ইন্টাসাসেপশন বা নাড়ি প্যাঁচলাগার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
ইন্টাসাসেপশন বা নাড়ি প্যাঁচলাগা কী? | What is Intussusception?
ইন্টাসাসেপশন হচ্ছে একটি জটিল রোগাবস্থা যারফলে অন্ত্রের একটি অংশ অন্য একটি অংশে ঢুকে যায়। এ কারণে প্রায়শই খাবার অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। এছাড়াও ইন্টাসাসেপশন আক্রান্ত অন্ত্রের অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যারফলে অন্ত্রে ছিদ্র, সংক্রমণ এবং অন্ত্রের টিস্যুর মৃত্যু হতে পারে। নাড়ি প্যাঁচলাগার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। ৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এ রোগ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। শিশুদের ইন্টাসাসেপশন এর অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ জানা যায় না। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ইন্টাসাসেপশন খুব বিরল।
ইন্টাসাসেপশনের লক্ষণসমূহ | Symptoms of Intussusception:
শিশুদের ইন্টাসাসেপশন হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো পেটে ব্যথার কারণে হঠাৎ জোরে জোরে কান্না করে উঠবে। অধিকাংশ সময় ইন্টাসাসেপশনের কারণে শিশু যখন কান্না করে তখন হাঁটু বুকের দিকে টেনে নেয়। ব্যথা আসবে আবার চলে যাবে, প্রথমে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্তর অন্তর, এর পর ব্যথা আরো ঘনঘন আসবে।
ইন্টাসাসেপশনের অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
- রক্ত এবং শ্লেষ্মা মিশ্রিত মল
- বমি
- পেটে একটি পিণ্ড থাকার অনুভূতি
- দুর্বলতা বা শক্তির অভাব
- ডায়রিয়া
সকলের ক্ষেত্রে সব উপসর্গ থাকে না। কিছু কিছু শিশুর ব্যথা থাকে না, কিছু কিছু শিশুর মলের সাথে রক্ত যায় না বা পেটে পিণ্ড থাকে না। আবার কিছু শিশুর ব্যথা থাকে কিন্তু অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: | In Adults:
ইন্টাসাসেপশন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিরল, এ রোগের লক্ষণসমূহ প্রায়শই অন্য রোগের লক্ষণের সাথে মিলে যায়, তাই রোগটি সনাক্ত করা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেটে ব্যথা যা আসে এবং যায়। বমি বমি ভাব এবং বমি হতেও পারে।
ঝুঁকির কারণঃ | Risk Factors
ইন্টাসাসেপশন হওয়ার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে ইন্টাসাসেপশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।
- ইন্টাসাসেপশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের হয়ে থাকে।
- জন্মের সময় অস্বাভাবিক অন্ত্রের গঠন
- কিছু রোগ যেমন: সিস্টিক ফাইব্রোসিস, ক্রোনস ডিজিজ ও সিলিয়াক ডিজিজ ইন্টাসসেপশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
জটিলতাঃ | Complications
যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ইন্টাসাসেপশন আক্রান্ত অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে রক্তের অভাবে অন্ত্রের প্রাচীরের টিস্যু মারা যেতে পারে। টিস্যু মৃত্যুর ফলে অন্ত্রের প্রাচীর ছিঁড়ে যেতে পারে যারফলে পেরিটোনাইটিস সংক্রমণের কারণ হতে পারে। পেরিটোনাইটিস জীবন-হুমকিপূর্ণ অবস্থা যার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন।
পেরিটোনাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
- পেটে ব্যথা
- পেট ফুলে যাওয়া
- জ্বর
- বমি
পেরিটোনাইটিসের ফলে আপনার সন্তানের শক হয়ে যেতে পারে। শকের লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে:
- ত্বক শীতল, আঠালো ও ফ্যাকাশে বা ধূসর হয়ে যেতে পারে
- নাড়ির গতি খুব দুর্বল কিন্তু দ্রুত হবে
- অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস যা খুব ধীর এবং অগভীর অথবা খুব দ্রুত হতে পারে
- উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
- প্রচন্ড উদাসীনতা
- শক লাগার ফলে শিশু অচেতন হয়ে যেতে পারে।
যদি সন্দেহ হয় যে আপনার শিশু শক হয়েছে তাহলে অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা নিন।
রেপার্টরি রুব্রিক ও তার ঔষধ:
রুব্রিক | INTUSSUSCEPTION, INTESTINES: (25) |
অর্থ | শিশুর অন্ত্রের মধ্যে অন্ত্রাংশ প্রবেশ বা অন্ত্রের প্যাঁচ লাগা |
ঔষধ | 2 Lyc, 2 Nux-v, 2 Bell, 1 Sulph, 2 Phos, 3 Ars, 2 Lach, 2 Acon, 3 Op, 2 Merc, 2 Bry, 2 Rhus-t, 2 Samb, 1 Kreos, 3 Plb, 3 Verat, 1 Thuj, 1 Tarent, 2 Arn, 1 Kali-bi, 2 Colch, 2 Cupr, 2 Coloc, 2 Lob, 1 Tab, |
যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগের সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে এখানে ক্লিক করুন
সকল পদ্ধতির চিকিৎসা পেতে ও যে কোনো রোগের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে এখানে ক্লিক করুন