Calen | কোন স্থান কেটে গেলে, আঘাত লেগে ছিন্নভিন্ন হলে, পুরে গেলে, ঘা হলে, ক্যালেন্ডুলা মুল অরিষ্ট বাহ্য প্রয়োগে উক্ত স্থানে পূজ জমতে পারে না এবং দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়। |
Calen | পুরাতন ঘা হলে, তেলের সাথে মিশ্রিত করে বাহ্য প্রয়োগ করতে হয়। |
Calen | প্রদর রোগে ক্যালেন্ডুলা মিশ্রিত পানি দ্বারা যোনি ও জরায়ু ডুস প্রয়োগে ধৌত করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়, উক্ত রোগে হাইড্রাস্টিসও বাহ্য প্রয়োগের জন্য উৎকৃস্ট ঔষধ। |
Calen | দাঁত তোলার ফলে রক্তস্রাব হলে, ক্যালেন্ডুলা মিশ্রিত পানি দ্বারা কুলকুচা করলে রক্তস্রাব বন্ধ হয়। |
আঘাত লেগে ক্ষতস্থানে জোড়া লাগাতে ও সেইস্থানে পুঁজ যাতে না হয় সেইজন্য ব্যবহৃত হয়। যে সব ক্ষেত্রে শরীরের নরম অংশ ছিঁড়ে যায় শুধুমাত্র আঠাযুক্ত প্রাষ্টারে জোড়া যায় না সেইক্ষেত্রে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক প্রয়োগ হয় ।
বাহ্যিক ক্ষত যে ক্ষেত্রে শরীরের চামড়া বা মাংসের ক্ষতি হয়েছে বা হয় নাই; যে ক্ষতি ছিঁড়ে গেছে—অসমান, এবড়ো-থেবড়ো, অস্ত্রোপচারের পরবর্তী ক্ষতে সুস্থ মাংস জন্মাতে, পুঁজ জমা না হতে ও কুৎসিত ক্ষত চিহ্ন যাতে না থাকে সেইজন্য ব্যবহৃত হয় ।
আঘাত লেগে বা কোন কারণ ছাড়াই স্নায়ুতে অর্বুদ বা টিউমার জন্মায় (এলি-সিপা); ছিঁড়ে যাওয়া ক্ষত হতে স্নায়ু প্রদাহ (হাইপেরি); রক্তক্ষয় হয়ে অবসন্নতা ও অত্যন্ত বেদনা এই ক্ষেত্রে উপযোগী ।
পেশী বা পেশী বন্ধনী ছিঁড়ে যাওয়া, প্রসবকালে প্রসবদ্বার ছিঁড়ে যাওয়া, আঘাতে হাড়ের সন্ধিস্থানে সাইনোভিয়াল রস জমা হলে এ ওষুধে উপকার হয় ।
ক্ষত-সাথে জ্বর ও হঠাৎ বেদনা; বিসর্প রোগ হওয়ার ধাতুগত প্রবণতা (সোরিন) পুরান, দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাংগ্রিন হওয়ার মত ক্ষত (স্যালিসাইলিক এ্যাসিড) ।
ক্ষত— প্রদাহযুক্ত, পচন ধরে, শিরা ফুলে থাকে ঐস্থানে পিটিয়ে মারা হয়েছে এমন ব্যথা (আনিকা) ও অনেক পুজ বার হতে থাকে এরূপ অবস্থায় প্রযোজ্য।
অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতে, এবড়া-থেবড়া ক্ষতে, ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখার জন্য, ক্ষতে পুঁজ হতে না দেওয়ার জন্য ক্যালেন্ডুলা একটি অব্যর্থ ঔষধ ।
সম্বন্ধ- অনুপূরক-হিপার, স্যালিসিলিক এ্যাসিড।
যে সব অঙ্গে সেনটিয়েন্ট নার্ভ (অনুভূতি প্রবণ) বেশী থাকে সেখানে অত্যন্ত বেশী যন্ত্রণা ও আঘাতের তুলনায় বেশী হয় সেক্ষেত্রেই হাইপেরিকাম এর সদৃশ। আঘাতে যে ক্ষেত্রে শরীরের কোমল টিস্যু ছিঁড়ে যায় না সেক্ষেত্রে আর্নিকা-র সদৃশ।
ভাঙা হাড় জোড় না খেলে ক্যালেন্ডুলার পর সিম্ফাইটাম ও ক্যাল্ক-ফস ব্যবহার করতে হয়।
একটিমাত্র পেশীতে মোচড় বা আঘাত লাগলে রাস-ট ও রুটার সদৃশ। স্যালিসিলিক এ্যাসিড অতিরিক্ত পুঁজ হতে দেয় না ও গ্যাংগ্রিন হওয়া রোধ করে ।
ব্যথাযুক্ত গ্যাংগ্রিন ক্ষতে এ্যাসিড়-সালফ প্রযোজ্য কারণ এ ওষুধ রক্তদুষ্টিকারক জীবাণু ধ্বংস করে।
এই ওষুধের মাদার টিংচার ও শক্তিকৃত কম সমভাবে কাজ করে। ব্যাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক দুভাবেই প্রয়োগ করা যায়।
শক্তি – q, ৬, ২০০।
(Sentient Nerve Sensitive Nerve. যার দ্বারা অনুভূতি সম্ভব হয়)।
স্থানিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট আরোগ্যকারী বস্তু বিশেষ। মুক্ত ক্ষতস্থান, যে সকল অংশ সুস্থহতে চায়না, ক্ষত, প্রভৃতি ক্ষেত্রে উপকারী। ক্ষতস্থানে স্বাস্থ্যকর দানাদার কোষের সৃষ্টিকরে এবং প্রথমবারের চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্য করে। দাঁত তোলার পর রক্ত রোধক হিসাবে কাজ করে। বধিরতা, সর্দিজনিত অবস্থা, স্নায়ুর অর্বুদ, ঈরিসিপেলাস রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা যুক্ত, ধাতুগত দেহাবস্থা। আঘাত প্রাপ্ত স্থানে অত্যধিক বেদনা, এই বেদনার সঙ্গে আঘাতের কোন সামঞ্জস্য থাকে না। খুব সহজেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা যুক্ত, বিশেষতঃ ভিজে স্যঁতসেঁতে আবহাওয়ার। সন্ন্যাস রোগের পর পক্ষাঘাত। ক্যান্সার রোগে অপর ঔষধের সঙ্গে মধ্যবর্তী ঔষধ হিসাবে এটি প্রয়োগ করা যায়। স্থানিক রসক্ষরণ উৎপাদনে এই ঔষধ যথেষ্ট ক্ষমতাশালী এবং ক্ষতস্থানের অংশকে স্বাস্থ্যকর ও জীবানুমুক্ত করতে সাহায্য করে। হাতগুলি ঠান্ডা।
মাথা – প্রচন্ড স্নায়বিক, খুব সহজেই ভয় পায়; ছিঁড়ে ফেলার মত মাথার যন্ত্রণা; মস্তিষ্কে ভারী বোধ। চোয়ালের নিম্নাংশের গ্রন্থি স্ফীতি, স্পর্শে বেদনাদায়ক। ঘাড়ের ডানদিকে বেদনা। মাথার ত্বকের, ছিন্ন অবস্থা।
চোখ – চোখের আঘাত, পুঁজোপত্তির প্রবণতা যুক্ত; চোখে অস্ত্রো প্রচারের পর; অশ্রুস্রাবী গ্রন্থি থেকে শ্লেম্মামিশ্রিত স্রাব।
কান — বধিরতা; আর্দ্র আবহাওয়ার বৃদ্ধি ও তত্সহ কানের চরিপাশে একজিমা। রেল গাড়ীতে ভ্রমণকরার সময় ও দূরের শব্দ ভালো শোনে।
নাক – নাকের একদিকে সর্দি; তৎসহ প্রচুর সবুজ বর্ণের স্রাব।
পাকস্থলী – শিশু স্তন্য পান করার পরেই ক্ষুধার্ত হয়ে উঠে। বিকৃত ক্ষুধা। গলা বুক জ্বালা তৎসহ রোমাঞ্চ। বুকের ভিতর বমিবমিভাব। বমি। পাকস্থলীর ভিতর খালিখালি ভাব। পেটের উপরের অংশের প্রসারণ।
শ্বাস–প্রশ্বাস – কাশি, তৎসহ সবুজ বর্ণের শ্লেষ্মা স্বরভঙ্গ, তৎসহ কুঁচকির ভিতরের অংশে থাকা মুখের প্রসারণ।
স্ত্রীরোগ – যোনিপথের বাইরের মুখে আঁচিল। ধাতুরোগ সহ কাশি। জরায়ু গ্রীবার ভিতরের স্তরের পুরাতন প্রদাহ। জরায়ুর বিবৃদ্ধি বস্তিকোটরে ভারী বোধ ও পূর্ণতার অনুভূতি; কুঁচকি স্থানের প্রসারণ ও টানবোধ; হঠাৎ করে নড়াচড়ায় বেদনা। যোনির মুক স্বাভাবিক অবস্থা থেকে নীচের দিকে থাকে। অতিরজঃ।
চামড়া – হলুদবর্ণ যুক্ত; চামড়া কুঁচকিয়ে থাকে। এই ঔষধ ক্ষতস্থানে চামড়া তৈরী হতে সাহায্য করে তৎসহ খুব সামান্য পুঁজ হয়ে থাকে। ক্ষতস্থানের পচা অংশ, কোষের বিবৃদ্ধি ও উন্নতি কিনারা যুক্ত। চর্মের উপরিস্থিত পুড়ে যাওয়া বা ছ্যাঁকা লাগা। ঈরিসিপেলাস। (স্থানিকভাবে ব্যবহার্য্য)।
জ্বর — শীতবোধ, মুক্তবাতাসে অত্যন্ত অনুভূতি প্রবল; পিঠের দিক থরথর করে কাঁপে, চামড়ায় হাত দিলে উষ্ণ অনুভূতি। সন্ধ্যার দিকে জ্বর বাড়ে বা তাপাবস্থা।
কমা–বাড়া — বৃদ্ধি, আর্দ্র আবহাওয়ায়, ভারী, মেঘ যুক্ত আবহাওয়া।
সম্বন্ধ – তুলনীয় হ্যামোমেল; হাইপেরিক; সিম্ফাইটাম; অর্ণিকা।
বধিরতা তুলনায় ফেরাম পিলকে; কেলি আয়োড ক্যাক্রিরিয়া ; ম্যাগ কার্ব গ্রাফাইটিস, দোষঘ্ন চেলিডোন; রিউম। পরিপূরক -হিপার।
শক্তি – স্থানীয় ব্যবহারে – পরিশ্রুত জলমিশ্রিত ক্যালেন্ডুলা (মেরিগ্লোডিন), যে কোন প্রকারের ক্ষতে, সব থেকে ভালো সুস্থকর ঔষধ। প্রদরস্রাবে এই মিশ্রণের ইনজেকশন দেওয়া হয়; আভ্যন্তরীণ ভাবে, অরিষ্ট থেকে তয় শক্তি ব্যবহার করা হয়। পুড়ে যাওয়া অংশে, ক্ষতে, ফাটা, থেঁৎলিয়ে যাওয়া প্রভৃতি স্থানে ক্যালেন্ডুলা সিরেট ব্যবহার করা যায়।
In which time take it and howmany drop