বিপদজনক সময় (Danger Period) : মাসিকের ১১ থেকে ১৮ দিনে বাচ্চা হবার সম্ভাবনা অধিক বলে, এ সময়কে বিপদজনক সময় বলে ।
এমেনোরিয়া (Amenorrrhoea): মাসিক বন্ধ থাকাকে এমেনোরিয়া বলে। কারণ :
- ১) বাচ্চা পেটে আসলে (Pregnancy),
- ২) বাচ্চা স্তন দুগ্ধ পান করার সময় (Lactation),
- ৩) মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে (স্বাভাবিক বয়সের কারণে অথবা জরায়ু বা হরমোন জনিত রোগে)
মির্নাকি (Menarche): মাসিক শুরু হওয়াকে মির্নাকি বলে। সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়সে মাসিক শুরু হয় ।
মোনোপোজ (Menopause): মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মোনোপোজ বলে। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বৎসর বয়সে এটা হয় ।
পিউরপেরিয়াম (Purperrium): বাচ্চা জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন সময়, অর্থাৎ য়ে সময়ে জরায়ু এবং যৌন পথ পূর্বের আকারে ফিরে আসে ও অন্যান্য শারীরবৃত্তি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় তাকে পিউরপেরিয়াম বলে। এই সময় যৌন সংগম করা উচিত নয় ।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
ফুল বা প্লাসেন্টা (Placenta): গোলাকৃতির অনেকটা ডিস্কের ন্যায় রক্ত নালীতে সমৃদ্ধ অঙ্গ যা জরায়ুর সাথে লাগানো থাকে। এর মাধ্যমে বাচ্চা গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় খাবার ও অক্সিজেন পেয়ে থাকে এবং বর্জ্য পদার্থ রক্তে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে এই বর্জ্য মায়ের মূত্রের সাথে বের হয়ে যায়। বাচ্চা প্রসবের ১৫ মিনিট পরে ফুল যোনী পথে বের হয়ে আসে। ফুল বা প্লাসেন্টা (Placenta) থেকে বিভিন্ন হরমোন যেমন (HCG) হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন, ইষ্ট্রোজেন, প্রোজেষ্ট্রেরন, সোমাটো ম্যামোট্রপিন ইত্যাদি নিঃসৃত হয় ।
প্লাসেন্টার কাজ :
- ১) মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন বাচ্চাদের দেহে বহন করে।
- ২) বাচ্চার বর্জ্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড মায়ের দেহে প্রেরণ করে । যা পরে মায়ের কিডনি মূত্রের সাথে বের করে দেয়।
- ৩) পুষ্টি, হরমোন, ভিটামিন বাচ্চার দেহে বহন করে নিয়ে যায়।
- ৪) প্রয়োজনীয় বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা মায়ের গর্ভাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
- ৫) মাকে বাচ্চা হতে পৃথক রাখে।
[PGPP id=1214]