শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ:
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশকালকে ৬ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন
- নবজাতক (Newborn): জন্ম থেকে ১ মাস বয়সী শিশু
- ইনফ্যান্ট (Infant): ২য় মাস থেকে ১ বৎসর বয়সী শিশু
- টুডলার (Toddler): ১ থেকে ৩ বৎসর বয়সী শিশু
- প্রিস্কুল (Preschool years): ৩ থেকে ৬ বৎসর বয়সী শিশু
- মধ্য শৈশবকাল (Middle childhood years): ৬ থেকে ১০ বৎসর বয়সী শিশু
- কৈশোরকাল বা বয়ঃসন্ধিকাল (Adolescence): ১০ থেকে ১৯ বৎসর বয়সী। এ কয়েকটি বছরে একজন মানুষ শিশু থেকে যুবকে রূপান্তরিত হয়।
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি:
একজন শিশু যে পরিমাণ ওজন নিয়ে জন্মায় তার ৫% থেকে ১০% ওজন কয়েকদিনের মধ্যে কমে যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ৪ থেকে ৬ মাস বয়সের মধ্যে শিশুর ওজন জন্মের ওজন থেকে দ্বিগুণ হয়ে যায়। ৬ মাস থেকে ১ বৎসর পর্যন্ত শিশুর বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়।
১ থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুর ওজন প্রায় ৫ পাউন্ড (২.২ কিলোগ্রাম) বৃদ্ধি পায়। ২ থেকে ৫ বছর বয়সের মধ্যে শিশুর ওজন প্রতি বছর প্রায় ৫ পাউন্ড (২.২ কিলোগ্রাম) করে বৃদ্ধি হতে থাকবে।
২ থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যে শিশুরা স্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পায়। বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে ৯ থেকে ১৫+ বছর বয়সের মধ্যে শিশুর চূড়ান্ত বৃদ্ধি হয়। এরপর কয়েক বছরে সামান্য বৃদ্ধি ঘটে।
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্য ও পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিহীনতা শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শিশু ক্লান্ত ও স্কুলে কোনো কিছু শিখতে অক্ষম হতে পারে। এছাড়াও পুষ্টিহীনতা শিশুর অসুস্থ হওয়া ও স্কুল মিস করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সকালের নাস্তা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা সকালে ভালো নাস্তা না করলে ক্লান্ত ও আনমোটিভেটেড হয়ে যেতে পারে।
যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে এখানে ক্লিক করুন
সকল পদ্ধতির চিকিৎসা পেতে ও যে কোনো রোগের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে এখানে ক্লিক করুন