শরীরের নানা স্থানে গরম অনুভূতি, অত্যন্ত ঠাণ্ডা সহ্য করার ক্ষমতা, বরফ পানিতে গোসল করলেও গরম লাগে। |
আহার বা পানি পান করার সময় কন্ঠরোধ। |
জোরে পড়লে, কথা বলার সময় এবং পানি পানের পর কাশি। |
নীচের দিকে পাঁজরায় স্পর্শ করলে বা চাপ দিলে , বিশেষত কাশলে বা হাঁচলে বেদনা অনুভূতি। |
হুপিং কাশির একটি মহৌষধ। ঔষধটির সম্পূর্ণ কার্যকরী ক্ষমতার ব্যবহার করতে হলে, ঔষধটি নিম্নতর শক্তি যথা, ১x থেকে৩ x বিচূর্ণ পর্যন্ত প্রয়োগ করা প্রয়োজন। খাস রোধে ন্যায় অবস্থা, হাঁপানীর মত বৃদ্ধি জনিত অবস্থা, আক্ষেপিক কাশি;কাশি এত তীব্র যে, প্রতিবার কাশির সময় মনে হয় যে, এইবার জীবন শেষ হয়ে যাবে। কাশির সময় শিশুকে উঠিয়ে ধরতে হয়, মুখমন্ডল লালবর্ণ হয়ে যায়, কিছুতেই শ্বাস ছাড়তে পারে না। বুকের উপরের অংশে শ্লেষ্ম ঘড়-ঘড় করে। রোগী বরফের মত ঠান্ডা জলে স্নান করতে
চায়।
মন – উত্তেজিত, নানাপ্রকার কল্পনাতে মন পূর্ণ। ঘুমাতে পারে, আবার কোন কাজ ও করতে পারে না।
চোখ – অতিরিক্ত পরিশ্রমের পরে চোখে বেদনা অনুভূত হয় ;দৃষ্টি ঝাপসা ;অক্ষর গুলির বিভিন্নতার বিচারের অক্ষমতা ; চোখের সাদা অংশ লালবর্ণ ; চোখ দুটি উত্তপ্ত ও বেদনাপূর্ণ।
মুখগহ্বর — দাঁতের গোড়গুলিতে বেদনাপূর্ণ ঝাঁকুনির অনুভূতি। মুখমন্ডল স্ফীত। মুখের আস্বাদ তামাটে, পেঁয়াজ খাবার পরে মুখে যে রকম আস্বাদ পাওয়া যায়, সেই প্রকার আস্বাদ।
শাস-প্রশ্বাস যন্ত্ৰসমূহ – জলপান করার সময়ে অথবা কথা বলার সময়, শ্বাসনলীর দ্বারে হঠাৎকরে আক্ষেপ দেখা দেয়। খাদ্যবস্তু ভুলপথে নামে। কৃত্রিম ঘুংড়ি কাশি ; কিছুতেই শ্বাস ছাড়তে পারে না। আক্ষেপিক ও হুপিং কাশি। দিনের বেলা সামান্য কয়েকবার কাশির ধমক দেখা দেয়, কিন্তু রাত্রে অনেকবার দেখা দেয়; তৎসহ আহারের পরে বমি। হাঁপানী, যেন গন্ধকের ধোঁয়া শ্বাসনলীর ভিতরে ঢুকেছে;কথা বললে কাশি ; ফাঁপা, গভীর শব্দ যুক্ত, তৎসহ হাজাকর, স্বরভঙ্গ এবং বুকের ভিতরে বেদনা। তীব্র আক্ষেপিক কাশি ; রাত্রে বৃদ্ধি।
ঘুম – রাত্রে ঘুমের মধ্যে জেগে উঠে, তৎসহ পাদুটির দিকে রক্ত জোরে প্রবাহিত হয়। জল, আগুন প্রভৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট স্বপ্ন দেখে।
সম্বন্ধ -তুলনীয় — ড্রসেরা ; কোরালিয়াম ; ষ্টিষ্টা। শক্তি –১ম থেকে ৩য় শক্তি। এই ঔষধের কাজ অল্প সময় স্থায়ী হয়।