OXALICUM ACIDUM অক্সালিকাম অ্যাসিডাম

স্থানে স্থানে কেটে ফেলার মত, ছিরে ফেলার মত, সূচ ফোটানোর মত ব্যথা।
রোগের বিষয় চিন্তা করলে রোগ বৃদ্ধি।
কাঁধ হতে হাতের আঙ্গুলের ডগা পযন্ত অসাড় অনুভূতি।
মেরুদন্ডে ব্যথা আরম্ভ হয়ে পা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
কোমরে ব্যথাসহ পায়ের অসাড়তা ও দুর্বলতা অনুভূতি।

যদিও কিছু কিছু অকজ্যালেট সজির ভিতরে এবং মানব শরীর থেকে পাওয়া যায়, যদিও মূল অ্যাসিডটি মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে বিষের মত কাজ করে, উৎপন্ন করে পাকাশয় অন্ত্রের প্রদাহ, গতি সম্পর্কিত স্নায়ুসমূহের পক্ষাঘাত, পতনাবস্থা, অচৈতণ্য অবস্থা এবং মৃত্যু।

এই ঔষধটি সুষম্নাকান্ডের উপর কাজ করে এবং মোটর স্নায়ুর পক্ষাঘাত উৎপন্ন করে, ছোটছোট স্থানে বেদনা (ক্যালিবাই)। নড়াচড়ায় ও রোগের কথা চিন্তা করলে বৃদ্ধি পায়। মাঝে-মাঝে বেদনাকম পড়ে। বুক ও গলার আক্ষেপিক লক্ষণ সমূহ। বামদিকের বাত। স্নায়বিক দুর্বলতা। টিউবার কিউলোসিস।

মাথা – মাথায় উত্তাপের অনুভূতি।বিভ্রান্তি ও মাথা ঘোরা। মলত্যাগের সময় ও মলত্যাগের আগে মাথার যন্ত্রণা।

চোখ – চোখ গুলিতে তীব্র বেদনা; মনে হয় যেন চোখ দুটি প্রসারিত হয়েছে। অক্ষিপটের বোধাধিক্য।

পাকস্থলী – পেটের উপরের অংশে তীব্র বেদনা, বায়ু নিঃসরনে উপশম। পাকস্থলীর শূলবেদনা, মুখ দিয়ে জল উঠে, পেটের উপরিভাগের নিম্নাংশে শীতলতার অনুভূতি। জ্বালাকর বেদনা, উপরের দিকে প্রসারিত হয়। সামান্য স্পর্শে তীব্র বেদনা অনুভূত হয়। তিতো ও টক ঢেকুর রাত্রে বৃদ্ধি। কিছুতেই স্ট্রবেরি খেতে পারে না।

উদর – আহারের দুই ঘন্টা পরে, পেটের উপরের অংশে ও নাভি স্থানে তীব্র বেদনা, তৎসহ প্রচুর বায়ু সঞ্চয়। যকৃৎ স্থানে সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা, শূলবেদনা। উদরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে জ্বালা। কফি পানের পরে উদরাময়।

পুরুষের রোগ – রেতোরজ্জুতে তীব্র স্নায়ুশূল। অন্ডগুলি পেষন করা হচ্ছে এই জাতীয় অনুভূতি ও ভারীবোধ। শুক্ৰাধারের প্রদাহ।

প্রস্রাব যন্ত্রসমূহ — বারে বারে ও প্রচুর পরিমানে প্রস্রাব। প্রস্রাব করার সময়, প্রস্রাব নলীতে জ্বালা করে ও লিঙ্গমুন্ডে বেদনা অনুভূত হয়। প্রস্রাবের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই প্রস্রাব করতে বাধ্য হয়। প্রস্রাবে অকজ্যালেটের উপস্থিতি।

শ্বাসযন্ত্রসমূহ – স্নায়বিক স্বরভঙ্গ তৎসহ হৃদপিন্ডের বিকলতা (কোকা ; হাইড্রোসায়্যানিক অ্যাসিড)। গলা থেকে নীচের দিকে জ্বালাকর অনুভূতি। আক্ষেপিক শ্বাস-প্রশ্বাস, তৎসহ কণ্ঠনালী ও বুকে সঙ্কোচনের অনুভূতি। স্বরভঙ্গ। বামদিকের ফুসফুস বেদনাপূর্ণ। স্বর লোপ। স্বরতন্ত্রীর প্রসারক পেশীর পক্ষাঘাত। শ্বাসকষ্ট; ছোট ছোট, ঝাকুনিসহ প্রশ্বাস। বাম দিকের ফুসফুসের নিম্নাংশের ভিতর দিয়ে তীক্ষ বেদনা, বেদনা নীচের দিকে পেটের উপরের অংশ পর্যন্ত প্রসারিত হয়।

হৃদপিন্ড – হৃদপিন্ডের যান্ত্রিক রোগজনিত কারনে হৃদকম্প ও শ্বাসকষ্ট রোগের কথা চিন্তা করলে বৃদ্ধি। নাড়ী ক্ষীণ। পর্যায়ক্রমে হৃদপিন্ডের লক্ষণসমূহ ও স্বরলোপ, হৃদল ; হঠাৎ করে বামদিকের ফুসফুসে তীক্ষ্ণ, কেটে ফেলার মত বেদনা দেখা দেয় এবং এর ফলে শ্বাসরোধ হয়ে আসে। হৃদপিন্ডের স্থানে বেদনা, যা বামদিকের কাঁধ পর্যন্ত প্রসারিত হয়। ধমনীর ভিতর দিয়ে। প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা।

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – অসাড়তা, দুর্বল, সুড়সুড়ঙ্কর অনুভূতি। বেদনা শিরদাঁড়া থেকে শুরু হয় এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভিতর দিয়ে প্রসারিত হয়। টেনে ধরার মত ও ছুরি দিয়ে কেটে ফেলার মত তীব্র। বেদনা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভিতর দিয়ে নীচের দিকে প্রসারিত হয়। পিঠের বেদনা ; অসাড়তা ;দুর্বল। অস্থিমজ্জার প্রদাহ। পেশীসমূহের ক্লান্তি। কজিগুলি বেদনাপূর্ণ, যেন মোচকিয়ে গিয়েছে এই জাতীয় অনুভূতি (আম্মাস)। নিম্নাংঙ্গনীলচে, শীতল, অনুভূতিহীণ। অসাড়তার অনুভূতি। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলার মত অনুভূতি; ঝাকুনির মত বেদনা।

চামড়া — অনুভূতি প্রবণ, জ্বালা ও টাটানি ব্যথা, দাড়ি কাটার পরে বৃদ্ধি; চামড়া নানাবর্ণের দাগযুক্ত ও গোলাকার মার্বেলের মত দাগ দেখা যায়। সহজেই ঘাম হয়।

কমা-বাড়া – বৃদ্ধি, বামদিকে; সামান্য স্পর্শে; আলোতে; দাড়ি কাটলে রাত্রি ৩ টের সময় পাকস্থলী ও পেটের বেদনার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। নিজের সম্বন্ধে চিন্তা করলে যাবতীয় কষ্ট বৃদ্ধি পায়।

সম্বন্ধ – তুলনীয় – আর্সেনিক; কলচিকাম ; আর্জেন্টাম নাইটিকাম ; পিক্রিক অ্যাসিড। সিসার অ্যারিটিনাম চী-পী-(পাথুরী, জন্ডিস, যকৃৎ সম্বন্ধীয় উপসর্গ সমূহ; প্রস্রাববৰ্ধক)।

স্কোলোপেন্ড্রা – (পিঠে ও কোমরে তীব্র বেদনা, বেদনা নিম্নাংঙ্গে পর্যন্ত প্রসারিত হয় ; নির্দিষ্ট সময় অন্তরে লক্ষণসমূহ ফিরে আসে, মাথা থেকে শুরু হয়ে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত যায়। হৃদ্‌শূল। প্রদাহ, বেদনা ও পচন। পুঁজ যুক্ত উদ্ভেদ ও ফেঁড়া)।

লাইম ওয়াটার — অকজ্যালিক অ্যাসিডের বিষক্রিয়ার প্রভাব নষ্ট করে।

শক্তি – ৬ষ্ঠ থেকে ৩০ শক্তি।

এই ঔষধটিকে খুবই অবহেলা করা হইয়াছে। অনির্দিষ্ট, অসংস্কৃত, অপরীক্ষিত এবং অনিশ্চিত ক্রিয়াযুক্ত ঔষধ দিয়া যে সকল হৃৎরোগ চিকিৎসা করা হয়, ইহা তাহাদিগের অনেকগুলিকেই আরোগ্য করিতে পারে। হৃৎপিন্ডের উপর এই ঔষধটির প্রবল ক্রিয়ার ফলে সমস্ত শারীরবিধানটিই পীড়িত হইয়া পড়ে। কম্পন, আক্ষেপ, অনুভূতিলোপ, দেহ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অসাড়তা, নিম্নাঙ্গগুলি, হস্তাঙ্গুলিগুলি ও ওষ্ঠের নীলাভা, অঙ্গাদির পক্ষাঘাত,—এই লক্ষণগুলি হইতে বুঝা যায় যে, ঔষধটি হৃৎপিন্ড, মেরুমজ্জা ও মস্তিষ্ককে আক্রমণ করিয়া কত ভীষণভাবে শরীরকে পীড়িত করিয়া ফেলে। লক্ষণগুলি পরিশ্রমে ও সঞ্চালনে বৃদ্ধিযুক্ত হয়।

রোগী শীতল বাতাসে স্পর্শকাতর থাকে। লক্ষণগুলি, আবেশে আবেশে উপস্থিত হয়। হৃৎস্পন্দনের সহিত পৰ্য্যায়ক্রমে স্বরনাশ দেখা দেয়। অন্য কোন ঔষধেই এত ভীষণ যন্ত্রণা সৃষ্টি করে না, দেহের নানা অঙ্গে কৰ্ত্তনবৎ, তীরবিদ্ধবৎ, সূচীবিদ্ধবৎ, ছিন্নকর যন্ত্রণা; সর্বাঙ্গে ক্ষততা ও থেলাইয়া যাওয়ার ন্যায় যন্ত্রণা, কপালে, পাকস্থলীতে, উদরে, গলায়, মূত্ৰনলীতে, হাতে ও পায়ের পাতায় জ্বালা, মস্তক ভূকে এবং অন্যান্য স্থানে যন্ত্রণাপূর্ণ স্থানসকল, উহা স্পর্শ করিলে বেদনা অনুভূত হয়। দেহের স্থানে স্থানে চিত্রবিচিত্র হয়। স্ট্রবেরি, ক্রানবেরি, আপেল, রুবার্ব, টমাটো, আঙ্গুর প্রভৃতি টক ফল খাইয়া, আরও চিনি ও শ্বেতসারবিশিষ্ট খাদ্য খাইয়া পীড়াসকল। মদ ও কফি সহ্য হয় না। লক্ষণগুলি, বিশেষতঃ যন্ত্রণাগুলি, ঐ সম্বন্ধে চিন্তা করিলে উপস্থিত হয় অথবা বাড়িয়া উঠে। সময়ে সময়ে অত্যন্ত উত্তেজনা ও হর্ষোৎফুল্লতা বর্তমান থাকে, আবার সময়ে সময়ে স্মৃতিনাশ ও অবসন্নতা আসে; বাতিকগ্রস্তের ন্যায় স্বভাব, কথোপকথন করিতে চায়। মলত্যাগকালে মূৰ্ছাভাব। মস্তকে সুস্পষ্ট রক্তাধিক্য থাকে, দেহ হইতে মাথায় রক্তের উচ্ছ্বাস উঠে, উত্তাপের ঝলকা উপরদিকে উঠিতে থাকে, সে শিরোঘূর্ণনযুক্ত হইয়া পড়ে এবং তাহার দৃষ্টিনাশ হয়। মাথা খালি বোধ হয়; মাথায়, কপালে এবং মস্তকশীর্ষে অপ্রবল কনকনানি দেখা দেয়; মস্তিষ্ক জ্বালা করে; মস্তকের স্থানে স্থানে শিরঃপীড়া অনুভূত হয়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থানে চাপনবৎ যন্ত্রণা করে, কানের পশ্চাতে চাপনবৎ যন্ত্রণা অনুভূত হয়, শিরঃপীড়া, মদ্যে, শয়ন করিলে, নিদ্রার পর, এবং উঠিয়া দাঁড়াইলে বর্ধিত হয়, মলত্যাগের পর উপশমিত হয়। মস্তক ত্বকে ক্ষততাযুক্ত ও স্পর্শকাতর স্থানসকল। পড়িবার সময় অক্ষরগুলি, অন্ধকার দেখায়, দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, বিশেষতঃ রেখার মত জিনিষগুলিকে বড় ও অধিকতর দূরে দেখায়, চক্ষু-দুইটিতে বিশেষতঃ বামটিতে যন্ত্রণা করে, চক্ষু-দুইটি ঝাপসা হইয়া যায়। দৃষ্টিলোপের সহিত নাসাপথে রক্তস্রাব। মুখমন্ডল বিবর্ণ ও নীল হইয়া যায়, মুখ বসিয়া যায়, মুখমন্ডলে উত্তাপ, মুখমন্ডল শীতল ঘৰ্ম্মে আবৃত থাকে, নিম্ন-চোয়ালের কোণের নিকট প্রথমে ডানদিকে, তারপর বামদিকে টানিয়া ধরার ন্যায় বেদনার সহিত আড়ষ্টতা দেখা দেয়। দন্তমাড়ির উপর ক্ষত, মাড়ি হইতে রক্ত পড়ে, মাড়ির স্থানে স্থানে যন্ত্রণা করে, মুখের আস্বাদ টক হয়; জিহ্বা ক্ষততাযুক্ত, শুষ্ক, জ্বালাকর, স্ফীত ও সাদা লেপাবৃত হয়; রোগী কোন কিছুর স্বাদ পায় না, মুখের মধ্যে জাড়ি-ঘা জন্মে, অত্যন্ত ঘন শ্লেষ্মর জন্য তাহাকে সর্বদা গলায় ফেঁকারি দিতে হয়, প্রাতঃকালে গিলিতে কষ্ট হয়, পুরাতন গলক্ষত।

ক্ষুধা বৰ্দ্ধিত, স্বাদহীনতা ও তৃষ্ণা সহিত ক্ষুধালোপ।

পাকস্থলীতে যন্ত্রণা, আহারে উপশম; পাকস্থলীতে খামচান, ঝোল খাওয়ার পর উপশম। আহারে পর ঢেকুর উঠা, বমিবমি ভাব, নাভিস্থলে যন্ত্রণা, শূলব্যথা, পেটের মধ্যে গড়গড় করা, মলবেগ, দুর্বলতা। চিনি খাইলে পাকস্থলীর যন্ত্রণা বর্ধিত হয়, মদে শিরঃপীড়া বাড়ে, কফি হৃৎপিন্ডের উপর ভীষণ ক্রিয়া প্রকাশ করে, এবং উদরাময় জন্মায়, বুক-জ্বালা সন্ধ্যায় বর্ধিত হয়, উদার—টক, স্বাদহীন, আহারের পর। বমিবমি ভাব ও বমন, গর্ভাবস্থায় বমন, উদরাময়ের পর পিপাসা ও শূলব্যথা, মলত্যাগের পর বমিবমি ভাব ও পায়ের ডিমে খালধরা। রাত্রিকালে উদরে আবেশে আবেশে যন্ত্রণা, বায়ুত্যাগ করিলে উপশম। পাকস্থলী ও গলায় জ্বালা, পাকস্থলীতে অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, পাকস্থলী ও অন্ত্রাদির প্রদাহ, শূন্যতাবোধ আহারে উপশমিত হয়। উদরে খালধরার ন্যায় যন্ত্রণা। উদরে জ্বালা। উদরে ও যকৃতে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা। নাভিস্থানে অত্যন্ত যন্ত্রণা, সন্ধ্যাকালে ও রাত্রে বৃদ্ধি, সঞ্চালনে বৃদ্ধি। নাভিস্থানে ক্ষতের ন্যায় যন্ত্রণা। উদরে যন্ত্রণা, ঐ বিষয়ে চিন্তা করিলে উপস্থিত হয় অথবা বর্ধিত হয়। প্লীহার নিকটবর্তী বৃহদন্ত্রের বক্রস্থানে অবরুদ্ধ উদরবায়ু, উহাতে বাম কুক্ষিপ্রদেশে যন্ত্রণা। যকৃতে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা, গভীর নিঃশ্বাস লইলে উপশমিত হয়।

উদরে খালধরার ন্যায় যন্ত্রণা, রাত্রে বমনের সহিত বর্ধিত হয়। সঞ্চালনে এবং চিনি খাইলে বর্ধিত হয়। অন্ত্রাদির পুরাতন প্রদাহ। উদরের অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, নাভিস্থানে খালধরার সহিত পুরাতন প্রাতঃকালীন উদরাময়; কুন্থন, শুইয়া পড়িলে পুনরায় মলপ্রবৃত্তি উপস্থিত হয়। কফিপানে উদরাময় দেখা দেয়,—মল জলের ন্যায়, আম ও রক্তমিশ্রিত, মল অনিচ্ছায় নির্গত হয়। মলত্যাগকালে কোথানি হইতে মাথায় যন্ত্রণা উপস্থিত হয়; মলত্যাগে কষ্টবিশিষ্ট কোষ্ঠবদ্ধতা এবং কোথ দিলে শিরঃপীড়া।

মূত্রস্থলীর স্থান যন্ত্রণাযুক্ত ও স্পর্শকাতর থাকে। ঘনঘন মূত্রবেগ। অক্সালেট অব লাইম। মিশ্রিত প্রচুর মূত্র, সমগ্র মূত্রপথের ক্ষততা, মূত্র লাগিয়া মূত্রনালীতে ক্ষততা ও জ্বালা উৎপন্ন হয়, মূত্রত্যাগ করিবার সময় লিঙ্গমুন্ডে যাতনা নিদ্রার মধ্যে মূত্রপাত হয়, সকল মূত্রসংক্রান্ত লক্ষণ ঐ বিষয় ভাবিবার সময় খারাপ হয়।

রেতঃরজুতে ছিঁড়িতে থাকার ন্যায় যন্ত্রণা, সঞ্চালনে বৃদ্ধি, অন্ড দুইটির সুস্পষ্ট স্পর্শকাতরতা, হটিবার সময় উহাতে যন্ত্রণা হয়। শয্যায় শুইলে প্রবল সঙ্গমেচ্ছা ও লিঙ্গোদ্রেক, শুক্রক্ষরণ ও রতিবিষয়ক দুর্বলতা, শুক্রবহা নালীতে তীরবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা।

হৃৎপিন্ডসংক্রান্ত পীড়ার সহিত স্বরনাশ, স্বরনাশের সহিত পৰ্য্যায়ক্রমে হৃৎস্পন্দন; কণ্ঠনালী ক্ষততাযুক্ত, হাজাভাববিশিষ্ট, এবং সর্দিজড়ান; কথা বলিবার সময় কণ্ঠনালীতে শ্লেষ্মা উৎপন্ন হয়, কথা বলিবার সময় সর্বদা গলা ঝাড়িতে হয়; কণ্ঠনালীর শ্লেষ্মা সাদা, গলা ঘেঁকারি দিয়া ঘন হলদে এবং সাদা শ্লেষ্মা তুলে।

হৃৎপিন্ডসংক্রান্ত রোগে অত্যন্ত কষ্টকর শ্বাসক্রিয়া। দুর্বল স্নায়বিক স্ত্রীলোকদিগের আবেশে আবেশে শ্বাসক্রিয়া হয়, স্বাভাবিক শ্বাসক্রিয়ার মধ্যরৰ্ত্তীকালে ভীষণ দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস; হৃৎশূলে উৎক্ষেপযুক্ত নিঃশ্বাস গ্রহণ এবং হঠাৎ বেগে প্রশ্বাস ত্যাগ। শ্বাসকৃচ্ছ্র তৎসহ কণ্ঠনালীতে অত্যন্ত যাতনাদায়ক আকুঞ্চন, বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ ও চাপবোধ, ঐ বিষয়ে চিন্তা করিলে বৃদ্ধি।

সামান্য পরিশ্রমে হৃৎপিন্ডসংক্রান্ত কাশি, কণ্ঠনালী অবরুদ্ধ হওয়ার অনুভূতি, শীতল বাতাসে হাঁটিবার সময় কণ্ঠনালীতে সুড়সুড়ি।

বাম ফুসফুস, হৃৎপিন্ড ও বাম কুক্ষিদেশে তীব্র, তীরবৎ যন্ত্রণা, তৎসহ পূর্ণ বিশ্রামকালে নিঃশ্বাস গ্রহণ করিতে অক্ষমতা, বক্ষে ক্ষততাবোধ, বুকের মধ্যস্থলের ভিতর দিয়া পৃষ্ঠ পৰ্য্যন্ত যন্ত্রণা। বাম ফুসফুসের নিম্নাংশে অস্পষ্ট শব্দ।

বক্ষাস্থির পশ্চাতে, সূচীবিদ্ধবৎ, ছিন্নকর যন্ত্রণা; উহা দুই স্কন্ধ ও বাহু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, বামপার্শ্বে অধিক, তাহার সহিত নখের ও ওষ্ঠের নীলাভা; শীতল ঘৰ্ম্ম, নিম্নাঙ্গগুলির পক্ষাঘাত, আক্ষেপজনক শ্বাসক্রিয়া (ল্যাট্রোডেক্টাস ম্যাটানসে’র সহিত তুলনা কর)। বাতগ্রস্ত রোগীদিগের ভীষণ হৃৎস্পন্দন, ঐ বিষয়ে চিন্তা করিলে বর্ধিত হয়। নাড়ী অনিয়মিত, সবিরাম, দ্রুত; শীতল ঘৰ্ম্ম, নীলবর্ণ নখসকল, অত্যন্ত দুর্বলতা। ইহা হৃৎপিন্ডসংক্রান্ত অনেক রোগ। আরোগ্য করে, হৃদভ্যন্তর ঝিল্লীপ্রদাহ, হৃৎবেষ্ট, হৃৎকপাটিকার অক্ষমতা। হৃৎপিন্ডে পাখীর পাখাঝাড়ায় ন্যায় পতপত্ শব্দ।

স্কন্ধাস্থির সূক্ষ্মাগ্র কোণের নিম্নে, স্কন্ধদ্বয়ের মধ্যস্থলে যন্ত্রণা, উহা পৃষ্ঠের নিম্নাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়; বক্ষে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা, উহা স্কন্ধাস্থি পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয়, পৃষ্ঠে এবং নীচে উরু পর্যন্ত তীব্র কনকনানি, অবস্থান পরিবর্তনে উপশম হয়। এই লক্ষণটি একটি ব্যতিক্রম, কারণ সাধারণতঃ সকল যন্ত্রণাই বিশ্রামে উপশমিত হয় । পৃষ্ঠের নিম্নাংশে অসাড়কারী যন্ত্রণা, মলত্যাগের পর উপশমিত হয়। অসাড়তা, কাটাফোটার ন্যায় যন্ত্রণা, উহাতে মেরুদন্ডের দুর্বলতার সহিত একপ্রকার শীতলতার অনুভূতি সৃষ্টি করে; কোমরের ও ঊরুদেশের দুর্বলতা নিম্নঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়; যন্ত্রণা তীরবেগে উপরদিকে পৃষ্ঠ হইতে মস্তকে উঠে। পৃষ্ঠের নিম্ন অংশে শীতলতাজনিত শীতশীতভাব, পরে সন্ধ্যাকালীন জ্বর উপস্থিত হয়, উহা প্রতিদিনই উপস্থিত হইতে থাকে। সঞ্চালনে মেরুদন্ডে যন্ত্রণা উপস্থিত হয়, উহার সহিত পৃষ্ঠের পেশীসমূহে অত্যন্ত আকর্ষণ অনুভূত হয়। মেরুমজ্জার প্রদাহ হইতে পক্ষাঘাত, অঙ্গগুলি আড়ষ্ট হয়, থাকিয়া থাকিয়া শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

দুই স্কন্ধ হইতে হস্তাঙ্গুলির ডগা পর্যন্ত অসাড়তা। বাহুদ্বয়ে বর্শাবিদ্ধবৎ তীব্র যন্ত্রণা, ডান কজি মচকাইয়া যাওয়ার ন্যায় অনুভূতি হয়। উত্তাপ ও অসাড়তার সহিত ডান হাতের কজি হইতে অঙ্গুলি পৰ্য্যন্ত অংশে এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মাংসল অংশে যন্ত্রণা, হাত দুইটি প্রায় অক্ষম হইয়া পড়ে, হাত দুইটি মৃতের ন্যায় শীতল হয়, হৃৎরোগে হাতের অঙ্গুলিগুলি ও নখগুলি নীল হইয়া পড়ে, অঙ্গুলিগুলি সঙ্কুচিত করিলে অগ্রভাগে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। স্কন্ধ, বাহু ও আঙ্গুলের পেশীগুলি ঝাঁকি দিয়া উঠে। পদদ্বয়-আড়ষ্ট, অসাড় ও দুর্বল হইয়া যায়, নিম্নাঙ্গগুলি শীতল, নীল ও পক্ষাঘাতিক হয়। নিম্নাঙ্গগুলিতে তীব্র যন্ত্রণা। হাতে ও পায়ের পাতায় জ্বালা। সন্ধিগুলির বাত।

ভীতিজনক স্বপ্ন। হৃৎস্পন্দন, শীতল ঘৰ্ম্ম এবং অঙ্গাদির যন্ত্রণার সহিত জাগিয়া উঠে; দিবাভাগে নিদ্রালু থাকে কিন্তু রাত্রে কষ্টদায়ক নিদ্রা; বায়ুত্যাগ করিলে অনেকটা উপশম হয়। পাকস্থলীতে তীব্র যন্ত্রণা তাহাকে জাগাইয়া রাখে।

শীতশীতভাব, কম্পকর শীত, দেহ শীতল। সামান্য পরিশ্রমে উত্তাপ, উত্তাপের ঝলক, তারপর শীতল ঘৰ্ম্ম, সন্ধ্যাকালে কম্পৰ্কর শীত, তৎপর আভ্যন্তরিক ও বাহ্যিক উত্তাপ, হস্তদ্বয় শীতল। মুখমন্ডলে, হাতে ও পায়ে শীতল ঘৰ্ম্ম।

ঔষধার্থে অক্সালিক অ্যাসিডের চূর্ণ প্রস্তুত হয়। হৃৎযোগে, রোগের যিয় চিন্তা করলে হৃৎপিণ্ডের দপদপানি ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায় – এই শেষ ও সুনির্দিষ্ট লক্ষণটি অক্সালিক অ্যাসিডের লক্ষণ।

I am text block. Click edit button to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

✅ আমাদের সফল চিকিৎসার প্রমাণ দেখুন।

(ডান পার্শের মেনুতে রোগের নাম লিখে সার্চ করুন)

[videogallery id=”Success of Homeopathy”]

.
.

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *