Card-m | মুখের স্বাদ তিতা, বমিভাব ও উদগার উঠে, সবুজ বর্ণের টক বমি হয়। |
Card-m | লিভারে ব্যথা, বাম লোবে হাত দিলে অত্যন্ত ব্যথা অনুভূত হয়। |
Card-m | লিভারের রোগে আক্রান্ত হয়ে শোথ ও রক্তস্রাব। |
Card-m | কোষ্ঠবদ্ধতা, শক্ত গুটলে মল, বহু কষ্টে বের হয়। |
Card-m | সোনালী বর্ণের মূত্র। |
এই ঔষধের কাজ মূলতঃ যকৃৎ ও যকৃৎ ধমনী মন্ডলের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয় এবং এর ফলে ঐ স্থানে টাটানি ব্যথা, যন্ত্রণা ও জন্ডিস দেখা দেয়। রক্তদ্বহা নলীর উপর এই ঔষধের বিশেষ কাজ আছে। মদ জাতীয় পানীয় গ্রহণের কুফল, বিশেষ করে বিয়ার পানের কুফল। শিরাস্ফীতি ও ক্ষত। খনি শ্রমিকদের রোগ, তৎসহ হাঁপানি। শোথ জাতীয় অবস্থা, যদিও এই অবস্থা যকৃতের রোগের উপর নির্জ শীল এবং এছাড়া যখন বস্তি কোটরের রক্তাধিক্য অবস্থা দেখা যায়। চিনির বিপাকক্রিয়ার গোলযোগ। ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে যখন যকৃৎ আক্রান্ত হয়। দুর্বলতা। রক্তস্রাব, বিশেষত, যে ক্ষেত্রে যকৃতের রোগ থাকে।
মন – বিষন্নতা; ভুলে যাওয়া প্রবণতা যুক্ত, উদাসীন।
মাথা — দুই চোখের ভ্রুর উপরে সঙ্কোচনের অনুভূতি। নিস্তেজ, ভারী বোকার মত, তৎসহ ক্লেদপূর্ণ জিহ্বা। মাথা ঘোরা, তৎসহ সামনের দিকে পুড়ে যাওয়ার প্রবণতা। চোখে জ্বালা ও চাপ বোধ। নাক থেকে রক্তপাত।
পাকস্থলী – মুখের আস্বাদ তিতো। লবনাক্ত মাংসে অনিচ্ছা। খিদে কম; জিহ্বা ফাটা; বমিবমি ভাব; ওয়াক তোলা; সবুজ বর্ণের, আঙ্গিক তরল পদার্থের মন। প্লীহার নিকটে, পাকস্থলীর বামদিকে সূঁচফোটার মত বেদনা (সিয়েনোথাস)। পিত্তথলির পাথুরি তৎসহ যকৃতের বিবৃদ্ধি।
উদর – যকৃৎ স্থানে বেদনা। যকৃতের বাম খন্ড অন্যন্ত অনুভূতি প্রবণ। পূর্ণতার অনুভূতি ও টাটানি, তৎসহ চামড়া গার্ড। কোষ্ঠ কাঠিণ্য; ফলশক্ত, কষ্টকর, গুটলে গুটলে; পর্যায়ক্রমে কোষ্ঠ কাঠিণ্য ও উদরাময়। মল উজ্বল হলুদ বর্ণের। পিত্তথলির স্ফীতি তৎসহ বেদনাদায়ক স্পর্শকাতরতা। যকৃতে রক্তধিক্য, তৎসহ জন্ডিস। যকৃতের শুষ্ক অবস্থা বা সিরোসিস, তৎসহ শোথ।
সরলান্ত্র – রক্তস্রাবী অর্শ, অর্শবলী অথবা সরলান্ত্রের নির্গমন, মলদ্বার ও সরলাস্ত্রে জ্বালাকর যন্ত্রণা, মলশক্ত ও গুটলে গুটলে, কাদার মত দেখতে। সরলান্ত্রের ক্যান্সারের ফলে প্রচুর উদরাময়। ১০ ফোটা মাত্রায় (ওয়াপলার)।
প্রস্রাব – ঘোলাটে; সোনালি বর্ণের।
বুক – বুকের ডানদিকের নিচের পঞ্জরাস্থিতে সুঁচফোটার মত বেদনা; নড়াচড়া ও ঘোরা ঘুরিতে বৃদ্ধি। হাঁপানির মত শ্বাস-প্রশ্বাস। বুকে বেদনা, বেদনা ঘাড়ে, কোমরে, ও পেট পর্যন্ত প্রসারিত হয়, তৎসহ প্রস্রাবের বেগ।
চামড়া – রাত্রে শোয়ার পরে চুলকানি। শিরাস্ফীতি জনিত কারণে ক্ষত।(ক্লিমেটিস ভিটামিন)। বুক্কাস্থির নীচের অংশে উদ্ভেদ।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – হিপ-জয়েন্ট স্থানে বেদনা, বেদনা সমগ্র নিতম্ব অংশের ছড়িয়ে পড়ে এবং নীচের দিকে ঊরুস্থান পর্যন্ত নামে; সামনের দিকে ঝুঁকলে বৃদ্ধি। উঠতে কষ্ট। পায়ে দুর্বলতা অনুভব, বিশেষ করে বসার পরে।
সম্বন্ধ – তুলনীয় – কার্ডুয়াস বেনেডিকটাস্ (চোখের উপর-শক্তিশালী কাজ আছে। এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে সঙ্কোচনের অনুভূতি পাকস্থলীর লক্ষণে সাদৃশ্য আছে);
চেলিডোনিয়াম সিয়োন্যান্থেস; মার্ক; পডোফাইলাম; ব্রাইয়োনিয়া; এলো।
শক্তি – অরিষ্ট ও নিম্নশক্তি।
হোমিওপ্যাথিক গ্রন্থকারকে যদি এরূপ কথা বলার জন্য মার্জনা করা হয়, তাহা হইলে বলিব যে, কার্টুয়াস মেরী যকৃৎ সম্বন্ধীয় একটি অতি মূল্যবান ঔষধ। ইহাতে অনেক প্রকার বেদনা আছে—চাপনবৎ, আকর্ষণবৎ, জ্বালাকর, সঞ্চালনে বৃদ্ধিযুক্ত। রোগী ঠান্ডায় অত্যনুভূতিযুক্ত এবং নির্দিষ্ট ও অনির্দিষ্টকাল ব্যবধানে পিত্তবমনের আক্রমণের অধীন হয়। লেখক পিত্তবমনে পরিসমাপ্তিবিশিষ্ট অনেকগুলি এবং ক্যামোমেল সেবনে অভ্যস্ত অনেক রোগীর শিরঃপীড়া এই ঔষধে আরোগ্য করিয়াছেন (স্যাঙ্গুই’) যকৃৎরোগের সহিত শোথজনিত রসসঞ্চয়। লক্ষণ মিলিলে ইহা রক্তস্রাবে ও ন্যাবা রোগে উপযোগী।
বিষাদ, ক্রোধ ও ক্রন্দন। রক্তসঞ্চয়জনিত শিরঃপীড়া, নির্দিষ্ট কাল ব্যবধানে চাপনবৎ বেদনা মাথায় পূর্ণতা ও ভারবোধ। ঠান্ডা বাতাসে মস্তক-ত্বকে অত্যনুভূতি। চক্ষুগোলকদ্বয় বাহির দিকে ঠেলিয়া আসে। চক্ষুর শ্বেত-পটল হলদে বর্ণ। চক্ষুর পাতার কিনারায় জ্বালা। নাকের ভিতরে জ্বালা। নাক দিয়া রক্তপাত।
স্বাদ তিক্ত, পানসে অথবা স্বাদের অভাব। ময়লা জিহ্বা, খাদ্যে প্রবৃত্তি থাকে না। বমনেচ্ছা, শ্লেষ্মাবমন, তারপর, পিত্তবমন। যন্ত্রণাকর উকি উঠা, সবজেটে, তরল পদার্থ বমন। পাকস্থলীর বামদিক হইতে ডানদিক পর্যন্ত টানিয়া ধরার ন্যায় বেদনা। পাকস্থলীতে জ্বালা। অত্যন্ত কাল রক্তবমন।
যকৃৎ-লক্ষণগুলিই সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয়। আর্ণিকা’, ‘ম্যাগ মিউ’, ‘নেট্রাম সালফ’ এবং ‘টিলিয়া’র ন্যায় বামপার্শ্বে শুইলে দক্ষিণ কুক্ষিদেশে আকর্ষণবৎ বেদনা। যকৃৎতের দক্ষিণ অংশে চাপনবৎ, আকর্ষণবৎ, সূঁচীবিদ্ধবৎ যাতনা। এই ঔষধ স্বাভাবিক পিত্ত-প্রবাহ স্থাপন করে এবং তদ্বারা পিত্তপাথুরি সৃষ্টির অনুকূল অবস্থা আরোগ্য করে। ইহা অনেকবার পিত্তশূল সম্ভাবনা দূর করিয়াছে। যকৃৎশিরায় রক্তসঞ্চয় ও অর্শ। ক্ষতবৎ থেঁৎলানবৎ বেদনাযুক্ত কঠিন যকৃৎ, কখন কখন বাম ভাগ, কিন্তু বেশী সচরাচর দক্ষিণ ভাগ। ফুসফুস ও হৃলক্ষণের সহিত জড়িত রক্ত উঠা থাকলে প্রযোজ্য।
উদরে আকৃষ্টবৎ, সূঁচীবিদ্ধবৎ, জ্বালাকর যন্ত্রণা। উদরস্ফীতি। কৰ্ত্তনবৎ যন্ত্রণা।
মল কাল মল কঠিন ও গাঁটগাঁট। কাদার ন্যায়। পিত্তহীন মল। সরলান্ত্রে ও মলদ্বারে জ্বালা। চুলকানিযুক্ত অর্শ। রক্তস্রাবী অর্শ। দুর্দ্দম্য কোষ্ঠবদ্ধতা।
মূত্রনালীতে জ্বালা। প্রচুর তলানিবিশিষ্ট, প্রচুর ঘোরালবর্ণের মূত্র। ঘোলা মূত্র। মূত্ররোধ।
প্রচুর ঋতুস্রাব। ঋতু অবরুদ্ধ। যকৃতে রক্তসঞ্চয়সহ জরায়ু হইতে রক্তস্রাব। যোনিতে টানিয়া ধরার ন্যায় ব্যথা এবং প্রদর।
যকৃতের পুরাতন রক্তসঞ্চয়ের সহিত, দক্ষিণ ফুসফুসের নিম্নাংশ আক্রান্ত থাকিলে, যকৃৎরোগ সংক্রান্ত কাশি।
যকৃতে যন্ত্রণার সহিত বুকে যন্ত্রণা। সূঁচ ফোটার ন্যায় যন্ত্রণা। টানিয়া ধরার ন্যায় বেদনা, সঞ্চালনে বৃদ্ধি।
দক্ষিণ স্কন্ধের ত্রিকোণাকার অস্থির নীচে, পৃষ্ঠে বেদনা (অনেকটা চেলিডো’ ও ‘ইস্কিউলাস’ সদৃশ)। পৃষ্ঠে টানিয়া ধরার ন্যায়, বেদনা। মেরুদন্ডে স্পর্শকাতরতা।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে খালধরার ন্যায়, টানিয়া ধরার ন্যায়, চাপনবৎ বাতজ বেদনা। দক্ষিণ স্কন্ধের ত্রিকোণাকার পেশীতে যন্ত্রণা। ঊরুসন্ধিতে বেদনা, উঠিলে, হেঁট হইলে ও সঞ্চালনে বৃদ্ধি। নিম্নাঙ্গে স্নায়ুশূল, সঞ্চালনে বৃদ্ধি। পায়ের পাতার স্ফীতি। শিরাস্ফীতি। ক্ষত। বাত এবং পেশীর উৎক্ষেপ। পিন্ডিকা এবং পায়ের পাতায় খালধরা। হাঁটা প্রায় অসম্ভব। পাকস্থলী সংক্রান্ত এবং পৈত্তিক জ্বর।