

বুদ্ধিবৃত্তি

ক) আপনার স্মরণ শক্তি কিরূপ ?

খ) তাৎক্ষনিক প্রতি উত্তর প্রদানের যোগ্যতা কিরূপ ?

গ) কোন বিষয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা ও গবেষণার যোগ্যতা কিরূপ ?

বচন ভঙ্গী

ডাক্তার সাহেবকে রোগীর বচন ভঙ্গীর দিকে গভির ভাবে লক্ষ রাখতে হবে। যেমন –

ক) ভদ্র ও ধীরে ধীরে কথা বলে।

খ) জোরে জোরে কথা বলে।

গ) কথার কিছু অংশ জোরে ও কিছু অংশ আস্তে বলে।

ঘ) ২/৩ টি প্রশ্ন করলে ১ টির উত্তর দেয়।

ঙ) একই কথা ২/৩ বার করে বলে।

চ) কথা বলার সময় অকারণে হাসে।

ছ) বাচালের মতো অতি কথা বলে। …… ইত্যাদি

মুদ্রাদোষ

ক) আপনার কোন মুদ্রাদোষ আছে কি ?

যেমন –  কথা বলার সময় কাঁধ নাড়ানো, থুতু ফেলা, আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারা, পা উঠিয়ে বসা, বার বার হাত ধোয়া ইত্যাদি

স্বপ্ন

ক) এমন কোন স্বপ্ন আছে কি যা আপনি বার বার দেখেন?

খ) নিদ্রা ভঙ্গের পরে স্বপ্নের প্রভাব কিরূপ ?

গ) স্বপ্ন দেখা অবস্থায় আপনি নিদ্রা হতে উঠে বসে পড়েন বা হাঁটেন এমন কোন বিষয় আছে কি?

ঘ) স্বপ্ন দেখা অবস্থায় আপনি কথা বলেন কি, যা অন্যরা শুনতে পায় ?

ভয় ও ভীতি

ক) এমন কোন বিষয় আছে কি ? যা দেখলে, শুনলে, বললে, ধরলে, খেতে গেলে আপনার মনে ভয় লাগে ? অথচ অন্যদের সাধারণত লাগেনা ।

খ) এমন কোন বিষয় আছে কি যা দেখে, শুনে, উপলব্ধি করে ভয় পেয়েছিলেন ? ঐ ভয়ের প্রভাব এখনো আছে ?

আবেগ ও বিশ্বাস

ক) আপনার আবেগ প্রবণতা কিরূপ।

যেমন – মৃত্যু খবর, সুখবর, তিরস্কার, প্রশংসা ও ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ ও মনের অবস্থা কিরূপ হয়।

খ) অন্যকে বিশ্বাস করার প্রবণতা কিরূপ?

গ) যাকে বিশ্বাস করেন তার প্রতি আস্থা কিরূপ?

ঘ) আপনার বিশ্বাস করা বিষয়ের বিপরীতে অন্য কেউ এমন প্রমাণ দিল যা অস্বীকার করা যায়না, তখন আপনার ভূমিকা কিরূপ হয়?

ক্রোধ ও ঝগড়া

ক) আপনার রাগ বা জিদ কেমন ?

খ) আপনার রাগ ক্ষণস্থায়ী না দীর্ঘস্থায়ী ?

গ) আপনি যখন প্রচণ্ড রাগান্বিত হন তখন কেউ সান্ত্বনা দিলে আপনার রাগ কমে যায় / থেকে যায় / বেড়ে যায় ?

ঘ) ক্রোধ থেকে আপনার কোন রোগ হয়েছিল কি ?

ঙ) রাগ চেপে রাখেন নাকি প্রকাশ করেন ?

চ) আপনার মেজাজ ক্রন্দনশীল / অহংকার পূর্ণ / ঘৃণা পূর্ণ / হিংসা পূর্ণ / কলহ প্রিয়তা বা ঝগড়াটে / প্রতিশোধ স্পৃহা / একগুঁয়ে ইত্যাদি


ছ) আপনার মাঝে ঝগড়া করার প্রবণতা কিরূপ ?

জ) ঝগড়া করার সময় প্রতিবাদ যোগ্যতা কিরূপ ?

ঝ) নিজ অবস্থান তুলে ধরার সফলতা ও ব্যর্থতার ফল কিরূপ হয় ?

যেমন – কান্না করে, কথা বলতে পারেনা, উপযুক্ত ও সহজ কথাটি বাদ দিয়ে ভুল কথাটি বলে, মারামারি করে ইত্যাদি

আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা

ক) আপনার মনে কোন প্রত্যাশা আসার পর তা পাওয়ার প্রচেষ্টা কিরূপ ?

যেমন – দ্রুত পেতে চায়, যেভাবেই হোক পেতেই হবে, পরিকল্পনা করে এগিয়ে যায়, পরিকল্পনা করে কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেনা, ভাগ্যের উপর ছেড়েদেয় ইত্যাদি

দোষ ও অপরাধীতা

ক) কোন দোষ বা অপরাধ প্রবণতা আপনার মাঝে আছে কি ? যা আপনি ছাড়তে চাইলেও ছাড়তে পারছেন না ?

যেমন – মাদক সেবন, আত্মসাৎ করার প্রবণতা, চুরি করার প্রবণতা, মারধর করার প্রবণতা, অবৈধ যৌনাচার করার প্রবণতা ইত্যাদি

উৎকণ্ঠা ও বিষণ্ণতা

ক) আপনার কোন চিন্তা বা কর্মে বিষণ্ণতা আছে কি ?

খ) এমন কোন দুশ্চিন্তা আছে কি যাতে আপনি নিমগ্ন হয়ে থাকেন ?

গ) আপনার উৎকণ্ঠার প্রভাবে আপনার মনের অবস্থা কেমন হয় ?

যেমন – অস্থির হয়ে যায়, কাজ কর্ম ছেড়ে দেয়, রাগারাগি করে  ইত্যাদি

ভালবাসা

ক) আপনার সন্তান, স্বামী-স্ত্রী, সংসারের প্রতি ভালবাসা কেমন ?

খ) আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর প্রতি ভালবাসা কেমন ?

গ) সমাজ, দেশ ও পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি ভালবাসা কেমন ?

ঘ) জীব-জন্তু ও পশু-পাখির প্রতি ভালবাসা কেমন ?

ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা কেমন ?

চ) কেউ ভালোবাসি বললেই কি ঐ লোকের প্রতি মন দুর্বল হয়ে যায় ?

ঘৃণা

ক) এমন কোন বিষয় আছে কি ? যা দেখলে, শুনলে, বললে, ধরলে, খেতে গেলে আপনার মনে ঘৃণা লাগে ? অথচ অন্যদের সাধারণত লাগেনা ।

খ) আপনার সংসারের কাউকে ঘৃণা করেন কি ? অথচ তার চেয়ে বড় অপরাধ করলেও অন্যদের প্রতি ঘৃণা আসেনা ?

হ্রাস বৃদ্ধি

ক) এমন কোন বিষয় আছে কি যাতে আপনার মানুষিক অস্বাভাবিকতার উপশম হয়।

ক) এমন কোন বিষয় আছে কি যাতে আপনার মানুষিক অস্বাভাবিকতার বৃদ্ধি হয়।

✅ আমাদের সফল চিকিৎসার প্রমাণ দেখুন।

(ডান পার্শের মেনুতে রোগের নাম লিখে সার্চ করুন)

[videogallery id=”Success of Homeopathy”]

.
.

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts

1 Comments

  1. DespinaIYard

    This is the right webpage for anybody who wants to understand this topic.
    You realize so much its almost hard to argue
    with you (not that I actually would want toHaHa).
    You definitely put a brand new spin on a topic that has
    been discussed for decades. Wonderful stuff, just excellent!

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *