Rad-br: মন বিষন্ন ও বিপদের আশঙ্কাপূর্ণ, অন্ধকারে একা থাকতে ভয়, লোকজন সর্বদা কাছে থাকুক এমনটি চায়।
Rad-br: শুষ্ক জ্বালাযুক্ত উত্তাপ, মনেহয় আগুনের উপর আছে তার সহিত সুঁই বিঁধার মত ও বিদ্যুৎ আঘাতের মত বেদনা।
Rad-br: সর্বাঙ্গে ব্যথা ও অস্থিরতা, নড়াচড়ায় উপশম।
Rad-br: চর্ম মোটা জ্বালা ও চুলকানি যুক্ত।
Rad-br: জিহ্বার ডগার দিকে কাঁটার খোঁচার মত ব্যথা।
বৃদ্ধি হয় | উপশম হয় |
< ধৌত করলে
< ধোঁয়ায় < উপরে উঠলে < শেভিং করলে < রাত ৩টা থেকে ৪টায় < সকাল ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত < রাতে |
> শয়ন করলে
> গরম পানিতে গোসল করলে > খোলা বাতাসে > ঠাণ্ডা পানীয় পানে > অনবরত নড়াচড়া করলে > ঘুমানোর পরে > চাপ প্রয়োগে > খাবার খেলে |
মেটেরিয়া-মেডিকায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, বিশেষ করে যেদিন ডিফেনব্যাচ এই ঔষধটি পরীক্ষা করেছিলেন এবং ঔষধটিকে শক্তিজাত করেছিলেন। ১,৮০০,০০০ রেডিয়া-ক্রিয়া প্রকাশক স্তরের রেডিয়াম-ব্রোমাইড এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। দেখা গেছে যে, বাতরোগ, গেঁটেবাত, চামড়ার উপসর্গসমূহ, ব্রন, জড়ল, আঁচিল, ক্ষত এবং ক্যান্সার রোগে ঔষধটি ভালো কাজ করে। রক্তচাপ কম। সারা শরীরের তীব্র কনে বেদনা; তৎসহ অস্থিরতা, ঘুরে বেড়ালে উপশম। পুরাতন বাতজনিত সন্ধিপ্রদাহ। লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে দেরি হয়। রেডিয়ামজনিত কোন স্থান পুড়ে গেলে, সেই পোড়া ক্ষত আরোগ্য হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। রক্তে সুস্পষ্টভাবে নিউট্রোফিনের সংখ্যার বৃদ্ধি। প্রচন্ড দুর্বলতা।
মন — আতঙ্কপূর্ণ, অবসাদগ্রস্ত; অন্ধকারে একা থাকতে ভয়; ললাকের সঙ্গে থাকার প্রবল ইচ্ছা। ক্লান্ত ও খিটখিটে।।
মাথা – মাথাঘোরা, তৎসহ মাথার পিছনের অংশে বেদনা, মাথাঘোরা শুয়ে পড়লে চলে যায়। মাথার পিছনের অংশে ওব্রহ্ম অংশে বেদনা, তৎসহ কোমর প্রদেশে তীব্র কানি সংশ্লিষ্ট থাকে। ডানদিকের চোখের উপর তীব্র বেদনা, বেদনা মাথার পিছনের অংশ হয়ে ব্রহ্মতালু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, মুক্ত বাতাসে উপশম। মাথার ভারীবোধ। কপালের উপরে বেদনা। উভয়দিকের চোখে কঙ্কণানি নাকের গহূরে চুলকানি ও শুষ্কতা, মুক্ত বাতাসে উপশম। ডানদিকের নিম্নচোয়ালের কোনে কঙ্কণে বেদনা। মুখমন্ডলের স্নায়ুশূল।
মুখগহ্বর – মুখগহ্বরের শুষ্কতা। মুখের ধাতুব আস্বাদ। জিহ্বার শেষভাগে কুটকুট করার ন্যায় অনুভূতি।
পাকস্থলী – পাকস্থলীর ভিতরে খালিবোধ। পাকস্থলীতে উষ্ণতার অনুভূতি। মিষ্টি,আইসক্রীমের প্রতি বিতৃষ্ণা। বমিবমিভাব ও অবসন্নতার অনুভূতি, পেটের ভিতরে জমে থাকা বায়ুর উদ্গার।
উদর — বেদনা, তীব্র খিল ধরা, পেটের ভিতরে গুড়গুড় শব্দ, বায়ুতে পূর্ণ ম্যাকবার্নিস পয়েন্টে এবং সিগময়েড কোমল স্থানে বেদনা। অত্যধিক পেট ফাঁপা।পর্যায়ক্রমে কোষ্ঠকাঠিণ্য ও উদরাময়। মলদ্বারে চুলকানি ও অর্শ।
প্রস্রাব – প্রস্রাবের সঙ্গে কঠিন পদার্থ বেশী পরিমানে বেরিয়ে থাকে, বিশেষ করে ক্লোরাইড। বৃকের উপদাহ, প্রস্রাবে অ্যালবিউমিনের উপস্থিতি, দানাদার বস্তুর উপস্থিতি। বৃক্ক প্রদাহ তসহ বাত জনিত লক্ষনাবলী। অসাড়ে প্রস্রাব।
স্ত্রীরোগ — যোনিপথে চুলকানি। দেরি করেও অনিয়মিত মাসিক ঋতুস্রাব এবং পিঠের বেদনা। বস্তিকোটরের উপরে তলপেট স্থানে কনকনে বেদনা যে সময় ঋতুস্রাব নির্গত হয়। ডানদিকের স্তনে টাটানি ব্যথা, জোরে-জোরে টিপে দিলে উপশম।
শ্বাসযন্ত্রসমূহ – দুর্দমনীয় কাশি, তৎসহ সুপ্র্যাক্টারন্যাল ফসা স্থানে সুড়সুড়কর অনুভূতি। শুষ্ক আক্ষেপিক কাশি। গলা শুষ্ক, টাটানি ব্যথা, বুকের ভিতরে সংকীর্ণতার অনুভূতি।
পিঠ – ঘাড়ের পিছনে কনকনে বেদনা। গ্রীবা দেশীয় কশেরুকায় বেদনা ও খঞ্জতার অনুভূতি, মাথা সামনের দিকে ঝোঁকালে বৃদ্ধি, দাঁড়িয়ে থাকলে অথবা সোজা হয়ে বসে থাকলে উপশম। কোমর ও ত্রিকাস্থিস্থানে বেদনা, বেদনা অস্থির ভিতর থেকে শুরু হয়, অবিরাম নড়াচড়ায় উপশম। পিঠের বেদনা দুটি কাঁধের মধ্যবর্তীস্থানে ও কোমর ত্রিকাস্থি প্রদেশে, হাঁটা চলার পরে উপশম।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – সকল অঙ্গে তীব্র বেদনা, সন্ধিগুলি, বিশেষকরে হাঁটু ও গোড়ালির সন্ধিতে, ঘাড়ে বাহুগুলিতে, হাতগুলি ও হাতের আঙ্গুলগুলিতে তীক্ষ বেদনা। পা গুলি, বাহুগুলি, এবং ঘাড় শক্ত ও ভঙ্গুর বলে মনে হয়, যেন ঐগুলি নড়াচড়া করলে ভেঙ্গে যাবে। বাহুগুলিতে ভারীবোধ। কাঁধে কটুকটু শব্দ। পায়ের আঙ্গুলগুলিতে, পায়ের ডিমে, নিতম্ব সন্ধি ও হাঁটুর পিছনে বেদনা। পায়ের ও নিতম্বস্থানের পেশীগুলিতে টাটানি ব্যথা। সন্ধি প্রদাহ, কনে বেদনা, রাত্রে বৃদ্ধি হাতের আঙ্গুলগুলিতে চর্মরোগ। হাতের আঙ্গুল গুলির নখের পরিবর্তন।
চামড়া – ছোট ছোট ফুস্কুড়ির সমূহ। উদ্ভেদসমূহও চর্মপ্রদাহ, তৎসহ চুলকানি, জ্বালা,স্ফীতি ও লালচে বর্ণ। পচন ও ক্ষত। সারা শরীরে চুলকানি, চামড়ায় জ্বালা, মনে হয় আঙ্গুলের সাহায্যে জ্বলছে। টিউমার।
ঘুম — অস্থির। নিদ্রালুতা তৎসহ অলসভাব। স্বপ্ন সুস্পষ্ট, ব্যস্ততাপূর্ণ। আগুনের স্বপ্ন দেখে।
জ্বর — শরীরের ভিতরে ঠান্ডার অনুভূতি, তৎসহ দুপুর পর্যন্ত দাঁতে দাঁতে ঘষে থাকে। শরীরের ভিতরের শীতবোধের পরে, চর্ম উত্তপ্ত, এই সঙ্গে পেট ডাকেও পেট ফাঁপা।
কমা-বাড়া – উপশম, মুক্তবাতাসে, অবিরাম নড়াচড়ায়, গরম জলে স্নানে, শুয়ে থাকলে, চাপে।
বৃদ্ধি – উঠে দাঁড়ালে।
সম্বন্ধ – তুলনীয়—এনাকার্ডিয়াম (এই ঔষধটি রেডিয়ামের মত ক্ষতাবস্থা তৈরী করে। শরীরের যে অংশ রেডিয়ামের সংস্পর্শে আসে, সেই স্থান ছাড়া শরীরের যে কোন অংশে ক্ষত প্রকাশ পেতে পারে)।
তুলনীয় – এক্স-রে, রাসটক্স, সিপিয়া, ইউরেনিয়াম, আর্সেনিক, পালসেটিলা; কষ্টিকাম।
দোষঘ্ন — রাসভেন; টেলিউরিয়াম।
শক্তি — ৩০ থেকে ১২ শক্তি।
অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট